বাঙ্গলা ব্যাকরণ/অলঙ্কার

অলঙ্কার।

 যেমন ভূষণ দ্বারা শরীর সুশোভিত হয়, যেমনি তানুপ্রাস উপমাদি দ্বারা বাক্যও সুসজ্জিত হইয়া থাকে। এই নিমিত্ত উহাদিগকে অলঙ্কার কহে। সকল বাক্যেই অলঙ্কার থাকে না। বঙ্গভাষায় কতকগুলি মাত্র অলঙ্গার প্রচলিত আছে। তাহারই প্রধান প্রধান:ওলির বিবরণ করিতেছি।

 অলঙ্কার দ্বিবিধ। শব্দালঙ্কার ও অর্থলঙ্কার। যদ্দ্বারা শব্দের শোভা সম্পাদন করে, তাহার নাম শব্দালঙ্কার আর যাহা দ্বারা অর্থের শোভা সম্পাদন করে, তাহার নাম অর্থালঙ্কার।);

শব্দালঙ্কার।

 অনুপ্রাস।—বর্ণের সমতার নাম অনুপ্রাস অলঙ্কার। যথা; “তারিণি তাপহারিণি। তার তার তারা প্রদানে পদতরণি। তপন তনয় তাপে তাপিত তনয়তনু ত্রাস নাশ তারা ত্রিবিধ তাপবারিণি”। ইত্যাদি।

 যমক।—ভিন্নার্থবাচক একাকার পদ একত্র বিন্যস্ত হইলে যমক অলঙ্কার বলে। স্থান বিশেষে বিন্যাস বশতঃ আদ্য যমক, মধ্য যমক ও অন্ত্য যমক প্রভৃতি হইয়া থাকে। যথা; “দুর্লভ চন্দন চুয়া লঙ্গ জায়ফল। সুলভ দেখিনু হাটে নাহি যায় ফল” ইত্যাদি।

 শ্লেষালঙ্কার।—একত্র যুগপৎ একশব্দ দ্বারা ভিন্নার্থ প্রতিপাদনের নাম শ্মেষোলঙ্কার। যথা; “ধনী আমি কেবল নিদানে। বিদ্যা যে প্রকার বৈদ্যনাথ আমার বিশেষ গুণ সে জানে। অহে, ব্রজাঙ্গনা কর কি কৌতুক? আমারই সৃষ্টি করা চতুর্ম্মুখ, হরিবৈদ্য আমি হরিবারে দুখ ভ্রমণ করি ভুবনে। আমি এ ব্রহ্মাণ্ডে আনি চণ্ডেশ্বর, আমারই জেনো সর্ব্বাঙ্গ সুন্দর, জয়মঙ্গল আদি কোথা পায়। নর, কেবল আমার স্থানে, দৃষ্টিমাত্র দেহে রাখিনে বিকার, তাইতে নাম আমি ধরি নির্ব্বিকার, মরণের ভয় কি থাকে তাহার, আমায় ডাকে যে জনে।” ইত্যাদি।

 বক্রোক্তি।—এক ব্যক্তির একার্থক বাক্য যদি অন্য ব্যক্তি শ্লেষ বা কাকু দ্বারা অর্থান্তরে। বোজিত করে, তাহা হইলে বক্রোক্তি হয়। শ্লষেমূলা যথা; প্রং, “কেন সখি তাপ পাও অমৃত কিরণে?” উং, “মৃত হলে বল এত তাপ হবে কেন?” কাকুমূলা যথা; “হাসিয়া সুন্দর কহে এ যুক্তি সুন্দর, তাই বলি পাকে চল শ্বশুরের ঘর?” ইত্যাদি।

