|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
{{rh|২৮৬|গল্পগুচ্ছ|}} |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
⚫ |
আর দেখা গেল না। কোথায় গেল, কোথায় গেল, খোঁজ পড়িল। অবশেষে বিশ্বাসঘাতক রাখাল তাহাকে তাহার গােপন স্থান হইতে ধরাইয়া দিল। সে। বটতলায় রাধাকান্ত ঠাকুরের পরিত্যক্ত ভাঙা রথের মধ্যে গিয়া বসিয়া ছিল। |
|
গল্পগুচ্ছ والسياج |
|
|
|
|
⚫ |
আর দেখা গেল না । কোথায় গেল, কোথায় গেল, খোজ পড়িল। অবশেষে বিশ্বাসঘাতক রাখাল তাহাকে তাহার গোপন স্থান হইতে ধরাইয়া দিল। সে বটতলায় রাধাকান্ত ঠাকুরের পরিত্যক্ত ভাঙা বুথের মধ্যে গিয়া বসিয়া ছিল । |
|
|
শাশুড়ি মা এবং পাড়ার সমস্ত হিতৈষিণীগণ মৃন্ময়ীকে যেরূপ লাঞ্ছনা করিল তাহা পাঠকগণ এবং পাঠিকাগণ সহজেই কল্পনা করিতে পারিবেন। |
|
{{gap}}শাশুড়ি মা এবং পাড়ার সমস্ত হিতৈষিণীগণ মৃন্ময়ীকে যেরূপ লাঞ্ছনা করিল তাহা পাঠকগণ এবং পাঠিকাগণ সহজেই কল্পনা করিতে পারিবেন। |
|
|
|
|
রাত্রে ঘন মেঘ করিয়া ঝুপ ঝুপ শব্দে বৃষ্টি হইতে আরম্ভ হইল । অপূর্বকৃষ্ণ বিছানার মধ্যে অতি ধীরে ধীরে মৃন্ময়ীর কাছে ঈষৎ অগ্রসর হইয় তাহার কানে কানে মৃত্নস্বরে কছিল, “মৃন্ময়ী, তুমি আমাকে ভালোবাস না ?” |
|
{{gap}}রাত্রে ঘন মেঘ করিয়া ঝুপ্ ঝুপ্ শব্দে বৃষ্টি হইতে আরম্ভ হইল। অপূর্বকৃষ্ণ বিছানার মধ্যে অতি ধীরে ধীরে মৃন্ময়ীর কাছে ঈষৎ অগ্রসর হইয়া তাহার কানে কানে মৃদুস্বরে কহিল, “মৃন্ময়ী, তুমি আমাকে ভালােবাস না?” |
⚫ |
মৃন্ময়ী সতেজে বলিয়া উঠিল, “না। আমি তোমাকে কক্খনোই ভালোবাসব না ।” তাহার যত রাগ এবং যত শাস্তিবিধান সমস্তই পুঞ্জীভূত বজ্রের ন্যায় অপুর্বর মাথার উপর নিক্ষেপ করিল। |
|
|
|
|
⚫ |
অপূর্ব ক্ষুণ্ণ হইয়া কহিল, “কেন, আমি তোমার কাছে কী দোষ করেছি।” মৃন্ময়ী কহিল, “তুমি আমাকে বিয়ে করলে কেন ।” এ অপরাধের সন্তোষজনক কৈফিয়ত দেওয়া কঠিন । কিন্তু, অপূর্ব মনে মনে কহিল, যেমন করিয়া হউক এই দুর্বাধ্য মনটিকে বশ করিতে হইবে । |
|
|
⚫ |
মৃন্ময়ী সতেজে বলিয়া উঠিল, “না। আমি তােমাকে কক্খনােই ভালােবাসব না।” তাহার যত রাগ এবং যত শাস্তিবিধান সমস্তই পুঞ্জীভূত বজ্রের ন্যায় অপূর্বর মাথার উপর নিক্ষেপ করিল। |
⚫ |
