পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS) o যুধিষ্ঠির নিকট ব্যাসদেব কর্তৃক যজ্ঞের অনুষ্ঠান বর্ণন। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। ত্রিপুর-নৃপতি যার ডরে এড়ে দেশ। পর্ব্বত-গহবরে গিয়া করিল প্রবেশ॥ (১) গজ বাজী কর দিয়া করিল সন্ধান। মহাবন-মধ্যে তবে পুরীর নির্ম্মাণ॥ যদ্যপি ভয় না দিল মহামতি। তথাপি আতঙ্কে বসে ত্রিপুর-নৃপতি॥ আপনে নৃপতি সমপিয়া বিশেষে। সুখে বসে লস্কর আপনার দেশে॥ দিনে দিনে বাঢ়ে তবে রাজ-সম্মান। যাবৎ পৃথিবী থাকে সন্ততি তাহান॥ পণ্ডিতে পণ্ডিত-সভা খণ্ড মহামতি। একদিন বসিলেক বান্ধব-সংহতি॥ অনন্ত ভারত তবে অতি পুণ্যকথা। মহামুনি জৈমিনি কহিল সংহিতা॥ অশ্বমেধ কথা শুনি প্রসন্ন হৃদয়। সভা খণ্ডে আদেশিল খান মহাশয়॥ দেশ-ভাষায় এহি কথা রচিল পয়ার। সঞ্চরেীক (২) কীর্ত্তি মোর জগৎ সংসার॥ তাহান আদেশ মান্ত মস্তকে করিয়া। শ্রীকরণে কহিলেক পয়ার রচিয়া॥ অশ্বমেধের জন্য অশ্ব আনিবার ব্যবস্থা। তবে যে এড়িব (৩) ঘোড়া ক্ষিতি বিচরিতে (৪)॥ ইন্দু কুন্দ সমবর্ণ সেই অশ্ববর। পীত পুচ্ছ দীর্ঘ কর্ণ পরম সুন্দর। মাথাতে লিখিব পত্র সুবর্ণের জলে। এড়িবেক সেই ঘোড়া অঙ্গ কুতূহলে। ঘোটক রক্ষক হইব নিজ সহোদর। যে রাজার শক্তি থাকে ধরেীক অশ্ববর॥ (১) এই উক্তি সত্য নহে। ইহা কবির চাটুবাদ। সেই সময়ে ত্রিপুরার রাজা ধন্ত-মাণিক্য ও তদীয় সেনাপতি চয়চাগের বিক্রমে মুসলমান সৈন্ত ত্রিপুরা-রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারে নাই। (২) সঞ্চারিত (৩) প্রেরণ করিব। (৪) বিচরণ (ভ্রমণ) করিতে।