পাতা:বাংলা শব্দতত্ত্ব - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Tanay barisha (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{কেন্দ্র|{{larger|ভাষার কথা}}}}
ভাষার কথা

श्रग्रांब्र प्रथम भूल श्द्र बांहे उथब 4नां८ब हिल छeझ cब्रण*थ, ७°ॉम्ब श्लि সরু । মাঝখানে একটা বিচ্ছেদ ছিল বলিয়া রেলপথের এই দ্বিধা আমাদের সহিয়াছিল। এখন সেই বিচ্ছেদ মিটিয়া গেছে তৰু ব্যবস্থার কার্পণ্যে যখন অর্ধেক রাত্রে জিনিসপত্র লইয়া গাড়ি বদল করিতে হয় তখন রেলের বিধাতাকে দোষ না দিয়া থাকিতে পারি না।
পদ্মায় যখন পুল হয় নাই তখন এপারে ছিল চওড়া রেলপথ, ওপারে ছিল
ও তো গেল মানুষ এবং মাল চলাচলের পথ, কিন্তু ভাব চলাচলের পথ হইল ভাষা। কিছুকাল হইতে বাংলাদেশে এই ভাষায় দুই বছরের পথ চলিত অাছে। একটা মুখের বুলির পথ, আর-একটা পুথির বুলির পথ । দুই-একজন সাহসিক বলিতে শুরু করিয়াছেন ষে, পথ এক মাপের হইলে সকল পক্ষেই স্ববিধা । অথচ ইহাতে বিস্তর লোকের অমত। এমন-কি তারা এতই বিচলিত ষে, সাধু ভাষার পক্ষে তারা যে ভাষা প্রয়োগ করিতেছেন তাহাতে বাংলা ভাষায় আর যা-ই হোক, সাধুতার চর্চা হইতেছে না।
সরু। মাঝখানে একটা বিচ্ছেদ ছিল বলিয়া রেলপথের এই দ্বিধা আমাদের
এ তর্কে যদিও আমি যোগ দিই নাই তৰু আমার নাম উঠিয়াছে। এ সম্বন্ধে আমার বে কী মত তাহা আমি ছাড়া আমার দেশের পনেরো-আন। লোকেই একপ্রকার ঠিক করিয়া লইয়াছেন, এবং ধার বা মনে আছে বলিতে কস্থর করেন নাই। ভাবিয়াছিলাম চারি দিকের তাপটা কমিলে ঠাণ্ডার সময় আমার কথাটা পাড়িয়া দেখিব। কিন্তু বুঝিয়াছি সে আমার জীবিতকালের মধ্যে ঘটিবার আশা নাই । অতএব আর সময় নষ্ট করিব না।
সহিয়াছিল। এখন সেই বিচ্ছেদ মিটিয়া গেছে তবু ব্যবস্থার কার্পণ্যে যখন
ছোটোবেলা হইতেই সাহিত্য রচনায় লাগিয়াছি। বোধ করি সেইজন্যই ভাষাটা কেমন হওয়া উচিত সে সম্বন্ধে আমার স্পষ্ট কোনো মত ছিল না। যে-বয়সে লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলাম তখন, পুথির ভাষাতেই পুথি লেখা চাই, এ কথায় সন্দেহ করিবার সাহল বা বুদ্ধি ছিল না। তাই, সাহিত্যভাষার পথটা এই সরু বহরের পথ, তাহা যে প্রাকৃত বাংলা ভাষার छeफ़ दश्ब्रब्र श्रृंथ बञ्च, ७हे कथॉफै। विबी विशांग्न बरबब अरथा नांक श्झेब्रा গিয়াছিল। i
অর্ধেক রাত্রে জিনিসপত্র লইয়া গাড়ি বদল করিতে হয় তখন রেলের বিধাতাকে
একবার যেটা অভ্যাস হইয়া ৰায় সেটাতে জায় নাড়া দিতে ইচ্ছা হয় না। কেননা স্বভাবের চেয়ে অভ্যাসের জোর বেশি। অভ্যালের মেঠো পথ দিয়৷
দোষ না দিয়া থাকিতে পারি না।

{{ফাঁক}}ও তো গেল মানুষ এবং মাল চলাচলের পথ, কিন্তু ভাব চলাচলের পথ
হইল ভাষা। কিছুকাল হইতে বাংলাদেশে এই ভাষায় দুই বহরের পথ
চলিত আছে। একটা মুখের বুলির পথ, আর-একটা পুঁথির বুলির পথ।
দুই-একজন সাহসিক বলিতে শুরু করিয়াছেন যে, পথ এক মাপের হইলে সকল
পক্ষেই সুবিধা । অথচ ইহাতে বিস্তর লোকের অমত । এমন-কি তারা এতই
বিচলিত যে, সাধু ভাষার পক্ষে তাঁরা যে ভাষা প্ৰয়োগ করিতেছেন তাহাতে
বাংলা ভাষায় আর যা-ই হোক, সাধুতার চর্চা হইতেছে না।

{{ফাঁক}}এ তর্কে যদিও আমি যোগ দিই নাই তবু আমার নাম উঠিয়াছে। এ
সম্বন্ধে আমার যে কী মত তাহা আমি ছাড়া আমার দেশের পনেরো-আনা
লোকেই একপ্রকার ঠিক করিয়া লইয়াছেন, এবং যাঁর যা মনে আছে বলিতে
কসুর করেন নাই। ভাবিয়াছিলাম চারি দিকের তাপটা কমিলে ঠাণ্ডার
সময় আমার কথাটা পাড়িয়া দেখিব। কিন্তু বুবিয়াছি সে অামার জীবিত-কালের
মধ্যে ঘটিবার আশা নাই । অতএব আর সময় নষ্ট করিব না।

{{ফাঁক}}ছোটোবেলা হইতেই সাহিত্য রচনায় লাগিয়াছি। বোধ করি সেই-জন্যই
ভাষাটা কেমন হওয়া উচিত সে সম্বন্ধে আমার স্পষ্ট কোনো মত ছিল
না। যে-বয়সে লিখিতে আরম্ভ করিয়াছিলাম তখন, পুঁথির ভাষাতেই পুঁথি
লেখা চাই, এ কথায় সন্দেহ করিবার সাহস বা বুদ্ধি ছিল না। তাই, সাহিত্য-ভাষার
পথটা এই সরু বহরের পথ, তাহা যে প্রাকৃত বাংলা ভাষার
চওড়া বহরের পথ নয়, এই কথাটা বিনা দ্বিধায় মনের মধ্যে পাকা হইয়া
গিয়াছিল।

{{ফাঁক}}একবার যেটা অভ্যাস হইয়া যায় সেটাতে আর নাড়া দিতে ইচ্ছা হয় না।
কেননা স্বভাবের চেয়ে অভ্যাসের জোর বেশি। অভ্যাসের মেঠো পথ দিয়া