অর্থালঙ্কার।

 উপমা।—যেখানে যথা, সম, সদৃশ, তুল্যাদি শব্দ দ্বারা দুই বিষয়ের সমান ধর্ম্ম নির্দ্দেশ করা যায়, তাহার নাম উপমা। যথা: “আকাশ পবন জল অনল অবনী। সকলে সমান যেন অন্নদা তেমনি” এখানে আকাশাদি উপমান, অন্নদা উপমেয়, যেন ও তেমন এই দুইটি উপমান বাচক পদ, সমতা সাধারণ ধর্ম্ম। এই উপমার কোন অঙ্গ লুপ্ত থাকিলে লুপ্তোপম হয়। অনেকগুলি উপমা একত্র থাকিলে মালোপমা হয়।

 উৎপ্রেক্ষা।—প্রকৃত বিষয়ের অন্যবিধ সম্ভাবনাকে উৎপ্রেক্ষা কহে। উৎপ্রেক্ষায় যেন, বোধ হয় ইত্যাদি শব্দ থাকে। যথা: “চেয়ে দেখি নিরমল সুনীল আকাশে। সমুজ্জ্বল অগণন তারকা বিকাশে। যেন নীল চন্দ্রাতপ ঝক‍্ঝক্ জ্বলে। হীরকের কাজ তায় করা সুকৌশলে”।

 রূপক।—বর্ণনীয় বিষয়ে অভিন্নরূপে বিষয়ান্তর আরোপ করিলে রূপক অলঙ্কার হয়। যথা; “উদর-আকাশে সুত-চন্দ্রের উদয়। কমল মুদিল মুখ রজো দূর হয়”।

 ব্যতিরেক।—যদি উপমান অপেক্ষা উপমেয়ের গুণের আধিক্য বা ন্যূনতা বুঝায়, তবে ব্যতিরেক অলঙ্কার হয়। যথা; “চন্দ্রের হৃদয়ে কালী কলঙ্ক কেবল। কৃষ্ণচন্দ্র হৃদে কালী সর্ব্বদা উজ্জ্বল” ইত্যাদি।

 ভ্রান্তিমান্।—সমতা প্রযুক্ত প্রকৃত বিষয়ে অন্য বস্তুর ভ্রান্তিকে ভ্রান্তিমান্ বলে। যথা; “বৎসর পনর ষোল, হৈল বয়ঃক্রম। লক্ষ্মী সরস্বতী পতি আইলে রহে ভ্রম”।

 অর্থান্তরন্যাস।—সাধারণ ঘটনা দ্বারা একটি বিশেষ বিষয়ের কিংবা বিশেষ ঘটনা দ্বারা সাধারণ বিষয়ের দৃঢ়তা সম্পাদন করিলে অর্থান্তরন্যাস অলঙ্কার হয়। যথা; “একা যাব বর্দ্ধমান করিয়া যতন। যতন নহিলে কোথা মিলয়ে রতন।” ইত্যাদি।

 স্বভাবোক্তি।—প্রকৃত অবস্থার স্বরূপ বর্ণনকে স্বভাবোক্তি বলে। যথা; “মায়া করি মহামায়া হইলেন বুড়ী। ডানি করে ভাঙ্গা লড়ী বাম কক্ষে ঝুড়ী। ঝাঁকড় মাকড় চুল। নাহি আঁদিসাঁদি। হাত দিলে ধুলা উড়ে যেন কেয়াকাঁদি।” ইত্যাদি।

 অতিশয়োক্তি।—উপমেয়ের উল্লেখ না। করিয়া উপমানকেই উপমেয়রূপে সিদ্ধবৎ নির্দ্দশ পূর্ব্বক সম্পূর্ণ সাদৃশ্য প্রতিপাদনকে অতিশয়োক্তি কহে। যথা; “হায়, সুর্পণখা, কি কুক্ষণে দেখেছিলি, তুইরে অভাগী, কাল পঞ্চবটীবনে কালকূটে ভরা এ ভুজগ?”।

 নিশ্চয়।—আরোপ্যমাণ বিষয়ের নিষেধ পূর্ব্বক প্রকৃত বিষয়ের সংস্থাপনকে নিশ্চয় কহে। যথা; “ভূত প্রেত যক্ষ নহে নহে সখি দানা। অনঙ্গ দিয়াছে কামিনীর অঙ্গে হানা”।

 নিদর্শনা।—তুল্যতাবশতঃ কোন বিষয়ে অবাস্তবিক ব্যাপার আরোপ করাকে নিদর্শনা বলে। যথা; “কেন হেন দুরাকাঙ্ক্ষা কর অনিবার। হেলায় ভেলায় সিন্ধু হইবে কি পার?”

