একুশ

 ত্রিপুরীতে অভিমন্যুবধ পর্বের পুনরাভিনয়ের যে আয়ােজন হইয়াছিল তাহার ইতিহাস অত্যন্ত বেদনাদায়ক। ত্রিপুরী কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থী ও বামপন্থীদের মধ্যে চরম শক্তিপরীক্ষা হইয়া যায়। ত্রিপুরী কংগ্রেসে সভাপতিত্ব করিবার জন্য বিভিন্ন প্রদেশ হইতে সুভাষচন্দ্রের নাম প্রস্তাবিত হয়। অনেকেই আশা করিয়াছিলেন যে সুভাষচন্দ্র এবারও অপ্রতিদ্বন্দ্বী হইয়া নির্বাচিত হইবেন কিন্তু কার্যতঃ দেখা গেল যে কংগ্রেসের উর্দ্ধতন কর্ত্তৃপক্ষ তাঁহাকে রাষ্ট্রপতিপদে গ্রহণ করিতে চাহেন না। তদনুসারে সুভাষচন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থীদের পক্ষ হইতে ডাঃ পট্রভি সীতারামিয়ার নাম প্রস্তাবিত হয়। মৌলানা আবুল কালাম আজাদের নামও প্রস্তাবিত হইয়াছিল, কিন্তু তিনি এক বিবৃতি প্রচার করিয়া ডাঃ সীতারামিয়ার পক্ষে স্বীয় প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সভাপতি পদের জন্য ডাঃ পট্টভি সীতারামিয়ার নাম ও প্রস্তাবিত হইয়াছে দেখিয়া আমি আনন্দিত হইলাম। আমি আমার নাম প্রত্যাহার করিব না—এই ধারণার বশবর্ত্তী হইয়া তিনি তাঁহার নাম প্রত্যাহার করিবার উপক্রম করিয়াছিলেন। কিন্তু আনন্দের বিষয় এই যে, আমি তাঁহাকে উহা হইতে নিবৃত্ত করিতে সমর্থ হইয়াছি। তিনি একজন অক্লান্তকর্মী ও ওয়ার্কিং কমিটির পুরাতন সদস্য। সভাপতি নির্বাচনের জন্য আমি প্রতিনিধিদের নিকট তাঁহার নাম সুপারিশ করিতেছি। আমি আশা করি, তিনি সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হইবেন।”

 সুভাষচন্দ্রকে দ্বিতীয়বার রাষ্ট্রপতি পদে গ্রহণ না করিবার প্রধান কারণ ছিল তাঁহার যুক্তরাষ্ট্র-বিরােধিতা। এদিকে ইউরােপের আকাশে তখন যুদ্ধের ঘনঘটা দেখা দিয়াছে। ব্যাপকভাবে লােকের ইহাই বিশ্বাস যে ইউরোপীয় যুদ্ধের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র পরিকল্পনা সম্বন্ধে কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থী নেতৃবৃন্দের সহিত বৃটিশ সরকারের আপোষের সম্ভাবনা আছে। সুতরাং দক্ষিণপন্থিগণ আপোষের পথে কণ্টকস্বরূপ এমন কোন বামপন্থী রাষ্ট্রপতি চাহেন না যিনি তাঁহাদের আপোষ আলোচনার পথে বাধা সৃষ্টি করিবেন। মৌলানা আজাদের বিবৃতির উত্তরে সুভাষচন্দ্র যে বিবৃতি দেন তাহাতে তিনি বলেন, “আসন্ন সভাপতি নির্বাচন ব্যাপারটি ব্যক্তিগত নহে, কাজেই এই বিষয়ে আলোচনা করিতে হইলে সকল রকম কৃত্রিম সৌজন্য পরিহার করিতে হইবে। সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী সংগ্রাম ক্রমশঃ তীব্রতর হইয়া উঠিয়াছে এবং নূতন ভাবধারা, নূতন আদর্শ ও কর্মসূচির সমস্যা দেখা দিয়াছে। অন্যান্য স্বাধীন দেশের মত ভারতে রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হইলে কোনও বিশেষ সমস্যা সম্পর্কে জনসাধারণের অভিমত সুস্পষ্টভাবে জানা যাইবে। এই সকল কারণে ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচনেও নির্দিষ্ট সমস্যা ও কর্মতালিকার ভিত্তিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়া