পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধর্ম্মরাজের গীত-রামচন্দ্র বাড়ষ্যা-পৃঃ ১৭শ শতাব্দী। ধূসর মোহরী ঢোল খঞ্জরী থমক। জগঝম্প বাদ্য বাজে সঘনে গমক ৷ রণশিঙ্গা ভোরঙ্গ বাজয়ে ভেঙ ভেঙ। শোকসিন্ধুর উপরে দামামা ধাঙ ধাঙ॥ রাজার আদেশে সাজে চতুরঙ্গ দল। মার কাট ডাক ছাড়ে রাউত সকল। যবন সোয়ার সাজে অসি চর্ম্ম হাতে। হানা দিল সংগ্রামে লাগাম থেচে দাতে॥ আশী হাজার খোজা সাজে বুকে লম্বা দাড়ি। মাথায় শোভিত টয় সোণার পাগড়ী॥ মঘবান বীর সাজে রাজার কোঙর। কৃপাণ কামান গোলা গদির উপর॥ রজপুত চৌহান সিপাই সাজা ঢালা। হানা দিলে সমরে গগনে উড়ে ধূলা॥ হাজার হাজার ঢালী হাতে করি খাড়া। যমের সমান সাজে দিয়ে গোফ নাড়া॥ ভীম মল্লবীর সাজে টানে বঁাশ গোট। পাথর বিন্ধিয়া পাড়ে দিয়ে চূণের ফোটা। (১) সঙ্গে সব ধানুকী চামর বান্ধা বাশে। নূতন মেঘের ঘটা যেমন আকাশে। ধায় সব ফরিখান করি বীরপণা। ফলকু সাজিয়া যায় শত হাত খান॥ রায়-বাশু (২) পাইক হাজার হাজার ধায়। মেলা পাড়া করিতে যমের সঙ্গে চায়॥ (৩) গৌড়েশ্বর সাজিল চাপিয়া গজ মত্তা। আড়ানী শোভিত শিরে শোভে ধবল ছাতা॥ সরিষা না যায় তুল সেনার চাপানে। পাথরিয়া ঘোড়া সব চলে কাণে কাণে॥ (১) তাহদের শিক্ষা এইরূপ উৎকৃষ্ট যে, একটা পাথরের গায় চুণের ফোটা দিয়া লক্ষ্য নির্দিষ্ট করিয়া দিলে তাহারা সেই স্থান বাণ দিয়া ভেদ করিয়া ফেলিতে পারে। (২) যে সকল সৈন্তের হস্তে “রায় বঁাশ” (বংশদণ্ডবিশেষ) ছিল। (৩) যমের সঙ্গেও বোঝাপড়া অর্থাৎ বল পরীক্ষা করিতে প্রস্তুত। 8〉○