 ব্যাঘাত।—যে উপায়ে যে কার্য্য সম্পন্ন হয়, সেই উপায়েই যদি অন্য কেহ তদ্বিরুদ্ধ কার্য্য করে, তাহা হইলে ব্যাঘাত অলঙ্কার হয়। যথা; “আপনার ঘর আর শ্বশুরের ঘর। ভাবিয়া দেখহ প্রভু বিশেষ বিস্তর। হাঁসিয়া সুন্দর কহে এ যুক্তি সুন্দর। তাই বলি পাকে চল শ্বশুরের ঘর”।

 কাব্যলিঙ্গ।—এক বাক্য অপর বাক্যের বা এক পদার্থ অপর পদার্থের হেতু হইলে কাব্যলিঙ্গ অলঙ্কার হয়। যথা; “তোমার যৌবন আছে তুমি আছ সুয়া। হারায়ে যৌবন আমি হইয়াছি দুয়া”।

 অপহ্নুতি—প্রকৃত বিষয় নিষিদ্ধ করিয়া অন্য প্রকার আরোপ করাকে অপহ্নুতি বলে। যথা; শশী নহে, দেখ ঐ জ্বলন্ত অনল। কলঙ্ক ও নহে, ধূম বিস্তৃত কেবল।

 ব্যাজস্তুতি—যেখানে নিন্দাচ্ছলে স্তব বা স্তবচ্ছলে নিন্দা করা হয়, তাহাকে ব্যাজস্তুতি বলে। যথা: “সভাজন শুন, জামাতার গুণ, বয়সে বাপার বড়। কোন গুণ নাই, যথা তথা ঠাঁই, সিদ্ধিতে নিপুণ দড়।” ইত্যাদি।

 সমাসোক্তি।—প্রকৃত বিষয়ে, কার্য্য, লিঙ্গ বা বিশেষণের সমতা জন্য কোন অপ্রকৃত ব্যবহার আরোপিত হইলে সমাসোক্তি হয়। যথা; “মধু সম মধুমাসে, তারা তারাগণ পাশে, শশী আসি বসি নিশিযোগে। রজনী সজনি লয়ে, গুরুজন গুরুভয়ে, আইলা কৌতুক সুখ ভোগে। রজনীর করে ধরি, সন্ধ্যা সুসন্ধান করি, চলিগেলা করিয়া মিলন।” ইত্যাদি।

 স্মরণালঙ্কার। সদৃশ বস্তুর দর্শনে যে অনুভূত বিষয়ের স্মরণ হয়, তাহাকে স্মরণালঙ্কার বলে। যথা; পূর্ণবিম্ব সুধাকর করি নিরীক্ষণ। স্মৃতিপথে আসে সেই প্রিয়ার বদন।

 তুল্যযোগিতা।—যে স্থানে নানা পদার্থের এক ধর্ম্ম বা গুণক্রিয়াদির সহিত সম্বন্ধ দেখা যায়, তথায় তুল্যযোগিতা অলঙ্কার। যথা; “কাঁপিল আতঙ্কে লঙ্কা; কাঁপিল মাতঙ্গে নিষাদী; রথে রথী; তুরঙ্গমে সাদীবর; সিংহাসনে রাজা; অবরোধে কুলবধূ;” ইত্যাদি।