পরদিন শাশুড়ি মৃন্ময়ীর বিদ্রোহী ভাবের সমস্ত লক্ষণ দেখিয়া তাহাকে ঘরে দরজা বন্ধ করিয়া রাখিয়া দিল । সে নূতন পিঞ্জরাবদ্ধ পাখির মতো প্রথম অনেকক্ষণ ঘরের মধ্যে ধড়ফড় করিয়া বেড়াইতে লাগিল । অবশেষে কোথাও পালাইবার কোনো পথ না দেখিয়া নিস্ফল ক্রোধে বিছানার চাদরখানা দাত দিয়া ছিড়িয়া কুটিকুটি করিয়া ফেলিল, এবং মাটির উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া মনে মনে বাবাকে ডাকিতে ডাকিতে কঁদিতে লাগিল । |
|
|
|
|
⚫ |
এমন সময়ে ধীরে ধীরে কে তাহার পাশে আসিয়া বসিল । সস্নেহে তাহার ধূলিলুষ্ঠিত চুলগুলি কপোলের উপর হইতে তুলিয়া দিবার চেষ্টা করিল। মৃন্ময়ী সৰলে মাথা নাড়িয়া তাহার হাত সরাইয়া দিল। অপূর্ব কানের কাছে মুখ নত করিয়া মৃদুস্বরে কহিল, “আমি লুকিয়ে দরজা খুলে দিয়েছি। এসে আমরা খিড়কির বাগানে পালিয়ে যাই।” মৃন্ময়ী প্রবলবেগে মাথা নাড়িয়া সতেজে সরোদনে কহিল, “না।” অপূর্ব তাহার চিবুক ধরিয়া মুখ তুলিয়া দিৰার চেষ্টা করিম ৰহিল, "একবার দেখো কে এসেছে।” স্বাখাল ভূপতিত |
|
|
|
{{gap}}অপূর্ব ক্ষুন্ন হইয়া কহিল, “কেন, আমি তােমার কাছে কী দোষ করেছি।” |
|
|
|
|
|
{{gap}}মৃন্ময়ী কহিল, “তুমি আমাকে বিয়ে করলে কেন।” |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}এ অপরাধের সন্তোষজনক কৈফিয়ত দেওয়া কঠিন। কিন্তু, অপূর্ব মনে মনে কহিল, যেমন করিয়া হউক এই দুর্বাধ্য মনটিকে বশ করিতে হইবে। |
|
|
|
|
|
{{gap}}পরদিন শাশুড়ি মৃন্ময়ীর বিদ্রোহী ভাবের সমস্ত লক্ষণ দেখিয়া তাহাকে ঘরে দরজা বন্ধ করিয়া রাখিয়া দিল। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}সে নূতন পিঞ্জরাবদ্ধ পাখির মতাে প্রথম অনেকক্ষণ ঘরের মধ্যে ধড়্ ফড়্ করিয়া বেড়াইতে লাগিল। অবশেষে কোথাও পালাইবার কোনাে পথ না দেখিয়া নিস্ফল ক্রোধে বিছানার চাদরখানা দাঁত দিয়া ছিড়িয়া কুটিকুটি করিয়া ফেলিল, এবং মাটির উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া মনে মনে বাবাকে ডাকিতে ডাকিতে কাঁদিতে লাগিল। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}এমন সময়ে ধীরে ধীরে কে তাহার পাশে আসিয়া বসিল। সস্নেহে তাহার ধূলিলুষ্ঠিত চুলগুলি কপােলের উপর হইতে তুলিয়া দিবার চেষ্টা করিল। মৃন্ময়ী সবলে মাথা নাড়িয়া তাহার হাত সরাইয়া দিল। অপূর্ব কানের কাছে মুখ নত করিয়া মৃদুস্বরে কহিল, “আমি লুকিয়ে দরজা খুলে দিয়েছি। এসাে আমরা খিড়কির বাগানে পালিয়ে যাই।” মৃন্ময়ী প্রবলবেগে মাথা নাড়িয়া সতেজে সরোদনে কহিল, “না।” অপূর্ব তাহার চিবুক ধরিয়া মুখ তুলিয়া। দিবার চেষ্টা করিয়া কহিল, “একবার দেখে কে এসেছে। রাখাল ভূপতিত |