পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৬৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
না, তাহারা বুঝিয়াছিল মহম্মদ ইচ্ছাপূর্বক বিপদসাগরে ঝাঁপ দিয়াছেন, সেখানে তাঁহার দলভুক্ত হইতে যাওয়া বাতুলতা।
রাজর্ষি ఆలి

মা ; তাহারা বুঝিয়াছিল, মহম্মদ ইচ্ছাপূর্বক বিপদসাগরে বাপ দিয়াছেন, সেখানে তাহার দলভুক্ত হইতে যাওয়া বাতুলত ।
মুজ এবং মহম্মদের বিশ্বাস ছিল যে, সম্রাটু-সৈন্তের অধিকাংশই যুদ্ধক্ষেত্রে কুমার মহম্মদের সহিত যোগ দিবে। এই আশায় মহম্মদ নিজের নিশান উড়াইয়া যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। বৃহৎ এক দল সম্রাটু-সৈন্য র্তাহার দিকে অগ্রসর হইল। মহম্মদ আনন্দে উৎফুল্প হইলেন । নিকটে আসিয়াই তাহারা মহম্মদের সৈন্যদলের উপর গোলা বর্ষণ করিল। তখন মহম্মদ সমস্ত অবস্থা বুঝিতে পারিলেন। কিন্তু তখন আর সময় নাই । সৈন্তেরা পলায়নতৎপর হইল। সুজার জ্যেষ্ঠ পুত্র যুদ্ধে মারা পড়িল ।
সুজা এবং মহম্মদের বিশ্বাস ছিল যে, সম্রাট-সৈন্যের অধিকাংশই যুদ্ধক্ষেত্রে কুমার মহম্মদের সহিত যোগ দিবে। এই আশায় মহম্মদ নিজের নিশান উড়াইয়া যুদ্ধক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইলেন। বৃহৎ একদল সম্রাটসৈন্য তাঁহার দিকে অগ্রসর হইল। মহম্মদ আনন্দে উৎফুল্ল হইলেন। নিকটে আসিয়াই তাহারা মহম্মদের সৈন্যদলের উপরে গোলা বর্ষণ করিল। তখন মহম্মদ সমস্ত অবস্থা বুঝিতে পারিলেন। কিন্তু তখন আর সময় নাই। সৈন্যেরা পলায়নতৎপর হইল। সুজার জ্যেষ্ঠ পুত্র যুদ্ধে মারা পড়িল।

সেই রাত্রেই হতভাগা সুজা এবং তাহার জামাতা সপরিবারে দ্রুতগামী নৌকায় চড়িয়া ঢাকায় পলায়ন করিলেন। মীরজুমূলা ঢাকায় সুজার অনুসরণ করা আবশ্যক বিবেচনা করিলেন না । তিনি বিজিত দেশে শৃঙ্খলাস্থাপনে প্রবৃত্ত হইলেন।
সেই রাত্রেই হতভাগ্য সুজা এবং তাঁহার জামাতা সপরিবার দ্রুতগামী নৌকায় চড়িয়া ঢাকায় পলায়ন করিলেন। মীর‍্জুমলা ঢাকায় সুজার অনুসরণ করা আবশ্যক বিবেচনা করিলেন না। তিনি বিজিত দেশে শৃঙ্খলাস্থাপনে প্রবৃত্ত হইলেন।
দুর্দশার দিনে, বিপদের সময়, যখন বন্ধুরা একে একে বিমুখ হইতে থাকে তখন মহম্মদ ধন প্রাণ মান তুচ্ছ করিয়া সুজার পক্ষাবলম্বন করাতে সুজার হৃদয় বিগলিত হইয়া গেল। তিনি প্রাণের সহিত মহম্মদকে ভালোবাসিলেন। এমন সময়ে ঢাকা সহরে ঔংরজীবের একজন পত্রবাহক চর ধরা পড়িল । সুজার হাতে তাহার পত্র গিয়া পড়িল । ঔরংজীব মহম্মদকে লিখিতেছেন, ‘প্রিয়তম পুত্র মহম্মদ, তুমি তোমার কর্তব্য অবহেলা করিয়া পিতৃবিদ্রোহী হইয়াছ, এবং তোমার অকলঙ্ক যশে কলঙ্ক নিক্ষেপ করিয়াছ। রমণীর ছলনাময় হাস্তে মুগ্ধ হইয়া আপন ধর্ম বিসর্জন দিয়াছ । ভবিষ্যতে সমস্ত মোগল সাম্রাজ্য শাসনের ভার যাহার হস্তে তিনি আজ এক রমণীর দাস হইয়া আছেন যাহা হউক, ঈশ্বরের নামে

শপথ করিয়া মহম্মদ যখন অহতাপ প্রকাশ করিয়াছেন তখন তাহাকে মাপ
দুর্দশার দিনে বিপদের সময় যখন বন্ধুরা একে একে বিমুখ হইতে থাকে তখন মহম্মদ ধন প্রাণ মান তুচ্ছ করিয়া সুজার পক্ষাবলম্বন করাতে সুজার হৃদয় বিগলিত হইয়া গেল। তিনি প্রাণের সহিত মহম্মদকে ভালোবাসিলেন। এমন সময়ে ঢাকা শহরে ঔরংজীবের একজন পত্রবাহক চর ধরা পড়িল। সুজার হাতে তাহার পত্র গিয়া পড়িল। ঔরংজীব মহম্মদকে লিখিতেছেন, ‘প্রিয়তম পুত্র মহম্মদ, তুমি তোমার কর্তব্য অবহেলা করিয়া পিতৃবিদ্রোহী হইয়াছ, এবং তোমার অকলঙ্ক যশে কলঙ্ক নিক্ষেপ করিয়াছ। রমণীর ছলনাময় হাস্যে মুগ্ধ হইয়া আপন ধর্ম বিসর্জন দিয়াছ। ভবিষ্যতে সমস্ত মোগল-সাম্রাজ্য শাসনের ভার যাঁহার হস্তে, তিনি আজ এক রমণীর দাস হইয়া আছেন! যাহা হউক ঈশ্বরের নামে শপথ করিয়া মহম্মদ যখন অনুতাপ প্রকাশ করিয়াছেন, তখন তাঁহাকে মাপ