পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|২৭৪|গল্পগুচ্ছ|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
হইয়াছেন, কেবল শরীর এখনও সম্পূর্ণ সবল হয় নাই। তাঁহার মুখে চক্ষে একটি সকরুণ কৃশতা অঙ্কিত হইয়া আছে, যাহা দেখিলে হৃদকম্পসহ মনে উদয় হয়, আহা, বড়াে রক্ষা পাইয়াছে।
을 8 গল্পগুচ্ছ

হইয়াছেন, কেবল শরীর এখনও সম্পণে সবল হয় নাই। তাঁহার মুখে চক্ষে একটি সকরণে কৃশতা অঙ্কিত হইয়া আছে, যাহা দেখিলে হংকল্পসহ মনে উদয় হয়, আহা, বড়ো রক্ষা পাইয়াছে !
কিন্তু কিরণের স্বভাবটা সঙ্গপ্রিয়, আমোদপ্রিয়। এখানে একলা আর ভালো লাগিতেছে না; তাহার ঘরের কাজ নাই, পাড়ার সঙ্গিনী নাই; কেবল সমস্ত দিন আপনার রাগণ শরীরটাকে লইয়া নাড়াচাড়া করিতে মন যায় না। ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাগ মাপিয়া ঔষধ খাও, তাপ দাও, পথ্যপালন করো— ইহাতে বিয়ন্তি ধরিয়া গিয়াছে; আজ ঝড়ের সন্ধ্যাবেলায় রন্ধগহে স্বামীক্ষ্মীতে তাহাই লইয়া আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল।
{{gap}}কিন্তু কিরণের স্বভাবটা সঙ্গপ্রিয়, আমােদপ্রিয়। এখানে একলা আর ভালাে লাগিতেছে না; তাহার ঘরের কাজ নাই, পাড়ার সঙ্গিনী নাই; কেবল সমস্ত দিন আপনার রুগ্‌ণ শরীরটাকে লইয়া নাড়াচাড়া করিতে মন যায় না। ঘণ্টায় ঘণ্টায় দাগ মাপিয়া ঔষধ খাও, তাপ দাও, পথ্যপালন করাে—ইহাতে বিরক্তি ধরিয়া গিয়াছে; আজ ঝড়ের সন্ধ্যাবেলায় রুদ্ধগৃহে স্বামীস্ত্রীতে তাহাই লইয়া আন্দোলন উপস্থিত হইয়াছিল।

কিরণ যতক্ষণ উত্তর দিতেছিল ততক্ষণ উভয়পক্ষে সমকক্ষভাবে বন্দ্ৰযন্ধ চলিতেছিল, কিন্তু অবশেষে কিরণ যখন নিরক্তের হইয়া বিনা প্রতিবাদে শরতের দিক হইতে ঈষৎ বিমুখ হইয়া ঘাড় বাঁকাইয়া বসিল তখন দলবল নিরাপায় পরষটির আর কোনো অস্ত্র রহিল না। পরাভব স্বীকার করিবার উপক্ৰম করিতেছে, এমন সমরে বাহির হইতে বেহারা উচ্চৈঃস্বরে কী একটা নিবেদন করিল।
{{gap}}কিরণ যতক্ষণ উত্তর দিতেছিল ততক্ষণ উভয়পক্ষে সমকক্ষভাবে দ্বন্দযুদ্ধ চলিতেছিল, কিন্তু অবশেষে কিরণ যখন নিরুত্তর হইয়া বিনা প্রতিবাদে শরতের দিক হইতে ঈষৎ বিমুখ হইয়া ঘাড় বাঁকাইয়া বসিল তখন দুর্বল নিরুপায় পুরুষটির আর কোনাে অস্ত্র রহিল না। পরাভব স্বীকার করিবার উপক্রম করিতেছে, এমন সময়ে বাহির হইতে বেহারা উচ্চৈঃস্বরে কী একটা নিবেদন করিল।
শরৎ উঠিয়া বার খালিয়া শুনিলেন, নৌকাডুবি হইয়া একটি রাহমণবালক সাঁতার দিয়া তাঁহাদের বাগানে আসিয়া উঠিয়াছে ।

শনিয়া কিরণের মান-অভিমান দরে হইয়া গেল, তৎক্ষণাৎ আলনা হইতে শাক বসন্ত্র বাহির করিয়া দিলেন এবং শীঘ্র একবাটি দধে গরম করিয়া ব্রাহরণের ছেলেকে অতঃপরে ডাকিয়া পাঠাইলেন।
{{gap}}শরৎ উঠিয়া দ্বার খুলিয়া শুনিলেন, নৌকাডুবি হইয়া একটি ব্রাহ্মণবালক সাঁতার দিয়া তাঁহাদের বাগানে আসিয়া উঠিয়াছে।
ছেলেটির লবা চুল, বড়ো বড়ো চোখ, গোঁফের রেখা এখনও উঠে নাই। কিরণ তাহাকে নিজে থাকিয়া ভোজন করাইয়া তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন।

