|
|
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা |
- | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
| + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
|
{{rh|২৪৮|গল্পগুচ্ছ|}} |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): |
১ নং লাইন: |
১ নং লাইন: |
|
⚫ |
করিল না; সে বুঝিল, ঘটনাটি সামান্য ও স্বাভাবিক। কিন্তু, এ কথাও তাহার মনে হইল যে, তাহার স্বামী শ্বশুরালয়ে বাস করিয়া কুটুম্বের আদর হইতে বঞ্চিত হইতেছেন। |
|
ミ8切 গল্পগুচ্ছ |
|
|
|
|
⚫ |
করিল না ; সে বঝিল, ঘটনাটি সামান্য ও স্বাভাবিক। কিন্তু, এ কথাও তাহার মনে হইল যে, তাহার স্বামী শ্বশরালয়ে বাস করিয়া কুটবের আদর হইতে বঞ্চিত হইতেছেন। |
|
|
সেই দিন হইতে প্রতিদিন সে তাহার স্বামীকে বলিতে লাগিল, “আমাকে তোমাদের ঘরে লইয়া চলো ; আমি আর এখানে থাকিব না।” |
|
{{gap}}সেই দিন হইতে প্রতিদিন সে তাহার স্বামীকে বলিতে লাগিল, “আমাকে তােমাদের ঘরে লইয়া চলাে; আমি আর এখানে থাকিব না।” |
|
|
|
|
অনাথবন্ধর মনে অহংকার যথেষ্ট ছিল কিন্তু আত্মসম্প্ৰমবোধ ছিল না। তাঁহার নিজ গহের দারিদ্রোর মধ্যে প্রত্যাবতন করিতে কিছুতেই তাঁহার অভিরুচি হইল না। তখন তাঁহার স্ত্রী কিছ দঢ়তা প্রকাশ করিয়া কহিল, “তুমি যদি না যাও তো আমি একলাই যাইব ।”
|
|
{{gap}}অনাথবন্ধুর মনে অহংকার যথেষ্ট ছিল কিন্তু আত্মসম্ভ্রমবােধ ছিল না। তাঁহার নিজ গৃহের দারিদ্র্যের মধ্যে প্রত্যাবর্তন করিতে কিছুতেই তাঁহার অভিরুচি হইল না। তখন তাঁহার স্ত্রী কিছু দৃঢ়তা প্রকাশ করিয়া কহিল, “তুমি যদি না যাও তাে আমি একলাই যাইব।” |
⚫ |
অনাথবন্ধ মনে মনে বিরক্ত হইয়া তাঁহার স্মীকে কলিকাতার বাহিরে দরে ক্ষুদ্র পল্লীতে তাঁহাদের মাত্তিকানিমিত খোড়ো ঘরে লইয়া যাইবার উদযোগ করিলেন। যাত্রাকালে রাজকুমারবাব এবং তাঁহার স্মী কন্যাকে আরও কিছুকাল পিতৃগৃহে থাকিয়া যাইবার জন্য অনেক অনুরোধ করিলেন ; কন্যা নীরবে নতশিরে গম্ভীরমুখে বসিয়া মৌনভাবে জানাইয়া দিল, না, সে হইতে পারবে না । |
|
|
|
|
⚫ |
তাহার সহসা এইরুপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা দেখিয়া পিতামাতার সন্দেহ হইল যে, অজ্ঞাতসারে বোধ করি কোনোরপে তাহাকে আঘাত দেওয়া হইয়াছে। রাজকুমারবাব ব্যথিত, চিত্তে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা, আমাদের কোনো অজ্ঞানকৃত আচরণে তোমার মনে কি ব্যথা লাগিয়াছে।" |
|
|
⚫ |
{{gap}}অনাথবন্ধু মনে মনে বিরক্ত হইয়া তাঁহার স্ত্রীকে কলিকাতার বাহিরে দূরে ক্ষুদ্র পল্লীতে তাঁহাদের মৃত্তিকানির্মিত খােড়ো ঘরে লইয়া যাইবার উদ্যােগ করিলেন। যাত্রাকালে রাজকুমারবাবু এবং তাঁহার স্ত্রী কন্যাকে আরও কিছুকাল পিতৃগৃহে থাকিয়া যাইবার জন্য অনেক অনুরােধ করিলেন; কন্যা নীরবে নতশিরে গম্ভীরমুখে বসিয়া মৌনভাবে জানাইয়া দিল, না, সে হইতে পারিবে না। |
⚫ |
বিধবাসিনী তাহার পিতার মাখের দিকে করণ দটিক্ষেপ করিয়া কহিল, “এক মহাতের জন্যও নহে। তোমাদের এখানে বড়ো সুখে বড়ো আদরে আমার দিন গিয়াছে।” বলিয়া সে কাঁদিতে লাগিল। কিন্তু তাহার সংকল্প অটল রহিল। |
|
|
|
|
⚫ |
