পাতা:সে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Mohaguru (আলোচনা | অবদান)
Pmlineditor (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
৭ নং লাইন: ৭ নং লাইন:
{{gap}}বিষয়টা সৰ্ব্বদাই রয়েছে সামনে। তাকে তাে স্মরণ করবার দরকার হয় না। তাকে যে ভোলাই শক্ত।
{{gap}}বিষয়টা সৰ্ব্বদাই রয়েছে সামনে। তাকে তাে স্মরণ করবার দরকার হয় না। তাকে যে ভোলাই শক্ত।


{{gap}}আচ্ছা, তাহোলে মাষ্টারের একটা বিশেষ পরিচয় দিই তোমাকে। এটা টুঁকে রাখবার যোগ্য। একদিন সন্ধ্যেবেলায় মাষ্টার জনকয়েক লোককে নেমন্তন্ন করেছিল। খবরটা তার মনে আছে কি না জানবার জন্যে সকাল সকাল গেলুম তার বাড়িতে। সেবক কানাইএর সঙ্গে তার যে আলােচনাটা চলছিল, বলি সে কথাটা। কানাই বললে, জগদ্ধাত্রী পূজোর বাজারে গলদা চিংড়ির দাম চড়ে গেছে তাই এনেছি ডিমওয়ালা কাঁকড়া। মাষ্টার ঈষৎ চিন্তিত হয়ে বললে, কাঁকড়া কী হবে। ও বললে, লাউ দিয়ে ঝােল, সে তােফা হবে। আমি বললুম, মাষ্টার, গলদা চিংড়ির উপর তােমার লােভ ছিল।
{{gap}}আচ্ছা, তাহোলে মাষ্টারের একটা বিশেষ পরিচয় দিই তোমাকে। এটা টুঁকে রাখবার যোগ্য। একদিন সন্ধ্যেবেলায় মাষ্টার জনকয়েক লোককে নেমন্তন্ন করেছিল। খবরটা তার মনে আছে কি না জানবার জন্যে সকাল সকাল গেলুম তার বাড়িতে। সেবক কানাইএর সঙ্গে তার যে আলােচনাটা চলছিল, বলি সে কথাটা। কানাই বললে, জগদ্ধাত্রী পূজোর বাজারে গলদা চিংড়ির দাম চড়ে গেছে তাই এনেছি ডিমওয়ালা কাঁকড়া। মাষ্টার ঈষৎ চিন্তিত হয়ে বললে, কাঁকড়া কী হবে। ও বললে, লাউ দিয়ে ঝােল, সে তােফা হবে। আমি বললুম, মাষ্টার, গল্দা চিংড়ির উপর তােমার লােভ ছিল।


{{gap}}মাষ্টার বললে, ছিল বই কী!
{{gap}}মাষ্টার বললে, ছিল বই কী!
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
{{gap}}তাহােলে তাে লােভ সম্বরণ করতে হবে।
{{gap}}তাহােলে তাে লােভ সম্বরণ করতে হবে।


{{gap}}তা কেন। লােভটা প্রস্তুত হয়েই আছে তাকে শান্ট্ ক’রে চালিয়ে দেব কাঁকড়ার লাইনে।
{{gap}}তা কেন। লােভটা প্রস্তুত হয়েই আছে তাকে শাণ্ট্ ক’রে চালিয়ে দেব কাঁকড়ার লাইনে।


{{gap}}দেখছি, তােমাকে বিস্তর শান্ট্ করতে হয়।
{{gap}}দেখছি, তােমাকে বিস্তর শাণ্ট্ করতে হয়।


{{gap}}মাষ্টার বললে, কঁকড়ার ঝােল তো খেয়েছি অনেকবার। সম্পূর্ণ মন দিইনি। এবার যখন দেখলুম কানাইয়ের জিভে জল এসেছে তখন তার সিক্ত রসনার নির্দ্দেশে খাবার সময় মনটা ঝুঁকে পড়বে কাঁকড়ার দিকে, রসটা
{{gap}}মাষ্টার বললে, কঁকড়ার ঝােল তো খেয়েছি অনেকবার। সম্পূর্ণ মন দিইনি। এবার যখন দেখলুম কানাইয়ের জিভে জল এসেছে তখন তার সিক্ত রসনার নির্দ্দেশে খাবার সময় মনটা ঝুঁকে পড়বে কাঁকড়ার দিকে, রসটা