রামেশ্বর নন্দীর মহাভারত। রামেশ্বর নদী সমগ্র মহাভারত অনুবাদ করিয়াছিলেন। ত্রিপুর জেলা হইতে আমি এই কাব্যের প্রায় দেড়শত বৎসরের পুরাতন পুথি সংগ্রহ করিয়াছি, তাহ এখন এসিয়াটিক্ সোসাইটির পুস্তকাগারে আছে। আশ্রম-বর্ণন। স্থলপদ্ম মল্লিকা মালতী বিরাজিত। লবঙ্গ কাঞ্চন নাগকেশর শোভিত॥ নানা জাতি বৃক্ষ লতা সব পুলকিত। কৃষ্ণবর্ণে শ্বেতবর্ণে হৈছে বিকশিত॥ পুষ্প-মধু-পানে মত্ত মধুকরগণ। নানা স্থানে উড়ে পড়ে অস্থির সঘন॥ অন্তে অন্তে বাদ করি সতত ঝঙ্কারে। যাহারে শুনিলে কাণে মুনি-মন হরে ৷ নানা জাতি পক্ষী নাদ করে সুললিত। বৃক্ষ-মূলে থাকিয়া খঞ্জন করে নৃত্য। কোকিল মধুর ধ্বনি সঘনে কুহরে। তৃষ্ণায় চাতক পক্ষী পিউ পিউ বোলে। ময়ুর পেখম ধরি নৃত্য করে তথি। আশ্রম দেখিয়া তুষ্ট হইল নৃপতি॥ — লক্ষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাভারত। যে পুথি দেখিয়া এই অংশ উদ্ধত হইল, তাহ বাং ১২১২ সনে (১৮০৪ খৃঃ) লিখিত। আমরা গ্রন্থকারকে অষ্টাদশ শতাব্দীর লোক বলিয়া অনুমান করি। কুশধ্বজের পালা। যাতির নরমেধ যজ্ঞে অগ্নিতে আহুতি দেওয়ার জন্ত স্বমস্ত নামক তদীয় মন্ত্রী একটি দরিদ্র ব্রাহ্মণকে অর্থলোভ দেখাইয় তাহার অষ্টম বর্ষবয়স্ক বালক কুশধ্বজকে বলিস্বরূপ গ্রহণ করিতে প্রস্তুত। দরিদ্র ব্রাহ্মণ
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৬৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।