পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৯৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
বাঁশবনের মধ্যে বসিয়া বসিয়া তোমার হিতাকাঙ্ক্ষী দাদার ধ্যান করো। আমি চলিলাম।”
রাজর্ষি so

বাশবনের মধ্যে বসিয়া বসিয়া তোমার হিতাকাজী দাদার ধ্যান করে
বলিয়া রঘুপতি প্রস্থানের উদ্‌‍যোগ করিলেন। নক্ষত্ররায় তাড়াতাড়ি তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া কহিলেন, “আমিও যাইব ঠাকুর, কিন্তু দেওয়ানজি যদি যাইতে চান তাঁহাকে আমাদের সঙ্গে লইয়া যাইতে কি আপত্তি আছে?”
আমি চলিলাম । Q

বলিয় রঘুপতি প্রস্থানের উদ্যোগ করিলেন। নক্ষত্ররায় তাড়াতাড়ি তাহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া কহিলেন, “আমিও যাইব ঠাকুর, কিন্তু দেওয়ানজি যদি যাইতে চান তাহাকে আমাদের সঙ্গে লইয়া যাইতে কি আপত্তি আছে ?”
রঘুপতি কহিলেন, “আমি ছাড়া আর কেহ সঙ্গে যাইবে না।”
রঘুপতি কহিলেন, “আমি ছাড়া আর কেহ সঙ্গে যাইবে না।”

বাড়ি ছাড়িয়া নক্ষত্ররায়ের পা সরিতে চায় না। এই সমস্ত মুখের খেলা ছাড়িয়া, দেওয়ানজিকে ছাড়িয়া, রঘুপতির সঙ্গে একলা কোথায় যাইতে হইবে কিন্তু রঘুপতি যেন তাহার কেশ ধরিয়া টানিয়া লইয়া চলিলেন। তাহা ছাড়া নক্ষত্ররায়ের মনে একপ্রকার ভয়মিশ্রিত কৌতুহলও জন্মিতে লাগিল । তাহারও একটা ভীষণ আকর্ষণ আছে ।
বাড়ি ছাড়িয়া নক্ষত্ররায়ের পা সরিতে চায় না। এই-সমস্ত সুখের খেলা ছাড়িয়া, দেওয়ানজিকে ছাড়িয়া, রঘুপতির সঙ্গে একলা কোথায় যাইতে হইবে! কিন্তু রঘুপতি যেন তাঁহার কেশ ধরিয়া টানিয়া লইয়া চলিলেন। তাহা ছাড়া নক্ষত্ররায়ের মনে এক-প্রকারভয়মিশ্রিত কৌতূহলও জন্মিতে লাগিল। তাহারও একটা ভীষণ আকর্ষণ আছে।
নৌকা প্রস্তুত আছে। নদীতীরে উপস্থিত হইয়া নক্ষত্ররায় দেখিলেন, কাধে গামছা ফেলিয়া পীতাম্বর স্নান করিতে আসিতেছেন । নক্ষত্ৰকে দেখিয়াই পীতাম্বর হাস্তবিকশিত মুখে কহিলেন, “জয়োস্তু মহারাজ, শুনিলাম নাকি কাল কোথা হইতে এক অলক্ষণমস্ত বিটল ব্রাহ্মণ আসিয়া শুভবিবাহের ব্যাঘাত করিয়াছে ?”
নৌকা প্রস্তুত আছে। নদীতীরে উপস্থিত হইয়া নক্ষত্ররায় দেখিলেন, কাঁধে গামছা ফেলিয়া পীতাম্বর স্নান করিতে আসিয়াছেন। নক্ষত্রকে দেখিয়াই পীতাম্বর হাস্যবিকশিত মুখে কহিলেন, “জয়োস্তু মহারাজ! শুনিলাম নাকি কাল কোথা হইতে এক অলক্ষণমন্ত বিটল ব্রাহ্মণ আসিয়া শুভবিবাহের ব্যাঘাত করিয়াছে।”
নক্ষত্ররায় অস্থির হইয়া পড়িলেন। রঘুপতি গভীর স্বরে কছিলেন, *আমিই সেই বিটল ব্রাহ্মণ ।”

পীতাম্বর হাসিয়া উঠিলেন ; কহিলেন, “তবে তো আপনার সাক্ষাতে আপনার বর্ণনা করাটা ভালো হয় নাই। জানিলে কোন পিতার পুত্র এমন কাজ করিত ! কিছু মনে করিবেন না ঠাকুর, অসাক্ষাতে লোকে
নক্ষত্ররায় অস্থির হইয়া পড়িলেন। রঘুপতি গম্ভীরস্বরে কহিলেন, “আমিই সেই বিটল ব্রাহ্মণ।”
• কী না বলে ? আমাকে যাহারা সম্মুখে বলে রাজা তাহারা আড়ালে বলে পিতু। মুখের সামনে কিছু না বলিলেই হইল, আমি তো এই বুঝি। আসল কথা কী জানেন, আপনার মুখটা কেমন ভারী অপ্রসন্ন

পীতাম্বর হাসিয়া উঠিলেন; কহিলেন, “তবে তো আপনার সাক্ষাতে আপনার বর্ণনা করাটা ভালো হয় নাই। জানিলে কোন্‌ পিতার পুত্র এমন কাজ করিত! কিছু মনে করিবেন না ঠাকুর, অসাক্ষাতে লোকে কী না বলে! আমাকে যাহারা সম্মুখে বলে রাজা, তাহারা আড়ালে বলে পিতু। মুখের সামনে কিছু না বলিলেই হইল, আমি তো এই বুঝি। আসল কথা কী জানেন, আপনার মুখটা কেমন ভারী অপ্রসন্ন