বাপ মা দীঘনিশ্বাস ফেলিয়া মনে মনে কহিলেন, যত স্নেহে যত অাদরেই মানুষ কর, বিবাহ দিলেই মেয়ে পর হইয়া যায়। |
|
|
⚫ |
{{gap}}তাহার সহসা এইরূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞা দেখিয়া পিতামাতার সন্দেহ হইল যে, অজ্ঞাত-সারে বােধ করি কোনােরূপে তাহাকে আঘাত দেওয়া হইয়াছে। রাজকুমারবাবু ব্যথিতচিত্তে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা, আমাদের কোনাে অজ্ঞানকৃত আচরণে তােমার মনে কি ব্যথা লাগিয়াছে।” |
⚫ |
অবশেষে আশ্রপেণনেত্ৰে সকলের নিকট বিদায় লইয়া আপন আজন্মকালের স্নেহমণ্ডিত পিতৃগহ এবং পরিজন ও সঙ্গিনী -গণকে ছাড়িয়া বিধবাসিনী পালকিতে আরোহণ করিল। |
|
|
|
|
⚫ |
|
|
|
⚫ |
{{gap}}বিন্ধ্যবাসিনী তাহার পিতার মুখের দিকে করুণ দৃষ্টিক্ষেপ করিয়া কহিল, “এক মুহূর্তের জন্যও নহে। তােমাদের এখানে বড়াে সুখে বড়াে আদরে আমার দিন গিয়াছে।” বলিয়া সে কাঁদিতে লাগিল। কিন্তু তাহার সংকল্প অটল রহিল। |
⚫ |
কলিকাতার ধনীগহে এবং পল্লীগ্রামের গহস্থঘরে বিস্তর প্রভেদ। কিন্তু, বিমধ্যবাসিনী এক দিনের জন্যও ভাবে অথবা আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করিল না। প্রফুল্লচিত্তে গহকাযে শাশুড়ির সহায়তা করিতে লাগিল। তাহাদের দরিদ্র অবস্থা জানিয়া পিতা নিজ ব্যয়ে কন্যার সহিত একটি দাসী পাঠাইয়াছিলেন। বিধবাসিনী স্বামীগহে পে'ছিয়াই তাহাকে বিদায় করিয়া দিল। তাহার বশরঘরের দারিদ্র্য দেখিয়া বড়োমানুষের ঘরের দাসী প্রতি মহাতে মনে মনে নাসাপ্ল আকুঞ্চিত করিতে থাকিবে, এ আশঙ্কাও তাহার অসহ্য বোধ হইল। |
|
|
|
|
⚫ |
শাশুড়ি স্নেহবশত কিধাকে শ্রমসাধ্য কাষ হইতে বিরত করিতে চেষ্টা করিতেন, কিছু বিখ্য নিরলস- অশ্ৰান্ত-ভাবে প্রসন্নমুখে সকল কাষে যোগ দিয়া শাশুড়ির হৃদয় |
|
|
⚫ |
{{gap}}বাপ মা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া মনে মনে কহিলেন, যত স্নেহে যত আদরেই মানুষ কর, বিবাহ দিলেই মেয়ে পর হইয়া যায়। |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}অবশেষে অশ্রুপূর্ণনেত্রে সকলের নিকট বিদায় লইয়া আপন আজন্মকালের স্নেহমণ্ডিত পিতৃগৃহ এবং পরিজন ও সঙ্গিনী -গণকে ছাড়িয়া বিন্ধ্যবাসিনী পালকিতে আরােহণ করিল। |
|
|
|
|
⚫ |
{{rh||দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ |}} |
|
⚫ |
কলিকাতার ধনীগৃহে এবং পল্লীগ্রামের গৃহস্থঘরে বিস্তর প্রভেদ। কিন্তু, বিন্ধ্যবাসিনী এক দিনের জন্যও ভাবে অথবা আচরণে অসন্তােষ প্রকাশ করিল না। প্রফুল্লচিত্তে গহকার্যে শাশুড়ির সহায়তা করিতে লাগিল। তাহাদের দরিদ্র অবস্থা জানিয়া পিতা নিজ ব্যয়ে কন্যার সহিত একটি দাসী পাঠাইয়াছিলেন। বিন্ধ্যবাসিনী স্বামীগৃহে পৌঁছিয়াই তাহাকে বিদায় করিয়া দিল। তাহার শ্বশুরঘরের দারিদ্র্য দেখিয়া বড়ােমানুষের ঘরের দাসী প্রতি মুহূর্তে মনে মনে নাসাগ্র আকুঞ্চিত করিতে থাকিবে, এ আশঙ্কাও তাহার অসহ্য বােধ হইল॥ |
|
|
|
|
⚫ |
{{gap}}শাশুড়ি স্নেহবশত বিন্ধ্যকে শ্রমসাধ্য কার্য হইতে বিরত করিতে চেষ্টা করিতেন, কিছু বিন্ধ্য নিরলস- অশ্রান্ত-ভাবে প্রসন্নমুখে সকল কার্যে যােগ দিয়া শাশুড়ির হৃদয় |