সঙ্গত বলিয়া জনগণ বিচেনা করেন। এইদিক হইতে নির্ব্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা অবাঞ্ছনীয়ও নহে। * * আন্তর্জাতিক বিরোধ বৃদ্ধি পাইতেছে এবং যুক্তরাষ্ট্র পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম আসন্ন হইয়া উঠিতেছে। এই অবস্থায় আমাদের জাতীয় ইতিহাসে নূতন বৎসর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হইবে। এই সকল কারণে অধিকাংশ প্রতিনিধি যদি আমাকে কংগ্রেস সভাপতিপদে পুনরায় নির্বাচিত করিতে চাহেন, তবে আমি কোন্ যুক্তিতে প্রতিযোগিতা হইতে সরিয়া দাঁড়াইব? তবে মৌলানা আজাদের ন্যায় বিশিষ্ট নেতা যেরূপ আবেদন করিয়াছেন, তাহার ফলে অধিকাংশ প্রতিনিধি যদি আমার পুনর্নির্বাচনের বিরুদ্ধে ভোট দেন, তবে আমি বিশ্বস্তভাবে তাঁহাদিগের সিদ্ধান্ত মানিয়া লইব এবং সাধারণ সৈনিক হিসাবে কংগ্রেস ও দেশের সেবা করিব। নির্বাচন হইতে সরিয়া দাঁড়াইবার আমার অধিকার নাই। অতএব আমি সর্বতোভাবে আমার বিষয়ে বিবেচনা করিবার ভার প্রতিনিধিবর্গের হস্তে অর্পণ করিলাম। তাঁহাদিগের সিদ্ধান্তই আমি মানিয়া লইব।”

 সুভাষচন্দ্রের এই বিবৃতির প্রতিবাদে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির কতিপয় সদস্য এক বিবৃতি প্রচার করিয়া বলেন, “* * মৌলানা সাহেব এই নির্বাচন প্রতিযোগিতা হইতে সরিয়া দাঁড়াইতে বাধ্য হইয়াছেন দেখিয়া আমরা অতিশয় দুঃখিত হইয়াছি। কিন্তু তিনি যখন প্রতিবোগিতা না করিবার সিদ্ধান্ত চূড়ান্তভাবেই গ্রহণ করিয়াছেন, তখন তিনি আমাদের মধ্যে কয়েকজনের সহিত পরামর্শ করিয়াই ডাঃ পট্টভির নির্বাচন সমর্থন করিয়াছেন। যথেষ্ট বিবেচনা করিয়াই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে। আমরা মনে করি যে, খুব গুরুতর কোন কারণ না ঘটিলে বিদায়ী সভাপতিকে পুনরায় নির্ব্বাচন না করার নীতিই অক্ষুণ্ণ রাখা উচিত। * * * আমরা বিশ্বাস করি যে ডাঃ পট্টভি কংগ্রেসের সভাপতি হইবার সম্পূর্ণ যোগ্য ব্যক্তি। তিনি কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির প্রধানতম সদস্যগণের অন্যতম। তিনি দীর্ঘদিন ধরিয়া অবিচ্ছিন্নভাবে দেশসেবা করিয়া আসিতেছেন। আমরা তাই কংগ্রেস প্রতিনিধিগণের নিকট তাঁহার নির্বাচনের জন্য সুপারিশ জানাইতেছি। সুভাষবাবুর সহকর্মীরূপে আমরা তাঁহাকে তাঁহার সিদ্ধান্ত সম্বন্ধে পুনর্বিবেচনা করিতে এবং ডাঃ সীতারামিয়ার নির্ব্বাচন সর্ব্ববাদিসম্মত হইতে দিতে অনুরোধ করিতেছি।”

 সর্দার প্যাটেল ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হিসাবেই এই বিবৃতি প্রকাশ করিয়াছেন। বলা হইয়াছে যে, বহু আলোচনার ডাঃ পট্টভির নির্ব্বাচন সমর্থন করিবার সিদ্ধান্ত ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যদের এক ঘরোয়া বৈঠকে গৃহীত হইয়াছে। সর্দার প্যাটেলের পরবর্ত্তী বিবৃতিতে ইহাও প্রকাশ যে, মহাত্মা গান্ধীও ঐ ঘরোয়া আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন। আশ্চর্য্যের বিষয় কংগ্রেসের সভাপতি হইয়াও