|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
{{rh||স্বর্ণমৃগ|১৬৩}} |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
⚫ |
দিয়া নিজের ছেলেকে প্রতারণা করিতে আসিয়াছে! তাও আবার দুই পয়সা ব্যয় নাই, নিজের হাতে নির্মাণ। |
|
স্বর্ণমৃগ ১৬৩ |
|
|
|
|
⚫ |
দিয়া নিজের ছেলেকে প্রতারণা করিতে আসিয়াছে! তাও আবার দুই পয়সা ব্যয় নাই, নিজের হাতে নির্মাণ । |
|
|
ছোটো ছেলে তো উর্ধ্বশ্বাসে কাদিতে লাগিল। "বোকা ছেলে বলিয়া তাহাকে মোক্ষদণ ঠাস করিয়া চড়াইয়া দিলেন।
|
|
{{gap}}ছােটো ছেলে তাে উর্ধ্বশ্বাসে কাঁদিতে লাগিল। ‘বােকা ছেলে’ বলিয়া তাহাকে মােক্ষদা ঠাস করিয়া চড়াইয়া দিলেন। |
|
|
|
|
বড়ো ছেলেটি বাপের মুখের দিকে চাহিয়া নিজের দুঃখ ভুলিয়া গেল । উল্লাসের ভানমাত্র করিয়া কহিল, “বাবা, আমি কাল ভোরে গিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে আসৰ ।”
|
|
{{gap}}বড় ছেলেটি বাপের মুখের দিকে চাহিয়া নিজের দুঃখ ভুলিয়া গেল। উল্লাসের ভানমাত্র করিয়া কহিল, “বাবা, আমি কাল ভােরে গিয়ে কুড়িয়ে নিয়ে আসব।” |
⚫ |
বৈদ্যনাথ তাহার পরদিন কাশী যাইতে সম্মত হইলেন। কিন্তু, টাকা কোথায় । তাহার স্ত্রী গহনা বিক্রয় করিয়া টাকা সংগ্ৰহ করিলেন। বৈদ্যনাথের পিতামহীর আমলের গহনা, এমন খাটি সোনা এবং ভারী গহনা আজকালকার দিনে পাওয়াই যায় না । |
|
|
|
|
⚫ |
বৈদ্যনাথের মনে হইল তিনি মরিতে যাইতেছেন । ছেলেদের কোলে করিয়া, চুম্বন করিয়া, সাশ্রনেত্রে বাড়ি হইতে বাহির হইলেন। তখন মোক্ষদাও কাদিতে লাগিলেন । |
|
|
⚫ |
{{gap}}বৈদ্যনাথ তাহার পরদিন কাশী যাইতে সম্মত হইলেন। কিন্তু, টাকা কোথায়। তাঁহার স্ত্রী গহনা বিক্রয় করিয়া টাকা সংগ্রহ করিলেন। বৈদ্যনাথের পিতামহীর আমলের গহনা, এমন খাঁটি সােনা এবং ভারী গহনা আজকালকার দিনে পাওয়াই যায় না। |
⚫ |
কাশীর বাড়িওয়ালা বৈদ্যনাথের খুড়শ্বশুরের মক্কেল। বোধ করি সেই কারণেই বাড়ি খুব চড়া দামেই বিক্রয় হইল। বৈদ্যনাথ একাকী বাড়ি দখল করিয়া বসিলেন । একেবারে নদীর উপরেই বাড়ি । ভিত্তি ধৌত করিয়া নদীস্রোত প্রবাহিত হইতেছে । |
|
|
|
|
⚫ |
রাত্রে বৈদ্যনাথের গা ছমছম করিতে লাগিল। শূন্ত গৃহে শিয়রের কাছে প্রদীপ জালাইয়া চাদর মুড়ি দিয়া শয়ন করিলেন। |
|
|
⚫ |
{{gap}}বৈদ্যনাথের মনে হইল তিনি মরিতে যাইতেছেন। ছেলেদের কোলে করিয়া, চুম্বন করিয়া, সাশ্রুনেত্রে বাড়ি হইতে বাহির হইলেন। তখন মােক্ষদাও কাঁদিতে লাগিলেন। |
⚫ |
কিন্তু, কিছুতেই নিদ্রা হয় না । গভীর রাত্রে যখন সমস্ত কোলাহল থামিয়া গেল তখন কোথা হইতে একট ঝনঝন শব্দ শুনিয়া বৈদ্যনাথ চমকিয়া উঠিলেন । শব্দ মৃদু কিন্তু পরিষ্কার। যেন পাতালে বলিরাজের ভাণ্ডারে কোষাধ্যক্ষ বসিয়া বসিয়া টাকা গণনা করিতেছে । |
|
|
|
|
⚫ |
४वञ्चनाथद्र भएन डब इश्ल, ८कोछूश्ल श्ड्रेन, ७ष९ :महे नएन झर्छष्ट्र আশার সঞ্চার হইল। কম্পিত হস্তে প্রদীপ লইয়া ঘরে ঘরে ফিরিলেন । এ ঘরে গেলে মনে হয়, শব্দ ও ঘর হইতে আসিতেছে ; ও ঘরে গেলে মনে হয়, |
|
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}কাশীর বাড়িওয়ালা বৈদ্যনাথের খুড়শ্বশুরের মক্কেল। বােধ করি সেই কারণেই বাড়ি খুব চড়া দামেই বিক্রয় হইল। বৈদ্যনাথ একাকী বাড়ি দখল করিয়া বসিলেন। একেবারে নদীর উপরেই বাড়ি। ভিত্তি ধৌত করিয়া নদীস্রোত প্রবাহিত হইতেছে। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}রাত্রে বৈদ্যনাথের গা ছমছম করিতে লাগিল। শুন্য গৃহে শিয়রের কাছে প্রদীপ জ্বালাইয়া চাদর মুড়ি দিয়া শয়ন করিলেন। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}কিন্তু, কিছুতেই নিদ্রা হয় না। গভীর রাত্রে যখন সমস্ত কোলাহল থামিয়া গেল তখন কোথা হইতে একট ঝন্ঝন্ শব্দ শুনিয়া বৈদ্যনাথ চমকিয়া উঠিলেন। শব্দ মৃদু কিন্তু পরিষ্কার। যেন পাতালে বলিরাজের ভাণ্ডারে কোষাধ্যক্ষ বসিয়া বসিয়া টাকা গণনা করিতেছে। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}বৈদ্যনাথের মনে ভয় হইল, কৌতুহল হইল, এবং সেই সঙ্গে দুর্জয় আশার সঞ্চার হইল। কম্পিত হন্তে প্রদীপ লইয়া ঘরে ঘরে ফিরিলেন। এ ঘরে গেলে মনে হয়, শব্দ ও ঘর হইতে আসিতেছে ; ও ঘরে গেলে মনে হয়, |