পাতা:গল্প-দশক - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{কেন্দ্র|{{x-larger|অতিথি।}}}}
অতিথি ।

প্রথম পরিচ্ছেদ ।
{{কেন্দ্র|{{larger|প্রথম পরিচ্ছেদ।}}}}
سیستX = E تحت تسبیح

কাঠালিয়ার জমিদার মতিলাল বাবু নৌকা করিয়া সপরিবারে স্বদেশে যাইতেছিলেন। পথের মধ্যে মধ্যাহ্লে নদীতীরের এক গঞ্জের নিকট নৌকা বাধিয়া পাকের আয়োজন করিতেছেন এমন সময় এক ব্রাহ্মণ বালক আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, বাৰু তোমরা যাচ্চ কোথায় ?—প্রশ্নকৰ্ত্তার বয়স ১৫১৬র অধিক হইবে না।
কাঁঠালিয়ায় জমিদার মতিলাল বাবু নৌকা করিয়া সপরিবারে স্বদেশে যাইতেছিলেন। পথের মধ্যে মধ্যাহ্নে নদীতীরের এক গঞ্জের নিকট নৌকা বাঁধিয়া পাকের আয়ােজন করিতেছেন এমন সময় এক ব্রাহ্মণ বালক আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, বাবু তােমরা যাচ্চ কোথায়?—প্রশ্নকর্ত্তার বয়স ১৫।।১৬র অধিক হইবে না।
মতিবাবু উত্তর করিলেন, কাঠালে।

ব্রাহ্মণবালক কহিল, আমাকে পথের মধ্যে নীগায়ে নাবিয়ে দিতে পার ?
{{gap}}মতিবাবু উত্তর করিলেন, কাঁঠালে।
বাবু সন্মতি প্রকাশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার নাম কি ?

ব্রাহ্মণ বালক কহিল, "আমার নাম তারাপদ।’
{{gap}}ব্রাহ্মণবালক কহিল, আমাকে পথের মধ্যে নন্দীগাঁয়ে নাবিয়ে দিতে পার?
গৌরবর্ণ ছেলেটিকে বড় সুন্দর দেখিতে। বড় বড় চক্ষু এবং প্রসন্ন হান্তময় ওষ্ঠাধরে একটি মুললিত সোঁকুমাৰ্য্য প্রকাশ পাইতেছে। পরিধানে একখানি মলিন ধুতি। অনাবৃত দেহখানি সৰ্ব্বপ্রকার বাহুল্যবর্জিত ; কোন শিল্পী যেন বহু যত্বে নিখুৎ নিটোল করিয়া গড়িয়া দিয়াছে। যেন সে

{{gap}}বাবু সন্মতি প্রকাশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তােমার নাম কি?

{{gap}}ব্রাহ্মণ বালক কহিল, ‘আমার নাম তারাপদ।’

{{gap}}গৌরবর্ণ ছেলেটিকে বড় সুন্দর দেখিতে। বড় বড় চক্ষু এবং প্রসন্ন হাস্যময় ওষ্ঠাধরে একটি সুললিত সৌকুমার্য্য প্রকাশ পাইতেছে। পরিধানে একখানি মলিন ধুতি। অনাবৃত দেহখানি সর্ব্বপ্রকার বাহুল্যবর্জ্জিত; কোন শিল্পী যেন বহু যত্নে নিঁখুৎ নিটোল করিয়া গড়িয়া দিয়াছে। যেন সে