শুনিলেন, সে যাত্রার দলের ছোকরা, তাহার নাম নীলকান্ত। তাহারা নিকটবতীর্ণ সিংহবাবদের বাড়ি যাত্রার জন্য আহত হইয়াছিল; ইতিমধ্যে নৌকাডুবি হইয়া তাহাদের দলের লোকের কী গতি হইল কে জানে; সে ভালো সাঁতার জানিত, কোনোমতে প্রাণরক্ষা করিয়াছে।
{{gap}}শুনিয়া কিরণের মান-অভিমান দূর হইয়া গেল, তৎক্ষণাৎ আলনা হইতে শুষ্ক বস্ত্র বাহির করিয়া দিলেন এবং শীঘ্র একবাটি দুধ গরম করিয়া ব্রাহ্মণের ছেলেকে অন্তঃপুরে ডাকিয়া পাঠাইলেন।
ছেলেটি এইখানেই রহিয়া গেল। আর একট হইলেই সে মারা পড়িত, এই মনে করিয়া তাহার প্রতি কিরণের অত্যন্ত দয়ার উদ্রেক হইল।

শরৎ মনে করিলেন, হইল ভালো, কিরণ একটা নতন কাজ হাতে পাইলেন, এখন কিছুকাল এইভাবে কাটিয়া যাইবে। ব্লাহরণবালকের কল্যাণে পণ্যসঞ্চয়ের প্রত্যাশায় শাশুড়িও প্রসন্নতা লাভ করিলেন। এবং অধিকারী মহাশয় ও যমরাজের হাত হইতে সহসা এই ধনৗপরিবারের হাতে বদলি হইয়া নীলকান্ত বিশেষ আরাম বোধ করিল।
{{gap}}ছেলেটির লম্বা চুল, বড়াে বড়াে চোখ, গোঁফের রেখা এখনও উঠে নাই। কিরণ তাহাকে নিজে থাকিয়া ভােজন করাইয়া তাহার পরিচয় জিজ্ঞাসা করিলেন।
কিন্তু অনতিবিলবে শরৎ এবং তাঁহার মাতার মত-পরিবতন হইতে লাগিল। তাহারা ভাবিলেন, আর আবশ্যক নাই, এখন এই ছেলেটাকে বিদায় করিতে পারিঙ্গে আপদ যায় ।

নীলকান্ত গোপনে শরতের গড়গড়িতে ফট্ ফট্ শব্দে তামাক টানিতে আরম্ভ कर्गब्रण । दचि ब्र मिटन अम्लानबमटन डाँशाब्र शरथग्न निहन्कद्र शठान्नैि भाथाग्न मिग्ना BBBBBBBBuDD DDB BBD DDBB DDB BBDD DD DDDD DDD
{{gap}}শুনিলেন, সে যাত্রার দলের ছােকরা, তাহার নাম নীলকান্ত। তাহারা নিকটবর্তী সিংহবাবুদের বাড়ি যাত্রার জন্য আহূত হইয়াছিল; ইতিমধ্যে নৌকাডুবি হইয়া তাহাদের দলের লােকের কী গতি হইল কে জানে; সে ভালাে সাঁতার জানিত, কোনােমতে প্রাণরক্ষা করিয়াছে।

{{gap}}ছেলেটি এইখানেই রহিয়া গেল। আর একটু হইলেই সে মারা পড়িত, এই মনে করিয়া তাহার প্রতি কিরণের অত্যন্ত দয়ার উদ্রেক হইল।

{{gap}}শরৎ মনে করিলেন, হইল ভালাে, কিরণ একটা নতুন কাজ হাতে পাইলেন, এখন কিছুকাল এইভাবে কাটিয়া যাইবে। ব্রাহ্মণবালকের কল্যাণে পুণ্যসঞ্চয়ের প্রত্যাশায় শাশুড়িও প্রসন্নতা লাভ করিলেন। এবং অধিকারী মহাশয় ও যমরাজের হাত হইতে সহসা এই ধনীপরিবারের হাতে বদলি হইয়া নীলকান্ত বিশেষ আরাম বােধ করিল।

{{gap}}কিন্তু অনতিবিলম্বে শরৎ এবং তাঁহার মাতার মত-পরিবর্তন হইতে লাগিল। তাঁহারা ভাবিলেন, আর আবশ্যক নাই, এখন এই ছেলেটাকে বিদায় করতে পারিলে আপদ যায়।

{{gap}}নীলকান্ত গােপনে শরতের গুড়গুড়িতে ফড়্ ফড়্ শব্দে তামাক টানিতে আরম্ভ করিল। বৃষ্টির দিনে অম্লানবদনে তাহার শখের সিল্কের ছাতাটি মাথায় দিয়া নববন্ধুসঞ্চয়চেষ্টায় পল্লীতে পর্যটন করিতে লাগিল। কোথাকায় একটা মলিন গ্রাম্য