পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Jayantanth (আলোচনা | অবদান) + |
Bodhisattwa (আলোচনা | অবদান) |
||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | বৈধকরণ | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{RunningHeader|২০|রাজর্ষি|}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
নক্ষত্ররায় উদারভাবে কহিলেন, “আচ্ছা, জয়সিংহকে মন্ত্রী করিব।” |
{{gap}}নক্ষত্ররায় উদারভাবে কহিলেন, “আচ্ছা, জয়সিংহকে মন্ত্রী করিব।” |
||
রঘুপতি কহিলেন, “সে কথা পরে হইবে। রাজা হইবার আগে কী করিতে হইবে সেটা শোনো আগে। মা রাজরক্ত দেখিতে চান, স্বপ্নে আমার প্রতি এই আদেশ হইয়াছে।” |
{{gap}}রঘুপতি কহিলেন, “সে কথা পরে হইবে। রাজা হইবার আগে কী করিতে হইবে সেটা শোনো আগে। মা রাজরক্ত দেখিতে চান, স্বপ্নে আমার প্রতি এই আদেশ হইয়াছে।” |
||
নক্ষত্ররায় কহিলেন, “মা রাজরক্ত দেখিতে চান, স্বপ্নে আপনার প্রতি এই আদেশ হইয়াছে। এ তো বেশ কথা।” |
{{gap}}নক্ষত্ররায় কহিলেন, “মা রাজরক্ত দেখিতে চান, স্বপ্নে আপনার প্রতি এই আদেশ হইয়াছে। এ তো বেশ কথা।” |
||
রঘুপতি কহিলেন, “তোমাকে গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত আনিতে হইবে।” |
{{gap}}রঘুপতি কহিলেন, “তোমাকে গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত আনিতে হইবে।” |
||
নক্ষত্ররায় খানিকটা হাঁ করিয়া রহিলেন। এ কথাটা তত ‘বেশ’ বলিয়া মনে হইল না। |
{{gap}}নক্ষত্ররায় খানিকটা হাঁ করিয়া রহিলেন। এ কথাটা তত ‘বেশ’ বলিয়া মনে হইল না। |
||
রঘুপতি |
{{gap}}রঘুপতি তীব্র স্বরে কহিলেন, “সহসা ভ্রাতৃস্নেহের উদয় হইল নাকি?” |
||
নক্ষত্ররায় কাষ্ঠহাসি হাসিয়া বলিলেন, “হাঃ হাঃ, ভ্রাতৃস্নেহ! ঠাকুরমশায় বেশ বলিলেন যা |
{{gap}}নক্ষত্ররায় কাষ্ঠহাসি হাসিয়া বলিলেন, “হাঃ হাঃ, ভ্রাতৃস্নেহ! ঠাকুরমশায় বেশ বলিলেন যা-হোক, ভ্রাতৃস্নেহ!” |
||
এমন মজার কথা, এমন হাসিবার কথা যেন আর হয় না। ভ্রাতৃস্নেহ! কী লজ্জার বিষয়! কিন্তু অন্তর্যামী জানেন, নক্ষত্ররায়ের প্রাণের ভিতরে ভ্রাতৃস্নেহ জাগিতেছে, তা হাসিয়া উড়াইবার জো নাই। |
{{gap}}এমন মজার কথা, এমন হাসিবার কথা যেন আর হয় না। ভ্রাতৃস্নেহ! কী লজ্জার বিষয়! কিন্তু অন্তর্যামী জানেন, নক্ষত্ররায়ের প্রাণের ভিতরে ভ্রাতৃস্নেহ জাগিতেছে, তা হাসিয়া উড়াইবার জো নাই। |
||
রঘুপতি কহিলেন, “তা হইলে কী করিবে বলো।” |
{{gap}}রঘুপতি কহিলেন, “তা হইলে কী করিবে বলো।” |
||
নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কী করিব বলুন!” |
{{gap}}নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কী করিব বলুন!” |
||
রঘুপতি। কথাটা ভালো করিয়া শোনো। তোমাকে গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত মায়ের দর্শনার্থ আনিতে হইবে। |
{{gap}}রঘুপতি। কথাটা ভালো করিয়া শোনো। তোমাকে গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত মায়ের দর্শনার্থ আনিতে হইবে। |
||
নক্ষত্ররায় মন্ত্রের মতো বলিয়া গেলেন, “গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত মায়ের দর্শনার্থ আনিতে হইবে।” |
{{gap}}নক্ষত্ররায় মন্ত্রের মতো বলিয়া গেলেন, “গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত মায়ের দর্শনার্থ আনিতে হইবে।” |
||
রঘুপতি নিতান্ত ঘৃণার সহিত বলিয়া উঠিলেন, “নাঃ, তোমার দ্বারা কিছু হইবে না।” |
{{gap}}রঘুপতি নিতান্ত ঘৃণার সহিত বলিয়া উঠিলেন, “নাঃ, তোমার দ্বারা কিছু হইবে না।” |
||
নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কেন হইবে না? যাহা বলিবেন তাহাই হইবে। |
{{gap}}নক্ষত্ররায় কহিলেন, “কেন হইবে না? যাহা বলিবেন তাহাই হইবে। |