সুভাষচন্দ্র এবং ওয়ার্কিং কমিটির অন্যান্য সদস্যগণের কেহই (ওয়ার্কিং কমিটির) ঐ আলোচনা ও সিদ্ধান্তের কথা কিছুই জানিতেন না! সে যাহাই হউক, সুভাষচন্দ্র কংগ্রেসের আভ্যন্তরিক ঐক্য বজায় রাখিতেই চাহিয়াছিলেন। তিনি যে নির্ব্বাচন হইতে সরিয়া দাঁড়ান নাই তাহার কারণ তিনি মনে করেন যে, এবারকার সভাপতি নির্বাচন কোন ব্যক্তিগত ব্যাপার নহে—এই নির্ব্বাচনের দ্বারা কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ কর্মপন্থাই নির্দ্ধারিত হইবে। সর্দার প্যাটেল প্রমুখ নেতৃবৃন্দের বিবৃতির উত্তরে সুভাষচন্দ্র এক বিবৃতি প্রসঙ্গে তাঁহার সুচিন্তিত মত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “অনেকেই মনে করেন যে আগামী বৎসর যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে কংগ্রেসের দক্ষিণপন্থীদের সহিত বৃটিশ গভর্ণমেণ্টের আপোষ নিষ্পত্তির সম্ভাবনা আছে। কাজেই দক্ষিণপন্থীরা একজন বামপন্থী কংগ্রেস-সভাপতি নির্ব্বাচিত হওয়া পছন্দ করেন না— কেননা, তিনি এই আপোষ রফার অন্তরায় হইতে পারেন এবং আলোচনার পথে বিঘ্ন উৎপাদন করিতে পারেন। জনসাধারণের সহিত ঘনিষ্ঠভাবে মিশিলে এবং তাহাদের সহিত আলোচনা করিলেই বুঝা যায় যে, এই বিশ্বাস অত্যন্ত গভীর ও ব্যাপক। সুতরাং বর্ত্তমান অবস্থায় মনে-প্রাণে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী একজন কংগ্রেস সভাপতির প্রয়োজন। সভাপতিপদের জন্য আমার নাম প্রস্তাবিত হওয়ায় আমি সত্যই দুঃখিত হইয়াছি। এই জন্যই আমি বহুসংখ্যক বন্ধুকে বলিয়াছিলাম যে, আমার পরিবর্ত্তে বামপন্থীদের মধ্য হইতে একজন নূতন প্রার্থী দাঁড় করান উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে সেরূপ না করিয়া কয়েকটি প্রদেশ হইতে আমারই নাম প্রস্তাবিত হইয়াছে। এখনও যদি আচার্য্য নরেন্দ্র দেবের ন্যায় একজন প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী বামপন্থীকে আগামী বৎসরের সভাপতিপদে নির্ব্বাচিত করা হয়, তবে আমি নির্ব্বাচনদ্বন্দ্ব হইতে প্রতিনিবৃত্ত হইতে প্রস্তুত আছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, বর্ত্তমান সঙ্কটকালে একজন প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী কংগ্রেস সভাপতির নির্বাচন অপরিহার্য্য। দক্ষিণপন্থীরা যদি প্রকৃতই জাতীয় ঐক্য চাহেন, তবে একজন বামপন্থীকে সভাপতি নির্বাচন করিতে রাজী হওয়া তাঁহাদের পক্ষে সঙ্গত হইবে।”

 ২৯শে জানুয়ারী রবিবার সভাপতি নির্ব্বাচনের দিন ধার্য হয়। ঠিক তিন দিন পূর্ব্বে ২৬শে জানুয়ারী সুভাষচন্দ্র যে বিবৃতি প্রচার করেন তাহাতেও তিনি দক্ষিণপন্থীদের কংগ্রেসের মধ্যে বিভেদসৃষ্টির এই অশুভ প্রচেষ্টা যাহাতে পরিত্যক্ত হয় তাহার জন্য আকুল আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “এই শেষ মুহূর্ত্তেও যদি তাঁহারা একজন যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী সভাপতি নির্বাচিত করিতে সম্মত হন, তাহা হইলে এখনই এই বিরোধের অবসান ঘটিবে। আমার নিজের কথা আমি পূর্বেই