পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/৩৫০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{xxxx-larger|{{কেন্দ্র|সভ্যাশ্রয়ী}}}}
সত্যাশ্রজ্জী

ছাত্র, যুবক ও সমবেত বন্ধুগণ,—ৰাঙলাভাষায় শব্দের অভাব ছিল না ; অথচ এই আশ্রমের যারা প্রতিষ্ঠাতা তারা বেছে বেছে এর নাম দিয়েছিল ‘অভয় আশ্রম’ । বাইরের লোকসমাজে প্রতিষ্ঠানটিকে অভিহিত করার নানা নামই ত ছিল, তবু তারা বললেন—অভয় আশ্রম । বাইরের পরিচয়ট গৌণ, মনে হয় যেন সঙ্ঘ স্থাপনা করে বিশেষভাবে তারা নিজেদেরই বলতে চেয়েছিলেন -স্বদেশের কাজে যেন আমরা নির্ভর হতে পারি, এ-জীবনের যাত্রাপথে যেন আমাদের ভয় না থাকে । সৰ্ব্বপ্রকার দুঃখ, দৈন্ত ও হীনতার মূলে মনুষ্যত্বের চরম শত্রু ভয়কে উপলব্ধি করে বিধাতার কাছে তারা অভয় বর প্রার্থনা করে নিয়েছিলেন । নামকরণের ইতিহাসে এই তথ্যটির মূল্য অাছে, এবং আজ আমার মনের মধ্যে কোন সংশয় নেই যে, সে আবেদন তাদের DD BB BBBB DD DDDDS BBBGB gBB BB BDD BBDDBBBB পরিচয় । দূর থেকে সামান্ত যা-কিছু বিবরণ শুনতে পেতাম, তার থেকে মনের মধ্যে আমার এই আকাজক্ষা প্রবল ছিল—একবার নিজের চোখে গিয়ে সমস্ত দেখে আসব। তাই, আমার পরম প্রতিভাজন প্রফুল্লচন্ত্র যমন আমাকে সরস্বতীপূজা উপলক্ষে এখানে আহবান করলেন, তার সে আমন্ত্রণ অামি নিরতিশয় আনশের সঙ্গেই গ্রহণ করলাম। শুধু একটি মাত্র সত্ত্ব করিয়ে নিলাম যে, অভয় আশ্রমের পক্ষ থেকে আমাকে অভয় দেওয়া হোক যে, মঞ্চে তুলে দিয়ে আমাকে অপাধ্য-সাধনে নিযুক্ত করা হবে না। বকৃত দেবার বিভীষিকা থেকে আমাকে মুক্তি দেওয়া হবে। জীবনে যদি কিছুকে ভয় করি, ত একেই করি। তবে এটুকুও বলেছিলাম—ষদি সময় পাই ত দু-এক ছত্র লিখে নিয়ে যাব। সে লেখা প্রয়োজনের দিক দিয়েও যৎসামান্য, উপদেশের দিক দিয়েও অকিঞ্চিৎকর ৷ ইচ্ছা ছিল, কথার বোঝ। আর না বাড়িয়ে উৎসবের মেলামেশায় আপনাদের কাছ থেকে আনন্দের সঞ্চয় নিয়ে ঘরে ফিরব । আমি সে সঙ্কল্প তুলিনি এবং এই দু-দিনে সঞ্চয়ের দিক থেকেও ঠকিনি । কিন্তু এ আমার নিজের দিক । বাইরেও একটা দিক আছে, সে ষধন এসে পড়ে, তার দায়িত্বও অস্বীকার করা ষায় না। তেমনি এলো প্রফুল্লচঞ্জের ছাপানো কাৰ্য্যতালিকা। রওনা হতে হবে, সময় নেই,-কিন্তু পড়ে দেখলাম, অভয় আশ্রম পশ্চিমবিক্রমপুর-নিবাসী ছাত্র ও যুবকদের মিলনক্ষেত্রের আয়োজন করছে। ছেলেরা
