পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৬৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
কাছ হইতে দূরে থাকিবে দেবতা তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকুন, তোমার মঙ্গল করুন।”
Nყხ• রাজর্ষি

কাছ হইতে দূরে থাকিবে দেবতা তোমার সঙ্গে সঙ্গে থাকুন, তোমার মঙ্গল করুন ।”
ংবাদ দেখিতে দেখিতে রাষ্ট্র হইল। অন্তঃপুরে ক্ৰন্দনধ্বনি উঠিল । রাজা নিভৃত কক্ষে দ্বার রুদ্ধ করিয়া বসিয়া পড়িলেন। জোড়হাতে কহিতে লাগিলেন, “প্ৰভু, আমি যদি কখনো অপরাধ করি আমাকে মার্জন। করিয়ে না, আমাকে কিছুমাত্র দয়া করিয়ে না। আমাকে আমার পাপের শাস্তি দাও পাপ করিয়া শাস্তি বহন করা যায়,কিন্তু মার্জনাভার বহন করা যায় না প্ৰভু !”
সংবাদ দেখিতে দেখিতে রাষ্ট্র হইল। অন্তঃপুরে ক্রন্দনধ্বনি উঠিল। রাজা নিভৃত কক্ষে দ্বার রুদ্ধ করিয়া বসিয়া পড়িলেন। জোড়হাতে কহিতে লাগিলেন, “প্রভু, আমি যদি কখনো অপরাধ করি, আমাকে মার্জনা করিয়ো না, আমাকে কিছুমাত্র দয়া করিয়ো না। আমাকে আমার পাপের শাস্তি দাও। পাপ করিয়া শাস্তি বহন করা যায়, কিন্তু মার্জনাভার বহন করা যায় না প্রভু!”

নক্ষত্ররায়ের প্রেম রাজার মনে দ্বিগুণ জাগিতে লাগিল । নক্ষত্ররায়ের ছেলেবেলাকার মুখ তাহার মনে পড়িতে লাগিল। সে যে-সকল খেলা করিয়াছে, কথা কহিয়াছে, কাজ করিয়াছে, তাহা একে একে তাহার মনে উঠিতে লাগিল । এক-একটা দিন এক-একটা রাত্রি তাহার স্বর্যkলাকের মধ্যে, তাহার তারাখচিত আকাশের মধ্যে শিশু নক্ষত্ররায়কে লইয়া তাহার সম্মুখে উদয় হইল। রাজার দুই চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল ।
নক্ষত্ররায়ের প্রেম রাজার মনে দ্বিগুণ জাগিতে লাগিল। নক্ষত্ররায়ের ছেলেবেলাকার মুখ তাঁহার মনে পড়িতে লাগিল। সে যে-সকল খেলা করিয়াছে, কথা কহিয়াছে, কাজ করিয়াছে, তাহা একে একে তাঁহার মনে উঠিতে লাগিল। এক-একটা দিন, এক-একটা রাত্রি তাহার সূর্যালোকের মধ্যে, তাহার তারাখচিত আকাশের মধ্যে শিশু নক্ষত্ররায়কে লইয়া তাঁহার সম্মুখে উদয় হইল। রাজার দুই চক্ষু দিয়া জল পড়িতে লাগিল।
উনবিংশ পরিচ্ছেদ
<section begin="18" /><section end="18" />
<section begin="19" />{{কেন্দ্র|{{x-larger|উনবিংশ পরিচ্ছেদ}}}}
নির্বাসনোদ্যত রঘুপতিকে যখন প্রহরীরা জিজ্ঞাসা করিল “ঠাকুর, কোন দিকে যাইবেন তখন রঘুপতি উত্তর করিলেন, “পশ্চিম দিকে যাইব ।”
নির্বাসনোদ্যত রঘুপতিকে যখন প্রহরীরা জিজ্ঞাসা করিল “ঠাকুর, কোন দিকে যাইবেন তখন রঘুপতি উত্তর করিলেন, “পশ্চিম দিকে যাইব ।”
নয় দিন পশ্চিমমুখে যাত্রার পর বন্দী ও প্রহরীরা ঢাকা শহরের কাছাকাছি আসিয়া পৌছিল। তখন প্রহরীর রঘুপতিকে ছাড়িয়া দিয়া রাজধানীতে ফিরিয়া আসিল । '
নয় দিন পশ্চিমমুখে যাত্রার পর বন্দী ও প্রহরীরা ঢাকা শহরের কাছাকাছি আসিয়া পৌছিল। তখন প্রহরীর রঘুপতিকে ছাড়িয়া দিয়া রাজধানীতে ফিরিয়া আসিল । '
রঘুপতি মনে মনে বলিলেন, ‘কলিতে ব্ৰহ্মশাপ ফলে না। দেখা যাক । ব্রাহ্মণের বুদ্ধিতে কতটা হয়। দেখা যাক, গোবিন্দমাণিক্যইঞ্জ কেমন রাজা,জার আমিই বা কেমন পুরোহিত-ঠাকুর। -
রঘুপতি মনে মনে বলিলেন, ‘কলিতে ব্ৰহ্মশাপ ফলে না। দেখা যাক । ব্রাহ্মণের বুদ্ধিতে কতটা হয়। দেখা যাক, গোবিন্দমাণিক্যইঞ্জ কেমন রাজা,জার আমিই বা কেমন পুরোহিত-ঠাকুর।
<section end="19" />