পাতা:Vanga Sahitya Parichaya Part 1.djvu/৯৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাগবত-দৈবকীনন্দন সিংহ–১৭শ শতাব্দী। b”8) চাহিয়াছেন। (১) গোপাল-বিজয় প্রাচীন সাহিত্যে সম্মানিত স্থান পাইবার যোগ্য। যে পুথি হইতে নিম্নের অংশ নকল করা হইল তাহ ১৭০১ শকের (১৭৭৯ খৃঃ) লিখিত। গ্রন্থ-সূচনা। একে একে দেবতার কত নিব নাম। মঙ্গলাচরণ। নারায়ণ-চরণে আমার পরণাম ৷ এক স্ববর্ণে যেন নানা অলঙ্কার। তেন নারায়ণ শব্দের অবতার। প্রসঙ্গে কহিব বেদ পুরাণের সার। পণ্ডিত মূরখে সব বুঝিহ বিচার। যেন সব নদ নদী সমুদ্রকে যায়। তেন সব দেব-পূজা নারায়ণে পায় ৷ মুরথের ঠাঞি সব শ্লোক বিফল। বানরের হাতে যেন ঝুনা নারিকেল। জ্ঞান না থাকিলে সব বুঝয়ে পাষণ্ড। বিনি দণ্ডে কি করিব সেই ইক্ষুদণ্ড॥ সহজেই কলিকালে মূরখ অপার। পণ্ডিত জনের হব বিরল প্রচার॥ (b) “আর একখানি দোষ না লবে আমার। পুরাণের অতিরেক লিখিব অপার। অবিচারে আমাতে না দিও দোষ-ভার। স্বপনে কহিয়া দিল নন্দের কুমার॥ তবে মহাকাব্য কৈল গোপাল-চরিত। তবে কৈল গোপালের কীর্ত্তনামৃত। গোপীনাথ-বিজয় নাটক কৈল আর। তমু গোপাবেশে মন না পূরে আমার॥ তবেই পাচালী করি গোপাল-বিজয়ে। বৈষ্ণবের পদরেণু করিয়া হৃদয়ে। সিংহবংশে জন্ম নাম দৈবকীনন্দন। ঐকবিশেখর নাম বলে সর্ব্বজন॥ বাপ শ্রীচতুভূজ মা হরাবতী। কৃষ্ণ যার প্রাণধন কুল শীল জাতি।”

o;