ছাত্র, ধ্রুবক ও সমবেত বন্ধুগণ,9বাঙলাভাষার শব্দের অভাব ছিল না; অথচ
இேரு
এই আশ্রমের ধীরা প্রতিষ্ঠাতাতারা বেছে বেছে এর নাম দিয়েছিল ‘অভয় আশ্রম’।
বাইরের লোকসমাজে প্রতিষ্ঠানটিকে অভিহিত করার নানা নামই ত ছিল, তবু তারা
বললেন —অ ভয় আশ্রম। বাইরের পরিচয়টা গৌণ, মনে হয় যেন সজ্য স্থাপনা করে
বিশেষভাবে তারা নিজেদেরই বলতে চেয়েছিলেন — স্বদেশের কাজে যেন আমরা নির্ভর
হতে পারি, এ-জীবনের যাত্রাপথে যেন আমাদের ভয় না থাকে। সর্বপ্রকার ছঃখ,
া্যৈ ও হীনতার মূলে মন্থতত্বের চরম শত্ৰ ভয়কে উপলব্ধি করে বিধাতার কাছে তারা
অভয় বর প্রার্থনা করে নিয়েছিলেন॥ নামকরণের ইতিহাসে এই তথ্যটির মূল্য
আছেএবং আজ আমার মনের মধ্যে কোন সংশয় নেই যে, সে আবেদন তাদের
বিধা তার দরবারে মথুর হয়েছে। কৰ্ম্মফরে এদের সঙ্গে আমার অনেকদিনের
পরিচয়। দুর থেকে সামাষ্ঠ্য যা-কিছু বিবরণ শুনতে পেতাম, তার থেকে মনের মধ্যে
আমার এই আকাঙ্ক৷ প্রবল ছিল—একবার নিজের চোখে গিয়ে সমস্ত দেখে আসব।
তাই, আমার পরম প্রীতিভাজন প্রচুর চত্র যমন আমাকে সরবতীপূজা উপলক্ষে
এখানে আহবান করলেন, তার সে আমন্ত্রণ আমি নিরতিশয় আনন্দের সঙ্গেই
গ্রহণ করলাম। শুধু একটি মাত্র সর্ত করিয়ে নিলাম যে, অভয় আশ্ৰমের পক্ষ থেকে
আমাকে অ ভয় দেওয়া হোক যে, ধধে তুলে দিয়ে আমাকে অসাধ্য-সাধনে নিম্নক
করা হবে না। বন্ধু তা দেবার বিভীষিকা থেকে আমাকে মুক্তি দেওয়া হবে।
জীবনে ঘহি কিছুকে ভয় করি, ত একেই করি। তবে এটুকুও বলেছিলাম— মজি
সময় পাই ত দু-এক ছত্র লিখে নিয়ে যাব। সে লেখা প্রয়োজনের দিক দিয়েও
যৎসামান্য, উপদেশের দিক দিয়েও অকিঞ্চিংকর। ইচ্ছা ছিল, কথার বোঝা আর
না বাড়িয়ে উৎসবের মেলামেশায় আপনাদের কাছ থেকে আনন্দের সঞ্চয় নিয়ে ধরে
ফিরব। আমি সে সঙ্কল্প তুলিনি এবং এই ছবিনে সঞ্চয়ের দিক থেকেও ঠকিনি।
কিন্তু এ আমার নিজের দিক। বাইরেও একটা দিক আছে, সে যধন এসে পড়ে,
তার দায়িত্বও অস্বীকার করা যায় না। তেমনি এলো গ্রফুল্লচত্রের ছাপানো কাৰ্য্য
তালিকা। রওনা হতে হবে, সময় নেই,~কিন্তু পড়ে দেখলাম, অভয় আশ্রম পশ্চিম
ৰিক্ৰমরমিবাসী ছাজ.ও ধ্রুবকরে মিলনক্ষেত্রের আয়োজন করছে। ছেলেরা