পাতা:ঝিলে জঙ্গলে শিকার - কুমুদনাথ চৌধুরী - প্রিয়ম্বদা দেবী.pdf/১১৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Text from Google OCR
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:১৬, ৮ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঝিলে জঙ্গলে শিকার। ܪܟ উঠছে। কিন্তু যতই চেষ্টা করি না কেন এর বেশী আর কিছু দেখা গেল না। অলাে যে আরও উজ্জ্বলতর হবে তার কোন আশাই ছিল না, কেননা চন্দ্রদেব যে পথে যাত্রা করেছিলেন সেটি তার অন্ত পথ ; ফিরে আসার প্রতীক্ষা করা একেবারেই ব্যর্থ। সেই জন্যে সেই নিশাচর ছায়া মুর্তিকেই ব্যাঘ্ৰ কল্পনা করে বন্দুক ছাড়লাম। বন্দুকের শব্দের তীব্র প্রতিধ্বনির সঙ্গে একটী ভীষণ আর্তনাদ বনভূমিকে যেন বিদীর্ণ করে দিলে। আহত জন্তুটি বাঘ নয়, হায়েনা ( Hyaena)! যে নাটকে আমি আপনাকে নায়ক-গৌরবে ভূষিত করে তুলতে উৎসুক ছিলাম এতক্ষণে সেটি হাস্যকর প্রহসনে পরিণত হল। কোথায় আরণ্য সামন্তাধিপতি শাৰ্দল আর কোথায় দুগ্ধপােষ্য শিশুর ক্রমানুকারী হায়েনা। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে আমার নিমন্ত্রণ কর্তার সঙ্গে সাক্ষা: হা। ব্যাপার শুনে আমার সঙ্গে তিনিও প্রাণ খুলে হাসিতে যােগ দিলেন। হাসি আমি হাসলাম বটে তবুও ব্যাপারটা অন্য রূপ হওয়াই মনে মনে কামনা করেছিলাম। ১১ই জানুয়ারী ১৯১৮। মেহের অলকা কল্যাণ, | এখন একবাক্স চল আমরা বাঙ্গালার সমতলভূমিতে ফিরে যাই। সে আমার দেশ—আইপ, হংস, বরাহ আর চিতার বিচরণ-ভূমি। এরি মধ্যে যে জায়গা তোমরা ভাল করে জান আর দেখেছ আমি তারি কথা বলব। ব্যাস্রাবতার আর মহিষাসুর – চলন বিলে জলাভাব আর চারিদিকে পাটের। চাষের পরিপাটী প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে সঙ্গেই—প্রবাসে অনুকূল উপনিবেশ স্থাপন মাসে স্থানান্তরে যাত্রা করেছে। স্নাইপ। স্নাইপ সেখানে দেরী করে আসে, কিন্তু যখন তারা আসে তখন মেঘমালার মতই সমস্ত আকাশ আচ্ছন্ন করে দেখা দেয়। কলিকাতা হতে অধিক দূর নয়। ইচ্ছা করলে ১২ই আগষ্টের পূর্বেই দু’চার জোড়া হস্তগত করা চলে। কিন্তু তাতে বড় বিশেষ ৫াভ নেই, গৌরবও অল্প ; যদি এ ক্ষেত্রে সর্ব প্রথম উপস্থিতির আনন্দটা গণ্য না কর। সেপ্টেম্বর অক্টোবরই স্নাইপ শিকারের সব চেয়ে ভাল সময়, কিন্তু সে সুদুর পল্লীগ্রামে ডিসেম্বর অবপি প্রতীক্ষা করতে হয়। তখন বিশাল বিলখানি পদ্মফুল আর আগাছায় ভরে ওঠে। আমার কিন্তু নৌকায় চড়ে শিকার করার চেয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে ঘুরে শিকার করতেই বেশী ভাল লাগে। পায়ে হেঁটে সােজা গুলি চালাবার সুবিধা অধিক। নৌ-বিহারে বিহঙ্গ সংহারে আনন্দের অসদ্ভাব হয় না, তবে দুঃখের বিষয় এ সুখ চির দিন ওহে না। তালের ডােঙ্গা বড় বিশ্রী, কাজ-সারা ব্যাপার। যখন দুখানা একত্রে বেঁপে নেওয়া হয়, তখনও তায় তাল সামলান জায়; কথায় কথায় ভরাডুবি হতে চায়। কতবার আমি এই উপায়ে ছােটখাট খাল। বিল পার হয়েছি তার ঠিক নেই, তবে একটাবার কোন পৌষ প্রভাতে একটী খালের অন্ধিসন্ধি আবিষ্কারের অভিপ্রায়ে যাত্রা করে উল্টে পড়ে নাকানি চুবানি খাবার পর হতে মনটা কিঞ্চিৎ চঞ্চল হয়ে ওঠে। যে মাঝি লগি বেয়ে আমায় পারে নিয়ে যাচ্ছিল, ডোঙ্গা উন্টে যাওয়াতে সে কি , বিচলিত হয়নি। সেতত ভােঙ্গা আঁকড়ে পড়ে রইল, তার গুর জল চেঁচে ফেলে সব ঠিকঠাক করে নিলে। ভিজে কৌপীনে তার মানসিক স্থৈৰ্য্যের কোন হানি করেনি। আমি কিন্তু ভিজে কথা হয়ে