পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
নক্ষত্ররায় কাষ্ঠহাসি হাসিয়া বলিলেন, “হাঃ হাঃ, ভ্রাতৃস্নেহ! ঠাকুরমশায় বেশ বলিলেন যা হোক, ভ্রাতৃস্নেহ!”
ミ● রাজর্ষি

নক্ষত্ররায় উদারভাবে কহিলেন, “আচ্ছা, জয়সিংহকে মন্ত্রী করিব।” রঘুপতি কছিলেন, “সে কথা পরে হইবে। রাজা হইবার আগে কী করিতে হইবে সেটা শোনো আগে । মা রাজরক্ত দেখিতে চান, স্বপ্নে আমার প্রতি এই আদেশ হইয়াছে।”
এমন মজার কথা, এমন হাসিবার কথা যেন আর হয় না। ভ্রাতৃস্নেহ! কী লজ্জার বিষয়! কিন্তু অন্তর্যামী জানেন, নক্ষত্ররায়ের প্রাণের ভিতরে ভ্রাতৃস্নেহ জাগিতেছে, তা হাসিয়া উড়াইবার জো নাই।
নক্ষত্ররায় কহিলেন, “মা রাজরক্ত দেখিতে চান, স্বপ্নে আপনার প্রতি এই আদেশ হইয়াছে ! এ তে বেশ কথা ।”

রঘুপতি কহিলেন, “তোমাকে গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত আনিতে হইবে।” &
রঘুপতি কহিলেন, “তা হইলে কী করিবে বলো।”
নক্ষত্ররায় খানিকট হা করিয়া রহিলেন । এ কথাটা তত “বেশ" বলিয়া মনে হইল না ।

রঘুপতি তীব্র স্বরে কছিলেন, “সহসা ভ্রাতৃস্নেহের উদয় হইল নাকি!” নক্ষত্ররায় কাষ্ঠহাসি হাসিয়া বলিলেন, “হাঃ হাঃ, ভ্রাতৃস্নেহ ঠাকুরমশায় বেশ বলিলেন যা-হোক, ভ্রাতৃস্নেহ ।”
নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কী করিব বলুন!”
এমন মজার কথা, এমন হাসিবার কথা যেন আর হয় না । ভ্রাতৃস্নেহ ! কী লজ্জার বিষয় ! কিন্তু অন্তর্যামী জানেন, নক্ষত্ররায়ের প্রাণের ভিতরে ভ্রাতৃস্নেহ জাগিতেছে, তা হাসিয়া উড়াইবার জো নাই ।

রঘুপতি কহিলেন, “তা হইলে কী করিবে বলে ।” নক্ষত্ররায় কছিলেন, "কী করিব বলুন।” রঘুপতি। কথাটা ভালো করিয়া শোনো । তোমাকে গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত মায়ের দর্শনার্থ আনিতে হইবে ।
নক্ষত্ররায় মন্ত্রের মতে বলিয়া গেলেন, “গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত মায়ের দর্শনার্থ আনিতে হইবে।”
রঘুপতি। কথাটা ভালো করিয়া শোনো। তোমাকে গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত মায়ের দর্শনার্থ আনিতে হইবে।

রঘুপতি নিতান্ত ঘৃণার সহিত বলিয়া উঠিলেন, “না, তোমার দ্বারা" কিছু হইবে না।” Ç
নক্ষত্ররায় মন্ত্রের মতো বলিয়া গেলেন, “গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত মায়ের দর্শনার্থ আনিতে হইবে।”
নক্ষত্ররায় কছিলেন, “কেন হইবেন ? যাহা বলিবেন তাহাই হইবে ।

রঘুপতি নিতান্ত ঘৃণার সহিত বলিয়া উঠিলেন, “নাঃ, তোমার দ্বারা কিছু হইবে না।”

নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কেন হইবে না? যাহা বলিবেন তাহাই হইবে।