পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৩১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

+
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
ধ্রুব দুলিয়া দুলিয়া বলিতে লাগিল–
ধ্রুব দুলিয়া দুলিয়া বলিতে লাগিল–


হরি তোমায় ডাকি– বালক একাকী,
{{কেন্দ্র|<poem>হরি তোমায় ডাকি– বালক একাকী,
<poem>আঁধার অরণ্যে ধাই হে।
<poem>আঁধার অরণ্যে ধাই হে।
গহন তিমিরে নয়নের নীরে
গহন তিমিরে নয়নের নীরে
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
তোমার ভক্ত কভু হয় না পথহারা,
তোমার ভক্ত কভু হয় না পথহারা,
ধ্রুব তোমায় চাহে তুমি ধ্রুবতারা–
ধ্রুব তোমায় চাহে তুমি ধ্রুবতারা–
আর কার পানে চাই হে।</poem>
আর কার পানে চাই হে।</poem></poem>}}


‘র’য়ে-‘ল’য়ে ‘ড’য়ে-‘দ’য়ে উলটপালট করিয়া, অর্ধেক কথা মুখের মধ্যে রাখিয়া, অর্ধেক কথা উচ্চারণ করিয়া, ধ্রুব দুলিয়া দুলিয়া সুধাময় কণ্ঠে এই শ্লোক পাঠ করিল। শুনিয়া রাজার প্রাণ আনন্দে নিমগ্ন হইয়া গেল, প্রভাত দ্বিগুণ মধুর হইয়া উঠিল, চারি দিকে নদী-কানন তরুলতা হাসিতে লাগিল। কনকসুধাসিক্ত নীলাকাশে তিনি কাহার অনুপম সুন্দর সহাস্য মুখচ্ছবি দেখিতে পাইলেন। ধ্রুব যেমন তাঁহার কোলে বসিয়া আছে– তাঁহাকেও তেমনি কে যেন বাহুপাশের মধ্যে, কোলের মধ্যে তুলিয়া লইল। তিনি আপনাকে, আপনার চারি দিকের সকলকে,
‘র’য়ে-‘ল’য়ে ‘ড’য়ে-‘দ’য়ে উলটপালট করিয়া, অর্ধেক কথা মুখের মধ্যে রাখিয়া, অর্ধেক কথা উচ্চারণ করিয়া, ধ্রুব দুলিয়া দুলিয়া সুধাময় কণ্ঠে এই শ্লোক পাঠ করিল। শুনিয়া রাজার প্রাণ আনন্দে নিমগ্ন হইয়া গেল, প্রভাত দ্বিগুণ মধুর হইয়া উঠিল, চারি দিকে নদী-কানন তরুলতা হাসিতে লাগিল। কনকসুধাসিক্ত নীলাকাশে তিনি কাহার অনুপম সুন্দর সহাস্য মুখচ্ছবি দেখিতে পাইলেন। ধ্রুব যেমন তাঁহার কোলে বসিয়া আছে– তাঁহাকেও তেমনি কে যেন বাহুপাশের মধ্যে, কোলের মধ্যে তুলিয়া লইল। তিনি আপনাকে, আপনার চারি দিকের সকলকে,