 প্রতীপ।—প্রকৃত উপমানকে উপমেয় কল্পনা করা কিংবা ঐ উপমানের তিরস্কার করা হইলে প্রতীপ অলঙ্কার হয়। যথা; “রূপের তুলনা দিতে আছিল তড়িৎ। কি বলিব ভয়ে স্থির নহে কদাচিৎ।”

 দৃষ্টান্ত।—যেখানে উপমানবাচক যথা প্রভৃতি শব্দ না দিয়া এবং একরূপ সাধারণ ধর্ম্ম না দেখাইয়া সমভাবাপন্ন দুই বিষয়ের সাদৃশ্য উপন্যস্ত হয়, তথায় দৃষ্টান্ত অলঙ্কার যথা; গুণ দোষ কেবা আগে করে অবগতি। শ্রুতিমাত্র মন ভরে সুকবিভারতী। দৃষ্টিমাত্র কেবা লভে পরিমল ধন। তথাপি মালতীমালা হরে বিলোচন।

 বিভাবনা।—হেতু ব্যতিরেকে কার্যোৎপত্তির নাম বিভাবনা। যথা; ত্রাস নাই, তবু আত্মরক্ষা নিরন্তর। রোগি নাই, তবু ধর্ম্ম সেবনে তৎপর॥ অর্থের সঞ্চয় আছে, কিন্তু নাই লোভ। ব্যসনী নহেন, তবু বিষয় সম্ভোগ॥

 সন্দেহ।—কবিত্বশক্তি অনুসারে কৃত সংশয়কে সন্দেহালঙ্কার বলে। যথা; “বিষ্ণুর বৈষ্ণবী কি বা ভবের ভবানী। ব্রহ্মার ব্রহ্মাণী কি বা ইন্দ্রের ইন্দ্রাণী।”

 বিষমালঙ্কার।—পরস্পর বিরুদ্ধ বিষয়ের সংঘটনকে বিষমালঙ্কার কহে। যথা; নিবারিতে চন্দন লেপিলে তাহর্নিশ। বিধির বিপাকে তাহা হয়ে উঠে বিষ।

 দীপক।—একমাত্র কারক অনেক ক্রিয়ার সহিত অন্বিত হইলে আর প্রস্তুত ও অপ্রস্তুত দুই বিষয়ের এক ক্রিয়া হইলে দীপক অলঙ্কার হয়। যথা; “তাহার পাশে প্রমত্তত্ব হাসে দুলু ঢুলু ঢুলু আঁখি। নাচিছে গাইছে কভু, বিবাদিছে কভু, কঁদিছে কভু বা” ইত্যাদি।

 অপ্রস্তুত প্রশংসা —বর্ণনীয় বিষয়টি গূঢ় রাখিয়া যদি অপ্রাকরণিক কোন বিষয়ের বর্ণনা করা যায় তাহা হইলে অপ্রস্তুতপ্রশংসা হয়। যথা; “সুয়া যদি নিম দেয় সেও হয় চিনি। দুয়া যদি চিনি দেয় নিম হন তিনি।”

 বিশেষোক্তি।—হেতুসত্ত্বে ফলের অভাব হইলে বিশেষোক্তি কহে। যথা; “যদি করি বিষ পান, তথাপি না যায় প্রাণ, অনলে সলিলে মৃত্যু নাই। সাপে বাঘে যদি খায়, মরণ না হবে তায়, চিরজীবী করিল গোঁসাই।”

 বিরোধাভাস।—শ্রবণমাত্র যে শব্দগুলি বিরুদ্ধবৎ আভাসমান হয়, তাহাকে বিরোধাভাস কহে। যথা; “ভাল বাস দিগ‍্বাস নাহি বাস চাও” ইত্যাদি।

 অনুকূল।—প্রতিকূলচরণ করিলে, যদি তাহা অনুকূলভাবে পরিণত হয়, তবে অনুকূলালঙ্কার বলে। যথা; “অপরাধ করিয়াছি, হজুরে হাজির আছি, ভুজপাশে বাঁধি কর দণ্ড।” ইত্যাদি।

