পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৬৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ—ঘনশ্যাম দাস—১৬শ শতাব্দী। 48& হেন বুঝি রাম সনে হৈল অদর্শন। Ts or ." বনবাসী হৈলাম পারা শুনহ লক্ষ্মণ॥ “ রোদন করেন সীতা স্মরিয়া শ্রীরাম। - কৃষ্ণের কিঙ্কর কহে দাস ঘনশ্যাম ৷ হেট মাথে কান্দেন লক্ষ্মণ সকরুণে। মোহ করি লোহ কত ঝরএ নয়নে॥ শোকে গদগদ হৈয়া সীতারে বলিল। মুনির মন্দির পাৰে ধীরে ধীরে চল। কহিতে বিদরে বুক দুঃখ উঠে মনে। ঐরামের বাক্য আমি লঙ্ঘিব কেমনে। লোক-অপবাদে তোমা করিল নৈরাশ। বনবাসের কথা ত্রীরাম পাঠান তোমা দিতে বনবাস ৷ জ্ঞাপন। লক্ষ্মণের বোলে সীতা করিল রোদন। কোন দোষে প্রভু রাম করিলা বর্জন ৷ সীতার পরিতাপ। শুনহ লক্ষ্মণ মোর প্রাণের দোসর - আমাকে করিলে রক্ষা দণ্ডক-ভিতর॥ প্রাণের দেবর তুমি আমার লাগিয়া। পরিচর্য্যা কৈলে কত ফল মূল খায়া৷ নিদাব বরষা শীত নাহি রাত্রি দিনে। নিদ্রা নাঞি গেলে তুমি আমার কারণে॥ হেন জনে কেমনে দিলেহে বনবাস। কি করিয়া দাণ্ডাইবে শ্রীরামের পাশ। পর্ণশালা চিত্রকুটে কৈলে মোর তরে। তাহাতে গা তীব লয়্যা থাকিলে বাহিরে ৷ অরণ্যের মধ্যে মোর কোন গতি হব। শ্রীরাম লক্ষ্মণ বিনে কে মোরে রাখিব॥ তুমি গেলে আমি আজি তেজিব জীবন। এই অরণ্যের মাঝে কে করিব রক্ষণ॥ বঙ্গ না সম্বরে সীতা আউদড় চুলি। ধরণী লোটায় সীতা কান্দিয়া আকুলি। - (* শ্রীকৃষ্ণ-পদারবিন্দ-মকরন্দ-পানে। ঘনতাম দাস কহে কৃষ্ণের চরণে ৷

  • R