পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৮৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগবত। বঙ্গদেশে রামায়ণ ও মহাভারত অপেক্ষ ভাগবতের প্রাচীন অনুবাদই বেশী পাওয়া গিয়াছে। এতদ্বারা বাঙ্গালীর শ্রীকৃষ্ণ-লীলায় প্রতি যেরূপ বুঝা যায়, বৈষ্ণবগণই যে প্রাচীন বাঙ্গালা সাহিত্যের বিশেষ পরিপুষ্টি করিয়াছেন সে কথাও বিশেষ রূপে প্রমাণিত হয়। গুণরাজ খান মালাধর বস্থর ভাগবত। কুলীন-গ্রামবাসী মালাধর বস্তু ১৩৯৪ শকে ( ১৪৭২ খৃঃ) ভাগবতের দশম ও একাদশ স্বন্ধের বঙ্গীয় অনুবাদ আরম্ভ করেন এবং ১৪০২ শকে (১৪৮০ খৃঃ) ইহা শেষ করেন। সম্ভবতঃ সামসুদিন ইউসুফ সাহ ( ১৪৭৪ খৃঃ–১৪৮১ খৃঃ) কবিকে গুণরাজ খাঁ উপাধি প্রদান করেন। রিয়াজাস সলতান গ্রন্থে ইহার সম্বন্ধে এইরূপ লিখিত আছে—“ইনি অতি নম্র-প্রকৃতি, ধার্ম্মিক ও সুপণ্ডিত ছিলেন। প্রজা-রঞ্জনের জন্ত ইহার সর্ব্বদা ঐকান্তিক যত্ন ছিল।” এ দেশে একটা প্রবাদ আছে যে সম্রাট্‌ হুসেন সাহ ইহাকে গুণরাজ খা উপাধি দিয়াছিলেন। কিন্তু গ্রন্থকার গ্রন্থমধ্যে ভাগবত রচনার সময় মুস্পষ্ট রূপে উল্লেখ করিয়াছেন এবং সেই পুস্তকেই যখন গৌড়েশ্বর-প্রদত্ত উপাধির কথা উল্লিখিত আছে, তখন আমরা পূর্ব্বোক্ত। প্রবাদের যাথার্থ্য স্বীকার করিতে পারি না। এই সময়’ সামসুদ্দিন ইউসুফ সাহের রাজত্বকালে পড়ে। সুতরাং বঙ্গভাষা ও সাহিত্য’ প্রভৃতি পুস্তকে আমরা যে মত লিপিবদ্ধ করিয়াছিলাম তাহ পরিবর্তন করিতে বাধ্য হইয়াছি। কবিবর যে হুসেন সাহের সভায় বিদ্যমান ছিলেন, তাহাও অনুমিত হয়। হুসেন সাহ বাঙ্গালা ভাষার পৃষ্ঠ-পোষক ছিলেন, এবং মালাধর উত্তর কালে সম্ভবতঃ তাহার অনুগ্রহভাজন হইয়াছিলেন। এই জন্তই হয়ত উক্ত প্রবাদের স্বষ্টি হইয়াছে। শ্রীকৃষ্ণ-বিজয়। - سیاستهای کمیگیح গোষ্ঠ-লীলা। রজনী প্রভাত হইল রাম দামোদরে। বাছুর লইয়া যান যমুনার তীরে। ভোজন করিয়া সবে সিঙ্গ ৰাজাইয়া। পাছু যায় শিশুগণ বৎস চালাইয়া॥