 বিধ্যাভাস।— যেখানে বিধিবাক্য নিষেধে পর্য্যবসিত হয়, সেই খানে বিধ্যাভাস অলঙ্কার। যথা; যাও যাও সুখী হও করি এই অশি। যেন তথা জন্ম হয়, যথা তব বাস।

 উল্লেখ।—এক বিষয়কে নানাবিধ বলার নাম উল্লেখ। যথা; “গাম্ভীর্য্যে রতনাকর, স্থৈর্য্যে হিম ধরাধর। ক্রোধে প্রলয় কালাগ্নি। ক্ষমাতে সদৃশ ক্ষৌণী।”

 সার।— ক্রমে ক্রমে অপেক্ষাকৃত উৎকর্ষ বর্ণিত হইলে সার অলঙ্কার হয়। যথা; “কর্ম্মভূমি ভূমণ্ডল ত্রিভুবনে সার। কর্ম্ম হেতু জন্ম লৈতে আশা দেবতার॥ সপ্তদ্বীপ মাঝে ধন্য ধন্য জম্বূ দ্বীপ। তাহাতে ভারতবর্ষ ধর্ম্মের প্রদীপ॥ তাহে ধন্য গৌড় যাহে ধর্ম্মের বিধান।” ইত্যাদি।

 সম।—শ্লাঘাযোগ্য বস্তুর পরস্পর সংঘটনকে সমলঙ্কার কহে। যথা; “হর সনে উমা, হরি রে রমা, শশধর বর সনে ত্রিযাম। এইরূপ যেবা যাহার সম। তার সনে ঘটে এই সে ক্রম।”

 বিচিত্র।—ইষ্ট ফল প্রত্যাশায় অনিষ্ট অনুষ্ঠানের নাম বিচিত্র। যথা; উন্নত হইবে বলি নত হও আগে। দুঃখের শৃঙ্খল পর সুখ অনুরাগে॥ জীবন রক্ষার হেতু দিতে চাও প্রাণ। সম্মান রাখিতে আগে হও হতমান।

 অসঙ্গতি।—একত্র কারণ, অন্যত্র তাহার কার্য্য হইলে অসঙ্গতি অলঙ্কার বলে। যথা; গগনেতে জলধর করয়ে গর্জ্জন। বৃষ্টি করে বিরহিণী নারীর নয়ন।

 অধিক।—আধার বা আধেয়ের আধিক্য বুঝাইলে অধিকালঙ্কার হয়। যথা; যাহার কুক্ষিতে বিশ্ব রহে তিল মানে। সেই হরি সিন্ধুগর্ভে বিন্দু মাত্র স্থানে।

 অন্যাোন্য।— পরস্পর এক ক্রিয়ার কারণ হইলে অন্যোন্যালঙ্কার হয়। যথা; নিশিতে শশীর শোভা, শশীতে নিশির ইত্যাদি।

 কারণমালা।—পূর্ব্ব পূর্ব্ব বাক্য উত্তর বাক্যের কারণ হইলে কারণমালা বলে। যথা; “বিদ্যা হইতে জ্ঞান হয়, জ্ঞানে হয় ভক্তি। ভক্তি হইতে মুক্তি হয়, এই সার যুক্তি।”

 সহোক্তি।—সহ শব্দের বলে এক পদ উভয়ার্থের বাচক হইলে সহোক্তি হয়। যথা; “বিকসিত কামিনী কুসুম তরু মুলে। বসিলাম চিন্তা সখী সহ কুতূহলে।”

 বিনোক্তি।—বিনা শব্দ সংযোগে কোন বস্তুর শোভা প্রতীয়মান হুইলে বিনোক্তি কহে। যথা; সরোবর বিনা নাহি থাকে কমলিনী। কমলিনী বিনা নাহি শোভা পান তিনি।