পাতা:সে - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৬৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Mohaguru (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Pmlineditor (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
পাব বেশি ক’রে। কাঁকড়ার ঝোলটাকে ও যেন লাল পেনসিলে আণ্ডারলাইন ক’রে দিলে, ওটাকে ভালো করে মুখস্থ করবার পক্ষে সুবিধে হােলো আমার।
পাব বেশি ক’রে। কাঁকড়ার ঝোলটাকে ও যেন লাল পেনসিলে আণ্ডরলাইন্ ক’রে দিলে, ওটাকে ভালো ক’রে মুখস্থ করবার পক্ষে সুবিধে হােলো আমার।


{{gap}}মাষ্টার জিগেস করলে, আঁঠি-বাঁধা ওটা কী এনেছিস। কানাই বললে, সজনের ডাটা। মাষ্টার সগর্বে আমার দিকে চেয়ে বললে, এই দেখো মজা। ও বাজারে যাবার সময় আমার মনে ছিল লাউডগা। ও বাজার থেকে ফিরে এল, আমি পেয়ে গেলুম সজনের ডাটা। হুকুম না করবার এই সুবিধে।
{{gap}}মাষ্টার জিগেস করলে, আঁঠি-বাঁধা ওটা কী এনেছিস। কানাই বললে, সজনের ডাটা। মাষ্টার সগর্বে আমার দিকে চেয়ে বললে, এই দেখো মজা। ও বাজারে যাবার সময় আমার মনে ছিল লাউডগা। ও বাজার থেকে ফিরে এল, আমি পেয়ে গেলুম সজনের ডাটা। হুকুম না করবার এই সুবিধে।
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:
{{gap}}আমি বললুম, সজনের ডাটা না এনে ও যদি আন্‌ত চিচিঙ্গে।
{{gap}}আমি বললুম, সজনের ডাটা না এনে ও যদি আন্‌ত চিচিঙ্গে।


{{gap}}মাষ্টার জবাব দিলেন, তাহোলে ক্ষণকালের জন্যে ভাবনা করতে হোত। নাম জিনিষটার প্রভাব আছে। চিচিঙ্গে শব্দটা লোভজনক নয়। কিন্তু কানাই যদি ওটা বিশেষ ক’রে বাছাই ক’রে আনত, তাহােলে সংস্কার কাটাবার একটা উপলক্ষ্য হােত। জীবনে সব প্রথমে ভেবে দেখবার সুযোগ হোত। দেখাই যাক্ না; হয়তাে আবিষ্কার করতুম, ওটা মন্দ চলে না। চিচিঙে পদার্থটার বিরুদ্ধে অন্ধবিরাগ দূর হয়ে উপভোগ্যের সীমানা বেড়ে যেত। এমনি ক’রেই কাব্যে কবিরা তাে নিজের রুচিতে আমাদের রুচির প্রসার বাড়িয়ে দিচ্ছে। সৃষ্টিকে আণ্ডারলাইন করাই তাদের কাজ।
{{gap}}মাষ্টার জবাব দিলেন, তাহোলে ক্ষণকালের জন্যে ভাবনা করতে হোত। নাম জিনিষটার প্রভাব আছে। চিচিঙ্গে শব্দটা লোভজনক নয়। কিন্তু কানাই যদি ওটা বিশেষ ক’রে বাছাই ক’রে আনত, তাহােলে সংস্কার কাটাবার একটা উপলক্ষ্য হােত। জীবনে সব প্রথমে ভেবে দেখবার সুযোগ হোত। দেখাই যাক্ না; হয়তাে আবিষ্কার করতুম, ওটা মন্দ চলে না। চিচিঙে পদার্থটার বিরুদ্ধে অন্ধবিরাগ দূর হয়ে উপভোগ্যের সীমানা বেড়ে যেত। এমনি ক’রেই কাব্যে কবিরা তাে নিজের রুচিতে আমাদের রুচির প্রসার বাড়িয়ে দিচ্ছে। সৃষ্টিকে আণ্ডরলাইন করাই তাদের কাজ।


{{gap}}তােমার রুচির প্রসার বাড়াবার কাজে কানাইয়ের আরো এমন হাত আছে।
{{gap}}তােমার রুচির প্রসার বাড়াবার কাজে কানাইয়ের আরো এমন হাত আছে।