৮২৬ রুক্মিণীর আশা ও অtশঙ্কা। বঙ্গ-সাহিত্য-পরিচয়। তথায় বিপক্ষগণ নৃপতি-সমাজ। সৈন্ত-ছাড়া গেল এক ভাল নহে কায। রথ গজ বাহিনী লইয়া কিছু কিছু। সহায়-কারণে রাম চলে পাছু পাছু॥ শ্রীগুরু-চরণ-পদ্ম ভরসা কেবল। কহে নরহরি দাস মনে কুতূহল॥ হেথায় ভীষ্মক-সুতা বসি নিজ-বাসে। গদগদ স্বরে নিজ সখীরে জিজ্ঞাসে॥ দেখ দেখি সখি পথ করি নিরীক্ষণ। কত দূরে আইসে মোর অমাত্য ব্রাহ্মণ॥ সখী কহে পথমধ্যে নাহি চলে দৃষ্ট। রুক্মিণী কহেন তবে না আইল কৃষ্ণ ৷ আমি সর্ব্বগুণহীন হই কুরূপিণী। ব্রহ্মার দুল্লভ হরি জগতের মণি॥ আমাধিক কত শত বাঞ্ছে দাসী হৈতে। হেন প্রভুর পদ আমি পাইব কেমতে॥ কিম্বা দ্বিজ যাইতে নারিল দ্বারাবতী। আমার সংবাদ না পাইল যদুপতি৷ পাচ সাত ভাবি দেবীর চিত্ত নহে স্থির। ঝরঝর যুগল-নয়নে বহে নীর। সঘনে নিশ্বাস বহে মুখ শুষ্ক প্রায়। ছটফট করে প্রাণ পথ পানে চায়॥ কতু কহে হে গো সখি এ ছিল করমে। কৃষ্ণ-দাসী হইয়া বসিব অন্ত-বামে ৷ দে গো অগ্নি জেলে পাপদেহ করি ত্যাগ। এ জন্মে না পাব অন্ত জন্মে পাব লাগ ৷ কৃষ্ণ লাগি কমলার ভাবনা প্রচুর। হেন কালে উপনীত ব্রাহ্মণ ঠাকুর। তথাই গোপ্তেতে হরি রহিল প্রকারে। রুক্মিণী-নিকটে শীঘ্র আইল দ্বিজবরে ৷ দ্বিজে দেখি বিধুমুখী পুছে সকাতরে। কহ দেখি মোর প্রাণনাথ কত দূরে ৷
পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৫৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।