পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

+
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{RunningHeader||রাজর্ষি|২১}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
আপনি তো আদেশ করিতেছেন?”
আপনি তো আদেশ করিতেছেন?”


রঘুপতি। হাঁ, আমি আদেশ করিতেছি।
{{gap}}রঘুপতি। হাঁ, আমি আদেশ করিতেছি।


নক্ষত্ররায়। কী আদেশ করিতেছেন?
{{gap}}নক্ষত্ররায়। কী আদেশ করিতেছেন?


রঘুপতি বিরক্ত হইয়া কহিলেন, “মায়ের ইচ্ছা, তিনি রাজরক্ত দর্শন করিবেন। তুমি গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত দেখাইয়া তাঁহার ইচ্ছা পূর্ণ করিবে, এই আমার আদেশ।”
{{gap}}রঘুপতি বিরক্ত হইয়া কহিলেন, “মায়ের ইচ্ছা, তিনি রাজরক্ত দর্শন করিবেন। তুমি গোবিন্দমাণিক্যের রক্ত দেখাইয়া তাঁহার ইচ্ছা পূর্ণ করিবে, এই আমার আদেশ।”


নক্ষত্ররায়। আমি আজই গিয়া ফতে খাঁকে এই কাজে নিযুক্ত করিব।
{{gap}}নক্ষত্ররায়। আমি আজই গিয়া ফতে খাঁকে এই কাজে নিযুক্ত করিব।


রঘুপতি। না না, আর কোনো লোককে ইহার বিন্দুবিসর্গ জানাইয়ো না। কেবল জয়সিংহকে তোমার সাহায্যে নিযুক্ত করিব। কাল প্রাতে আসিয়ো, কী উপায়ে এ কার্য সাধন করিতে হইবে কাল বলিব।
{{gap}}রঘুপতি। না না, আর কোনো লোককে ইহার বিন্দুবিসর্গ জানাইয়ো না। কেবল জয়সিংহকে তোমার সাহায্যে নিযুক্ত করিব। কাল প্রাতে আসিয়ো, কী উপায়ে এ কার্য সাধন করিতে হইবে কাল বলিব।


নক্ষত্ররায় রঘুপতির হাত এড়াইয়া বাঁচিলেন। যত শীঘ্র পারিলেন বাহির হইয়া গেলেন।
{{gap}}নক্ষত্ররায় রঘুপতির হাত এড়াইয়া বাঁচিলেন। যত শীঘ্র পারিলেন বাহির হইয়া গেলেন।
<section begin="5" /><section end="5" />
<section begin="5" /><section end="5" />
<section begin="6" />{{x-larger|{{কেন্দ্র|ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ}}}}
<section begin="6" />{{larger|{{কেন্দ্র|ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ}}}}


নক্ষত্ররায় চলিয়া গেলে জয়সিংহ কহিলেন, “গুরুদেব, এমন ভয়ানক কথা কখনো শুনি নাই। আপনি মায়ের সম্মুখে মায়ের নাম করিয়া ভাইকে দিয়া ভ্রাতৃহত্যার প্রস্তাব করিলেন, আর আমাকে তাই দাঁড়াইয়া শুনিতে হইল!”
নক্ষত্ররায় চলিয়া গেলে জয়সিংহ কহিলেন, “গুরুদেব, এমন ভয়ানক কথা কখনো শুনি নাই। আপনি মায়ের সম্মুখে মায়ের নাম করিয়া ভাইকে দিয়া ভ্রাতৃহত্যার প্রস্তাব করিলেন, আর আমাকে তাই দাঁড়াইয়া শুনিতে হইল!”


রঘুপতি বলিলেন, “আর কী উপায় আছে বলো।”
{{gap}}রঘুপতি বলিলেন, “আর কী উপায় আছে বলো।”


জয়সিংহ কহিলেন, “উপায়! কিসের উপায়!”
{{gap}}জয়সিংহ কহিলেন, “উপায়! কিসের উপায়!”


রঘুপতি। তুমিও যে নক্ষত্ররায়ের মতো হইলে দেখিতেছি। এতক্ষণ তবে কী শুনিলে?
{{gap}}রঘুপতি। তুমিও যে নক্ষত্ররায়ের মতো হইলে দেখিতেছি। এতক্ষণ তবে কী শুনিলে?


জয়সিংহ। যাহা শুনিলাম তাহা শুনিবার যোগ্য নহে, তাহা শুনিলে পাপ আছে।
{{gap}}জয়সিংহ। যাহা শুনিলাম তাহা শুনিবার যোগ্য নহে, তাহা শুনিলে পাপ আছে।


রঘুপতি। পাপপুণ্যের তুমি কী বুঝ?
{{gap}}রঘুপতি। পাপপুণ্যের তুমি কী বুঝ?
<section end="6" />
{{nop}}<section end="6" />