পাতা:গল্পগুচ্ছ (প্রথম খণ্ড).djvu/১১০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Mohaguru (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|১০৬|গল্পগুচ্ছ|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
লোকেরা তাহাকে ঘিরিয়া বসিয়া বলিতে লাগিল, “আরে আরে, আমাদের সেই মাখন আজ ঋষি হয়েছেন, তপিস্বী হয়েছেন— চিরটা কাল ইয়ার্কি দিয়ে কাটালে, আজ হঠাৎ মহামুনি জামদগ্নি হয়ে বসেছেন।”
eve গল্পগুচ্ছ

লোকেরা তাহাকে ঘিরিয়া বসিয়া বলিতে লাগিল, “আরে আরে, আমাদের সেই মাখন আজ ঋষি হয়েছেন, তপিন্ধী হয়েছেন— চিরটা কাল ইয়াকি দিয়ে কাটালে, আজ হঠাৎ মহামুনি জামদগ্নি হয়ে বসেছেন।”
কথা উন্নতচেতা ফকিরের অত্যন্ত খারাপ লাগিল, কিন্তু নিরুপায়ে সহ করিতে হইল। একজন গায়ের উপর আসিয়া পড়িয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ওরে মাখন, তুই কুচ কুচে কালো ছিলি, রঙটা এমন ফর্শ করলি কী করে।”
{{ফাঁক}}কথা উন্নতচেতা ফকিরের অত্যন্ত খারাপ লাগিল, কিন্তু নিরুপায়ে সহ্য করিতে হইল। একজন গায়ের উপর আসিয়া পড়িয়া জিজ্ঞাসা করিল, “ওরে মাখন, তুই কুচ্‌ কুচে কালো ছিলি, রঙটা এমন ফর্শা করলি কী করে।”

ফকির উত্তর দিল, “যোগ অভ্যাস ক’রে ।” সকলেই বলিল, “যোগের কী আশ্চর্য প্রভাব ।” একজন উত্তর করিল, “আশ্চর্য আর কী । শাস্ত্রে আছে, ভীম যখন হকুমানের লেজ ধরে তুলতে গেলেন কিছুতেই তুলতে পারলেন না। সে কী ক’রে হল । সে তো যোগবলে ।”
{{ফাঁক}}ফকির উত্তর দিল, “যোগ অভ্যাস ক’রে।”
এ কথা সকলকেই স্বীকার করিতে হইল। হেনকালে ষষ্ঠীচরণ আসিয়া ফকিরকে বলিল, “বাবা, একবার বাডির ভিতরে যেতে হচ্ছে ।”

এ সম্ভাবনাটা ফকিরের মাথায় উদয় হয় নাই— হঠাৎ বজ্রাঘাতের মতো মস্তিষ্কে প্রবেশ করিল। অনেক ক্ষণ চুপ করিয়া, পাডার লোকের বিস্তর অন্যায় পবিহাস পরিপাক কৃরিয়া অবশেষে বলিল, “বাবা, আমি সন্ন্যাসী হয়েছি, আমি অন্তঃপুরে ঢুকতে পারব না।”
{{ফাঁক}}সকলেই বলিল, “যোগের কী আশ্চর্য প্রভাব।”
ষষ্ঠীচরণ পাড়ার লোকদের সম্বোধন করিয়া বলিল, “তা হলে আপনাদের একবার গা তুলতে হচ্ছে। বউমাদের এইখানেই নিয়ে আসি । তারা বড়ো ব্যাকুল হয়ে আছেন ।”

সকলে উঠিয়া গেল। ফকির ভাবিল, এইবেলা এখান হইতে এক দৌড় মারি । কিন্তু রাস্তায় বাহির হইলেই পাডার লোক কুকুরের মতো তাহার পশ্চাতে ছুটিবে, ইহাই কল্পনা করিয়া তাহাকে নিস্তদ্ধভাবে বসিয়া থাকিতে श्ल ।
{{ফাঁক}}একজন উত্তর করিল, “আশ্চর্য আর কী । শাস্ত্রে আছে, ভীম যখন হনুমানের লেজ ধরে তুলতে গেলেন কিছুতেই তুলতে পারলেন না। সে কী ক’রে হল । সে তো যোগবলে।”
যেমনি মাখনলালের দুই স্ত্রী প্রবেশ করিল, ফকির অমনি নতশিরে তাহাদিগকে প্রণাম করিয়া কহিল, “ম, আমি তোমাদের সস্তান ।”

অমনি ফকিরের নাকের সম্মুখে একটা বালা-পরা হাত খড়গের মতো
{{ফাঁক}}এ কথা সকলকেই স্বীকার করিতে হইল।

{{ফাঁক}}হেনকালে ষষ্ঠীচরণ আসিয়া ফকিরকে বলিল, “বাবা, একবার বাডির ভিতরে যেতে হচ্ছে।”

{{ফাঁক}}এ সম্ভাবনাটা ফকিরের মাথায় উদয় হয় নাই— হঠাৎ বজ্রাঘাতের মতো মস্তিষ্কে প্রবেশ করিল। অনেক ক্ষণ চুপ করিয়া, পাডার লোকের বিস্তর অন্যায় পবিহাস পরিপাক করিয়া অবশেষে বলিল, “বাবা, আমি সন্ন্যাসী হয়েছি, আমি অন্তঃপুরে ঢুকতে পারব না।”

{{ফাঁক}}ষষ্ঠীচরণ পাড়ার লোকদের সম্বোধন করিয়া বলিল, “তা হলে আপনাদের একবার গা তুলতে হচ্ছে। বউমাদের এইখানেই নিয়ে আসি। তারা বড়ো ব্যাকুল হয়ে আছেন।”

{{ফাঁক}}সকলে উঠিয়া গেল। ফকির ভাবিল, এইবেলা এখান হইতে এক দৌড় মারি । কিন্তু রাস্তায় বাহির হইলেই পাডার লোক কুক্কুরের মতো তাহার পশ্চাতে ছুটিবে, ইহাই কল্পনা করিয়া তাহাকে নিস্তদ্ধভাবে বসিয়া থাকিতে হইল।

{{ফাঁক}}যেমনি মাখনলালের দুই স্ত্রী প্রবেশ করিল, ফকির অমনি নতশিরে তাহাদিগকে প্রণাম করিয়া কহিল, “মা, আমি তোমাদের সস্তান।”

{{ফাঁক}}অমনি ফকিরের নাকের সম্মুখে একটা বালা-পরা হাত খড়্‌গের মতো