ভাগবত—শু্যামদাস—১৬শ শতাব্দী। কেহ অঙ্গে বেড়ে কেহ করয়ে দংশন। দন্ত ভাঙ্গি দন্তহত কত নাগগণ॥ কোন সৰ্প মৈল কেহ তেয়াগিল জ্ঞান। রাজারে কহিতে কেহ করিল প্রয়াণ॥ শুন শুন কালিয় ভুজঙ্গ-অধিকারী। নিবেদন করি রাজা তোমা বরাবরি॥ এক গোটা মনুষ্য আসিয়া আচম্বিতে। কমল-কেশর মধ্যে নাচে মনোরথে॥ ভাঙ্গিয়া ফেলিল যত কমলের বন। তাহার প্রতাপ রাজা না যায় সহন॥ তার যত মর্ম্মস্থানে (১) দংশন করিনু। কিঞ্চিৎ তাহার চর্ম্ম ভেদিতে নারিতু॥ মণি উখড়িল (২) হের দেখ বিদ্যমান। দন্তহত হৈল কেহ ত্যজিল পরাণ॥ কুলিশ জিনিয়া যেন শরীর তাহার। যত নাগগণেরে লাগিল চমৎকার॥ এত শুনি কালিয় ক্রোধিত হইয়া ধায়। গোবিন্দ-মঙ্গল দুঃখী হামদাস গায়॥ দূতের বচন শুনি সাজিল কালিয় বিষধর। আজ্ঞা দিল নাগগণে শঙ্খচূড় কুমুদ প্রখর। নীল পীত চন্দ্রছট অষ্ট নাগ সঙ্গে করি ধায়। কালির সহস্ৰ মুণ্ড গরল উদগারে রসনায়॥ শ্বাস ঘন ফুফুৎকার দুকুল যমুনা যুড়ি যায়। hస్తారీ কোপযুক্ত ফণীমণি চলে সবে ততক্ষণে কক্কটি কালির বেটা অগ্নি যেন জ্বলে তুণ্ড বিষে দিশে অন্ধকার (১) আয়ুর্ব্বেদ মতে মনুষ্যদেহে কতকগুলি নির্দিষ্ট স্থান আছে, তাহাতে আঘাত করিলে মনুষ্যের প্রাণ-রক্ষা কঠিন হয়। (২) খুলিয়া পড়িল (?)
- 9 o'