|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
⚫ |
ছোটো ছেলেটি মিত-বরের মতো তাহার গলার দড়িটি ধরিয়া তাহার সঙ্গে সঙ্গে আসিতেছে। উলু-শঙ্খধ্বনির মধ্যে পাত্র সভাস্থ হইল। |
|
রাজর্ষি వి) |
|
|
|
|
⚫ |
ছোটো ছেলেটি মিত-বরের মতো তাহার গলারদড়িটি ধরিয়া তাহার সঙ্গে সঙ্গে আসিতেছে। উলু-শঙ্খধ্বনির মধ্যে পাত্র সভাস্থ হইল। |
|
|
পুরোহিতের নাম কেনারাম, কিন্তু নক্ষত্ররায় তাহার নাম রাখিয়াছিলেন রঘুপতি নক্ষত্ররায় আসল রঘুপতিকে ভয় করিতেন, এইজন্য নকল রঘুপতিকে লইয়া খেলা করিয়া সুখী হইতেন। এমন-কি, কথায় কথায় তাহাকে উৎপীড়ন করিতেন ; গরিব কেনারাম সমস্ত নীরবে সহ করিত। আজ, দৈবস্তুর্বিপাকে কেনারাম সভায় অনুপস্থিত— তাহার ছেলেটি জরবিকারে মরিতেছে । |
|
পুরোহিতের নাম কেনারাম, কিন্তু নক্ষত্ররায় তাহার নাম রাখিয়াছিলেন রঘুপতি। নক্ষত্ররায় আসল রঘুপতিকে ভয় করিতেন, এইজন্য নকল রঘুপতিকে লইয়া খেলা করিয়া সুখী হইতেন। এমন-কি, কথায় কথায় তাহাকে উৎপীড়ন করিতেন; গরিব কেনারাম সমস্ত নীরবে সহ্য করিত। আজ দৈবদুর্বিপাকে কেনারাম সভায় অনুপস্থিত– তাহার ছেলেটি জ্বরবিকারে মরিতেছে! |
|
|
|
|
নক্ষত্ররায় অধীর স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “রঘুপতি কোথায় ?” ভূত্য বলিল, “তাহার বাড়িতে ব্যামো ।” নক্ষত্ররায় দ্বিগুণ হাকিয়া বলিলেন, “বোলাও উসকো ।” লোক ছুটিল। ততক্ষণ রোরুদ্যমান বিড়ালের সমক্ষে নাচগান চলিতে লাগিল । |
|
|
|
নক্ষত্ররায় অধীর স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “রঘুপতি কোথায়?” |
⚫ |
নক্ষত্ররায় বলিলেন, “সাহান গাও।” সাহানা গান আরম্ভ হইল । কিয়ৎক্ষণ পরে ভূত্য আসিয়া নিবেদন করিল, রঘুপতিআসিয়াছেন।” নক্ষত্ররায় সরোষে বলিলেন, “বোলাও ।” - তৎক্ষণাৎ পুরোহিত গৃহে প্রবেশ করিলেন । পুরোহিতকে দেখিয়াই নক্ষত্ররায়ের ক্রকুটি কোথায় মিলাইয়া গেল, তাহার সম্পূর্ণ ভাবাস্তর উপস্থিত হইল। র্তাহার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল, কপালে ঘর্ম দেখা দিল । সাহানা গান সারঙ্গ ও মৃদঙ্গ সহসা বন্ধ হইল , কেবল বিড়ালের মিউ -মিউ ধনি নিস্তব্ধ ঘরে দ্বিগুণ জাগিয়া উঠিল । |
|
|
|
|
⚫ |
এ রঘুপতিই বটে। তাহার আর সন্দেহ নাই। দীর্ঘ, শীর্ণ, তেজস্বী, বহুদিনের ক্ষুধিত কুকুরের মতো চক্ষু দুটাে জলিতেছে। যুলায় পরিপূর্ণ দুই পা তিনি কিংখাব -মছলদের উপর স্থাপন করিয়া মাথা তুলিয়। দাড়াইলেন। বলিলেন, “নক্ষত্ররায় !” |
|
|
|
ভৃত্য বলিল, “তাঁহার বাড়িতে ব্যামো।” |
|
|
|
|
|
নক্ষত্ররায় দ্বিগুণ হাঁকিয়া বলিলেন, “বোলাও উস্কো।” |
|
|
|
|
|
লোক ছুটিল। ততক্ষণে রোরুদ্যমান বিড়ালের সমক্ষে নাচগান চলিতে লাগিল। |
|
|
|
|
|
নক্ষত্ররায় বলিলেন, “সাহানা-গাও।” সাহানা গান আরম্ভ হইল। |
|
|
|
|
|
কিয়ৎক্ষণ পরে ভৃত্য আসিয়া নিবেদন করিল, “রঘুপতি আসিয়াছেন।” |
|
|
|
|
|
নক্ষত্ররায় সরোষে বলিলেন, “বোলাও।” |
|
|
|
|
⚫ |
তৎক্ষণাৎ পুরোহিত গৃহে প্রবেশ করিলেন। পুরোহিতকে দেখিয়াই নক্ষত্ররায়ের ভ্রূকুটি কোথায় মিলাইয়া গেল, তাঁহার সম্পূর্ণ ভাবান্তর উপস্থিত হইল। তাঁহার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল, কপালে ঘর্ম দেখা দিল। সাহানা -গান , সারঙ্গ ও মৃদঙ্গ সহসা বন্ধ হইল ; কেবল বিড়ালের মিউ মিউ ধ্বনি নিস্তব্ধ ঘরে দ্বিগুণ জাগিয়া উঠিল ! |
|
|
|
|
⚫ |
এ রঘুপতিই বটে। তাহার আর সন্দেহ নাই। দীর্ঘ, শীর্ণ, তেজস্বী, বহুদিনের ক্ষুধিত কুকুরের মতো চক্ষু দুটো জ্বলিতেছে। ধুলায় পরিপূর্ণ দুই পা তিনি কিংখাব মছলন্দের উপর স্থাপন করিয়া মাথা তুলিয়া দাঁড়াইলেন। বলিলেন, “নক্ষত্ররায়!” |