পাতা:তিনসঙ্গী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||ল্যাবরেটরি|৭৭}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
ল্যাবরেটরি ጓጓ
ডাকবার পূর্বে এটা জেনে রাখা ভালো।”
ডাকবার পূর্বে এটা জেনে রাখা ভালো।”

“জেনে রাখলুম, বাঁচলুম। অনেক অধ্যাপক দেখেছি, তাদের মুখ থেকে হাসি বের করতে ডাক্তার ডাকতে হয়।”
{{gap}}“জেনে রাখলুম, বাঁচলুম। অনেক অধ্যাপক দেখেছি, তাঁদের মুখ থেকে হাসি বের করতে ডাক্তার ডাকতে হয়।”
“বাহবা, আমারই দলের লোক দেখছি তুমি । তা হলে এবার আসল কথাটা পাড়া হোক ৷”

“জানেন বোধ হয়, জীবনে আমার স্বামীর ল্যাবরেটরিই ছিল একমাত্র আনন্দ । আমার ছেলে নেই, ঐ ল্যাবরেটরিতে বসিয়ে দেব বলে ছেলে খুঁজছি। কানে এসেছে রেবতী ভট্টাচার্যের কথা।”
{{gap}}“বাহবা, আমারই দলের লোক দেখছি তুমি। তা হলে এবার আসল কথাটা পাড়া হোক।”
অধ্যাপক বললেন, “যোগ্য ছেলেই বটে। তার যে-লাইনের বিদ্যে সেটাকে শেষ পর্যন্ত চালান করতে মালমসলা কম লাগবে না।”

সোহিনী বললে, “আমার রাশকরা টাকায় ছাতা পড়ে যাচ্ছে ।
{{gap}}“জানেন বোধ হয়, জীবনে আমার স্বামীর ল্যাবরেটরিই ছিল একমাত্র আনন্দ। আমার ছেলে নেই, ঐ ল্যাবরেটরিতে বসিয়ে দেব বলে ছেলে খুঁজছি। কানে এসেছে রেবতী ভট্টাচার্যের কথা।”
আমার বয়সের বিধবা মেয়ের ঠাকুরদেবতার দালালদের দালালি দিয়ে পরকালের দরজা ফাক করে নিতে চায় । আপনি শুনে হয়তো

রাগ করবেন, আমি ও-সব কিছুই বিশ্বাস করি নে।”
{{gap}}অধ্যাপক বললেন, “যোগ্য ছেলেই বটে। তার যে-লাইনের বিদ্যে সেটাকে শেষ পর্যন্ত চালান করতে মালমসলা কম লাগবে না।”
চৌধুরী তুই চক্ষু বিস্ফারিত করে বললেন, “তুমি তবে কী মানে।” “মানুষের মতো মানুষ যদি পাই, তবে তার সব পাওনা শোধ করে দিতে চাই যতদূর আমার সাধ্য আছে। এই আমার ধর্মকর্ম।” চৌধুরী বললেন, “হুররে । শিলা ভাসে জলে । মেয়েদের মধ্যেও দৈবাৎ কোথাও কোথাও বুদ্ধির প্রমাণ মেলে দেখছি। আমার একটি বি. এসৃসি. বোকা আছে, সেদিন হঠাৎ দেখি, গুরুর পা ছয়ে সে উলটো ডিগবাজি খেলতে লেগেছে, মগজ থেকে বুদ্ধি যাচ্ছে উড়ে ফাট শিমুলের তুলোর মতো । তা তোমার বাড়িতেই ওকে ল্যাবরেটরিতে বসিয়ে দিতে চাও ? তফাতে আর কোথাও

হলে হয় না ?” 瞬
{{gap}}সোহিনী বললে, “আমার রাশকরা টাকায় ছাতা পড়ে যাচ্ছে। আমার বয়সের বিধবা মেয়ের ঠাকুরদেবতার দালালদের দালালি দিয়ে পরকালের দরজা ফাঁক করে নিতে চায়। আপনি শুনে হয়তো রাগ করবেন, আমি ও-সব কিছুই বিশ্বাস করি নে।”
“চৌধুরীমশায়, আপনি ভুল করবেন না, আমি মেয়েমানুষ। এইখানেই এই ল্যাবরেটরিতেই হয়েছে আমার স্বামীর সাধনা । তার

বেদির তলায় কোনো একজন যোগ্য লোককে বাতি জালিয়ে রাখবার
{{gap}}চৌধুরী তুই চক্ষু বিস্ফারিত করে বললেন, “তুমি তবে কী মানো।”

{{gap}}“মানুষের মতো মানুষ যদি পাই, তবে তার সব পাওনা শোধ করে দিতে চাই যতদূর আমার সাধ্য আছে। এই আমার ধর্মকর্ম।”

{{gap}}চৌধুরী বললেন, “হুররে। শিলা ভাসে জলে। মেয়েদের মধ্যেও দৈবাৎ কোথাও কোথাও বুদ্ধির প্রমাণ মেলে দেখছি। আমার একটি বি. এস্‌সি. বোকা আছে, সেদিন হঠাৎ দেখি, গুরুর পা ছুঁয়ে সে উলটো ডিগবাজি খেলতে লেগেছে, মগজ থেকে বুদ্ধি যাচ্ছে উড়ে ফাটা শিমুলের তুলোর মতো। তা তোমার বাড়িতেই ওকে ল্যাবরেটরিতে বসিয়ে দিতে চাও? তফাতে আর কোথাও হলে হয় না?”

{{gap}}“চৌধুরীমশায়, আপনি ভুল করবেন না, আমি মেয়েমানুষ। এইখানেই এই ল্যাবরেটরিতেই হয়েছে আমার স্বামীর সাধনা। তাঁর বেদির তলায় কোনো একজন যোগ্য লোককে বাতি জ্বালিয়ে রাখবার