মহাভারত—রাজেন্দ্র দাস—১৬শ শতাব্দী। * &8Ꮔ কেবা তুহ্মি এত রাত্রি এথা আগমন। তপোবনে আসিয়াছ কিসের কারণ॥ তীর্থযাত্রা গেল মুনি আহ্মা এথা এড়ি। নিশাচর হৈয়া ফের ব্রাহ্মণের বাড়ী ৷ ব্রাহ্মণ-কুমারী আহ্মি কিছু নাহি ভয়। কেবা তুহ্মি এথা কেনে দেয় পরিচয়॥ রাজা দুষ্মন্ত মোহর নাম খ্যাতি। পরিচয়। ইলুর তনয় চন্দ্রবংশেত উৎপত্তি। আইলাম মৃগয়া হেতু এহি তপোবন। সরোবরে দেখা হইল তোমরার সন॥ জানিতে আইলুম মুঞি তোহ্মরার মর্ম্ম। পরিচয় কেবল কিছু নহে যে অধর্ম্ম॥ তবে কন্যা স্মরে মনে হরষিত হইয়া। শকুন্তলা সম্বোধিয়া সখী কহে গিয়া॥ আইল দুষ্মন্ত এহি সিদ্ধি হৈল কায। কোন উচিত হএ কহ ত্যাগি লাজ॥ এহি বাক্যে শকুন্তলা হইল সলজ্জিত। বসনে ঢাকিয়া মুখ হাসিল কিঞ্চিৎ॥ ধর্ম্মত বিরুদ্ধ রাজা চিন্তে মনে মনে। তার মন বুঝি তবে সখী দুই জনে॥ রাজাকে বসিতে দিল উত্তম আসন। হরষিত হৈয়া রাজা বসিল তখন॥ ধর্ম্মে বিরুদ্ধ রাজা চিন্তে মনে মন। দুই সখী সম্বোধিয়া জিজ্ঞাসে বচন॥ মুঞি ধর্ম্ম রাজা হেন লোকেত বিদিত। ব্রাহ্মণীর প্রতি কেহ্নে মোর গৈল (১) চিত॥ তাহাকে ছাড়িলে চিত্তে না হএ প্রবোধ। পরিগ্রহ করিলে হএ ধর্ম্মত বিরোধ॥ এ দুই সঙ্কট মোর হইল উপস্থিত। ছাড়িলে না রহে প্রাণ গ্রহণে নিন্দিত॥ (১) গেল, আসক্ত হইল।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৭৭১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।