ভাগবত—গৌরাঙ্গ দাস–১৬শ শতাব্দী। গৌরাঙ্গ দাসের ভাগবত। মউরধবজের পালা। পুথির হস্তলিপি ১৬৯০ শকের (১৭৬৮ খৃঃ)। সত্যভামার দক্ষিণাস্বরূপ কৃষ্ণকে প্রদান এবং রুক্মিণীর চেষ্টায় নারদমুনির হস্ত হইতে শ্রীকৃষ্ণের উদ্ধার। মুনির বচনে তুমি তেজি আভরণ। হইলে তপস্বিবেশ দৈবকীনন্দন॥ হাতেতে করিলে বীণা কান্ধে মৃগছালা। পাছে পাছে যাও যেন সন্ন্যাসীর চেলা॥ দেখিয়া তোমার বেশ কান্দে সর্ব্বজন। দ্বারক-নিবাসী সব করএ ক্রনন ৷ তোমারে লইয়া নারদমুনি যায়। বিষণ্ণবদন হইয়া সত্যভামা চায়॥ ঘন পড়ে ঘন উঠে বাতুলের প্রায়। দুই হাতে আগুলিয়া মুনিরে রহায় (১)। না চাহিয়ে ব্রত না চাহিয়ে ফল তার। বাহুড়িয়া প্রাণনাথ দেহত আমার॥ মুনি বলে সত্যভামা সত্যে ভ্রষ্ট হৈলে। সভাকার সাক্ষাতে গোবিন্দে দান দিলে॥ এথনে বলিলে ব্রতে নাই প্রয়োজন। দান লৈয়া ফির্যা দিব কিসের কারণ॥ তবে সত্যভামা দেবী কি কর্ম্ম করিল। রুক্মিণী দেবীর কাছে উপনীত হৈল॥ প্রকার বিশেষ করি কহিল লক্ষ্মীকে। সত্বরে চলিয়া আইলা গোবিন্দ-সম্মুখে॥ জানিএঃ রুক্মিণী দেবী তথাই আইল। সত্যভামার তরে তবে অনেক ভর্চিল (২)॥ (১) যাইতে বাধা দেয়। 9 ఫి (২) ভৎসনা করিল। শ্রীকৃষ্ণকে দক্ষিণস্বরূপ, পাইয়া নারদের কৃষ্ণ-সহ যাত্রা ৷ রুক্মিণীর পরামর্শ-গ্রহণ।
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।