|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
সম্পাদক |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
⚫ |
{{gap}}কিন্তু মাঝে মাঝে ভাবনা হইত মেয়েটিকে সৎপাত্রে বিবাহ দিতে হইলে অনেক অর্থের আবশ্যক— আমার এত টাকা কোথায়। মেয়েকে তো সাধ্যমতো লেখাপড়া শিখাইতেছি, কিন্তু একটা পরিপূর্ণ মূর্খের হাতে পড়িলে তাহার কী দশা হইবে। |
|
१७० গল্পগুচ্ছ |
|
|
|
|
⚫ |
কিন্তু মাঝে মাঝে ভাবন হইত মেয়েটিকে সৎপাত্রে বিবাহ দিতে হইলে অনেক অর্থের আবশ্যক— আমার এত টাকা কোথায় । মেয়েকে তো সাধ্যমতো লেখাপড়া শিখাইতেছি, কিন্তু একটা পরিপূর্ণ মুখের হাতে পড়িলে তাহার কী দশা হইবে। |
|
|
উপার্জনে মন দেওয়া গেল। গবর্মেণ্ট-আপিসে চাকরি করিবার বয়স গেছে, অন্ত আপিসে প্রবেশ করিবারও ক্ষমতা নাই। অনেক ভাবিয়া বই লিখিতে লাগিলাম। |
|
{{gap}}উপার্জনে মন দেওয়া গেল। গবর্মেণ্ট-আপিসে চাকরি করিবার বয়স গেছে, অন্য আপিসে প্রবেশ করিবারও ক্ষমতা নাই। অনেক ভাবিয়া বই লিখিতে লাগিলাম। |
|
|
|
|
বঁাশের নল ফুটা করিলে তাহাতে তেল রাখা যায় না, জল রাখা যায় না, তাহার ধারণাশক্তি মূলেই থাকে না ; তাহাতে সংসারের কোনো কাজই হয় না, কিন্তু ফু দিলে বিনা খরচে বাশি বাজে ভালো । আমি স্থির জানিতাম, সংসারের কোনো কাজেই যে হতভাগ্যের বুদ্ধি খেলে না, সে নিশ্চয়ই ভালো বই লিখিবে । সেই সাহসে একথানা প্রহসন লিখিলাম, লোকে ভালো বলিল এবং রঙ্গভূমিতে অভিনয় হইয় গেল ।
|
|
{{gap}}বাঁশের নল ফুটা করিলে তাহাতে তেল রাখা যায় না, জল রাখা যায় না, তাহার ধারণশক্তি মূলেই থাকে না; তাহাতে সংসারের কোনো কাজই হয় না, কিন্তু ফুঁ দিলে বিনা খরচে বাঁশি বাজে ভালো। আমি স্থির জানিতাম, সংসারের কোনো কাজেই যে হতভাগ্যের বুদ্ধি খেলে না, সে নিশ্চয়ই ভালো বই লিখিবে। সেই সাহসে একখানা প্রহসন লিখিলাম, লোকে ভালো বলিল এবং রঙ্গভূমিতে অভিনয় হইয়া গেল। |
⚫ |
সহসা যশের আস্বাদ পাইয় এমনি বিপদ হইল, প্রহসন আর কিছুতেই ছাডিতে পারি না। সমস্ত দিন ব্যাকুল চিস্তান্বিত মুখে প্রহসন লিখিতে লাগিলাম । |
|
|
|
|
⚫ |
প্রভা আসিয়া আদর করিয়া স্নেহ- সহাস্তে জিজ্ঞাসা করিল, “বাবা, নাইতে যাবে না ? ” |
|
|
⚫ |
{{gap}}সহসা যশের আস্বাদ পাইয়া এমনি বিপদ হইল, প্রহসন আর কিছুতেই ছাড়িতে পারি না। সমস্তদিন ব্যাকুল চিন্তান্বিত মুখে প্রহসন লিখিতে লাগিলাম। |
⚫ |
আমি হুংকার দিয়া উঠিলাম, “এখন যা, এখন যা, এখন বিরক্ত করিস নে ৷” বালিকার মুখখানি বোধ করি একটি ফুৎকারে নির্বাপিত প্রদীপের মতো অন্ধকার হইয়া গিয়াছিল ; কখন সে অভিমানবিস্ফারিত-হৃদয়ে নীরবে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল আমি জানিতেও পারি নাই। |
|
|
|
|
⚫ |
দাসীকে তাড়াইয়া দিই, চাকরকে মারিতে যাই, ভিক্ষুক স্বর করিয়া ভিক্ষ করিতে আসিলে তাহাকে লাঠি লইয়া তাড়া করি। পথপার্থেই আমার ঘর হওয়াতে যখন কোনো নিরীহ পাস্থ জানলার বাহির হইতে আমাকে পথ জিজ্ঞাসা করে, আমি তাহাকে জাহান্নম-নামক একটা অস্থানে যাইতে অঙ্গুরোধ করি — হায়, কেহই বুঝিত না, আমি খুব একটা মজার প্রহসন লিখিতেছি । |
|
|
⚫ |
{{gap}}প্রভা আসিয়া আদর করিয়া স্নেহ- সহাস্যে জিজ্ঞাসা করিল, "বাবা, নাইতে যাবে না? " |
|
|
|
|
|
{{gap}}আমি হুংকার দিয়া উঠিলাম, "এখন যা, এখন যা, এখন বিরক্ত করিসনে।" |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}বালিকার মুখখানি বোধ করি একটি ফুৎকারে নির্বাপিত প্রদীপের মতো অন্ধকার হইয়া গিয়াছিল; কখন সে অভিমানবিস্ফারিত-হৃদয়ে নীরবে ঘর হইতে বাহির হইয়া গেল আমি জানিতেও পারি নাই। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}দাসীকে তাড়াইয়া দিই, চাকরকে মারিতে যাই, ভিক্ষুক সুর করিয়া ভিক্ষা করিতে আসিলে তাহাকে লাঠি লইয়া তাড়া করি। পথপার্শ্বেই আমার ঘর হওয়াতে যখন কোনো নিরীহ পান্থ জানলার বাহির হইতে আমাকে পথ জিজ্ঞাসা করে, আমি তাহাকে জাহান্নম-নামক একটা অস্থানে যাইতে অনুরোধ করি। হায়, কেহই বুঝিত না, আমি খুব একটা মজার প্রহসন লিখিতেছি। |