ঘোষণা করিয়াছি। আসল প্রশ্ন হইল যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে। যদি কোন প্রকৃত যুক্তরাষ্ট্রবিরোধীকে সভাপতি নির্ব্বাচিত করা হয়, তবে সানন্দে আমি তাঁহার অনুকুলে সরিয়া দাঁড়াইব।” সুভাষচন্দ্র দেশবাসীকে এই বলিয়া সতর্ক করিয়া দেন যে, যদি নির্ব্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই অনিবার্য্য হইয়া উঠে তাহা হইলে কংগ্রেসের মধ্যে ভেদসৃষ্টির সম্পূর্ণ দায়িত্ব দক্ষিণপন্থীদের উপর পড়িবে—তাঁহারা কি সে দায়িত্ব গ্রহণে স্বীকৃত হইবেন, না প্রগতিশীল কর্মপন্থার ভিত্তিতে কংগ্রেসের আভ্যন্তরীণ ঐক্য ও সংহতি অটুট রাখাই বাঞ্ছনীয় মনে করেন? কিন্তু দক্ষিণ পন্থী নেতৃবর্গ তাহাতে কর্ণপাত করিলেন না। দুই পদপ্রার্থীর মধ্যে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলিতে লাগিল।

 ১৯২৯ সালের লাহোর কংগ্রেসের সময় হইতেই মহাত্মাগান্ধীর অভিপ্রায় ও নির্দ্দেশক্রমেই কংগ্রেসের সভাপতি নির্ব্বাচিত হইয়া আসিতেছে। মহাত্মার নির্দ্দেশ অনুসারে সভাপতি নির্বাচন এক প্রকার প্রথা হইয়া দাঁড়াইয়াছিল। ত্রিপুরী কংগ্রেসের অভ্যর্থনা সমিতির সভাপতি শেঠ গোবিন্দ দাসের ভাষায় বলতে গেলে “a practice has grown up to elect as the congress president the person upon whom Mahatma Gandhi's choice falls” কাজেই, এ পর্য্যন্ত কংগ্রেস-সভাপতি নির্বাচনে কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় নাই। সকলেই আশা করিয়াছিলেন গান্ধীজীর মধ্যস্থতায় এই অপ্রীতিকর নির্ব্বাচন দ্বন্দ্বের অবসান হইবে। কিন্তু মহাত্মা বাঙ্‌নিষ্পত্তি করিলেন না—একরূপ বিস্ময়কর নীরবতা অবলম্বন করিয়া রহিলেন। মহাত্মাজীর কোন ইঙ্গিত না পাইয়া ডেলিগেটগণ নিজ নিজ ইচ্ছানুযায়ী সভাপতি নির্ব্বাচনে প্রবৃত্ত হইলেন। ফলে কংগ্রেসের ইতিহাসে সর্ব্বপ্রথম সভাপতি পদের জন্য নির্ব্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হইল। নির্ব্বাচন পর্য্যন্ত সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নানা প্রকার অভিসন্ধিমূলক হীন ষড়যন্ত্র চলিতে থাকে। কিন্তু নির্ব্বাচনে জনগণ সুভাষচন্দ্রের অনুকূলেই রায় প্রদান করিলেন—কিঞ্চিদধিক দুইশত ভোটাধিক্যে সুভাষচন্দ্র দ্বিতীয়বার কংগ্রেসের সভাপতি নির্ব্বাচিত হইলেন। কেবল বাঙ্‌লা নহে, যুক্তপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, পাঞ্জাব, কেরলা, দিল্লী, আজমীর, আসাম, কর্ণাটক হইতেও তিনি বিপুল সমর্থন লাভ করেন। জনগণের রায় তাহাদের চিরপ্রিয় নির্ভীক যোদ্ধা সুভাষচন্দ্রের সমর্থনেই ঘোষিত হইল। সুভাষচন্দ্রের জয়লাভে গর্বান্ধ উপদলীয় প্রভুত্বের দর্প চূর্ণ হইল। সবজননিন্দিত যুক্তরাষ্ট পরিকল্পনাকে ভারতবর্ষের স্কন্ধে জোর করিয়া চাপাইবার গোপন চক্রান্ত ব্যর্থতায় পর্য্যবসিত হইল। সুভাষচন্দ্রের জয়লাভে ক্ষমতাভিমানী প্রবীণ দলের বিরুদ্ধে নবীনদলের জয় সূচিত হইল। তাঁহার পুনর্নির্ব্বাচনে কংগ্রেসের গতানুগতিকতা ও আপোষরফামূলক মোলায়েম নীতির পথ রুদ্ধ হইল।