পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৭৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
এইরূপে ছয় বৎসর কাটিয়া গেলে ছত্রমাণিক্যের মৃত্যু হইল। গোবিন্দমাণিক্যকে সিংহাসনে ফিরাইয়া লইবার জন্য ত্রিপুরা হইতে দূত আসিল।
›ዓ8 রাজর্ষি

এইরূপে ছয় বৎসর কাটিয়া গেলে ছত্রমাণিক্যের মৃত্যু হইল । গোবিন্দমাণিক্যকে সিংহাসনে, ফিরাইয়া লইবার জন্য ত্রিপুরা হইতে দূত আসিল । • ' r. 1 গোবিন্দমাণিক্য প্রথমে বলিলেন, “আমি রাজ্যে ফিরিব না ।” বিম্বন কহিলেন, “সে হইবে না মহারাজ, ধর্ম যখন স্বয়ং দ্বারে আসিয়া আহবান করিতেছেন তখন র্তাহাকে অবহেলা করিবেন না ।”
গোবিন্দমাণিক্য প্রথমে বলিলেন, “আমি রাজ্যে ফিরিব না।”
রাজা তাহার ছাত্রদের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “আমার এতদিনকার আশা অসমাপ্ত, এতদিনকার কার্য অসম্পূর্ণ রহিবে ?”

বিম্বন কহিলেন, “এখানে তোমার কার্য আমি করিব।” রাজা কহিলেন, “তুমি যদি এখানে থাক তাহা হইলে আমা সেখানকার কার্য অসম্পূর্ণ হইবে।”
বিল্বন কহিলেন, “সে হইবে না মহারাজ! ধর্ম যখন স্বয়ং দ্বারে আসিয়া আহ্বান করিতেছেন তখন তাঁহাকে অবহেলা করিবেন না।”
বিম্বন কহিলেন, “না মহারাজ, এখন আমাকে আর তোমার আবশ্বক নাই। তুমি এখন আপনার প্রতি আপনি সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে পার । আমি যদি সময় পাই তো মাঝে মাঝে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইব ।” !

রাজা ধ্রুবকে সঙ্গে লইয়া রাজ্যে প্রবেশ করিলেন । এৰ এখন আর নিতান্ত ক্ষুদ্র নহে। সে বিলনের প্রসাদে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়া শাস্ত্র-অধ্যয়নে মন দিয়াছে। রঘুপতি পুনর্বার পৌরোহিত্য গ্রহণ করিলেন। এবার মন্দিরে আসিয়া যেন মৃত জয়সিংহকে পুনর্বার জীবিতভাবে প্রাপ্ত হইলেন ।
রাজা তাঁহার ছাত্রদের দিকে চাহিয়া কহিলেন, “আমার এতদিনকার আশা অসমাপ্ত, এতদিনকার কার্য অসম্পূর্ণ রহিবে?”
এ দিকে বিশ্বাসঘাতক আরাকান-পতি মুজাকে হত্যা করিয়া তাহার, সর্বকনিষ্ঠ কন্যাকে বিবাহ করেন । ..!

‘দুর্ভাগ মুজার প্রতি আরাকান-পতির নৃশংসতা স্মরণ কফুি:ি গোবিন্দ্রমাণিক্য দুঃখ করিতেন। মুজার নাম চিরস্মরণীয় করিৰার জী তুিন তরবারের বিনিময়ে বহুতর অর্থ স্বারা কুমিল্লা নগরীতে এক_ি
বিল্বন কহিলেন, “এখানে তোমার কার্য আমি করিব।”

রাজা কহিলেন, “তুমি যদি এখানে থাক তাহা হইলে আমার সেখানকার কার্য অসম্পূর্ণ হইবে।”

বিল্বন কহিলেন, “না মহারাজ, এখন আমাকে আর তোমার আবশ্যক নাই। তুমি এখন আপনার প্রতি আপনি সম্পূর্ণ নির্ভর করিতে পার। আমি যদি সময় পাই তো মাঝে মাঝে তোমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইব।”

রাজা ধ্রুবকে সঙ্গে লইয়া রাজ্যে প্রবেশ করিলেন। ধ্রুব এখন আর নিতান্ত ক্ষুদ্র নহে। সে বিল্বনের প্রসাদে সংস্কৃত ভাষা শিক্ষা করিয়া শাস্ত্র-অধ্যয়নে মন দিয়াছে। রঘুপতি পুনর্বার পৌরহিত্য গ্রহণ করিলেন। এবার মন্দিরে আসিয়া যেন মৃত জয়সিংহকে পুনর্বার জীবিতভাবে প্রাপ্ত হইলেন।

এ দিকে বিশ্বাসঘাতক আরাকান-পতি সুজাকে হত্যা করিয়া তাঁহার সর্বকনিষ্ঠ কন্যাকে বিবাহ করেন।–

‘দুর্ভাগা সুজার প্রতি আরাকান-পতির নৃশংসতা স্মরণ করিয়া গোবিন্দমাণিক্য দুঃখ করিতেন। সুজার নাম চিরস্মরণীয় করিবার জন্য তিনি তরবারের বিনিময়ে বহুতর অর্থ - দ্বারা কুমিল্লা-নগরীতে একটি