পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৪৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। কপটে ধরিলা চণ্ডী রম্ভার (১) আকৃতি। কাদিয়া খুল্লনারে বলেন পার্ব্বতী॥ কত দুঃখ আছে বীয়ে তোমার কপালে। সর্ব্বশী ছাগল তোর খাইল শৃগালে ৷ তোর দুঃখ দেখিয়া পাজরে বিন্ধে ঘুণ। আজি তো লহনা তোরে করিবেক খুন। এমন স্বপন তারে দিয়া মহেশ্বরী। নিজ রথে নিযোজিল অষ্ট বিদ্যাধরী॥ বিদ্যাধরীগণ ব্রত করে সরোবরে। ছেলী লুকাইয়া মাতা রহিল অম্বরে। নিদ্রা হইতে উঠে রাম খুল্লনা সুন্দরী। ধরণী লোটায়ে কন্দে জননীকে স্মরি॥ খুল্লনার শোক। নিদয়া নিষ্ঠুরা হৈয়ে অভাগীরে ছাড়িয়ে ঘরে গেল না দিয়া বোলান। খাইয়া আমার মাথ৷ না শুনিলা দুঃখ-কথা তোর কোলে যাউক পরাণ॥ দুঃখ পায়্যে দশ মাস দিলা মোরে গর্ভে বাস কোলে করি করিলা পালন। নিরপেক্ষ এক দণ্ডে ফেলিলা অনল-কুণ্ডে মাতা হয়ে হৈলা অভাজন॥ না শুনিলা গুণ-কথা যে ঘরে লহনা সতা একেশ্বরী ভক্ষিল বাঘিনী। বিচারে হইয়া অন্ধ পদ গলে দিয়া বন্ধ ভেট (২) দিলা খুল্লন-হরিণী॥ জলে বাপ দেই যদি শুকায় অগাধ নদী অভাগীরে বাঘে নাহি খায়। ভূজঙ্গ করিলে কোলে সেহ নাহি মুখ মেলে দারুণ পরাণ নাহি যায়॥ এখনি শিয়রে ছিলে না বলিয়া কোথা গেলে তুয়া পায় হইতাম বিদায়। (১) খুল্লনার মাত। (২) উপহার।