পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৬৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|২৮০|গল্পগুচ্ছ|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
সতীশ আর একটা কথা বলিলেই সে তাহার দুই হাতের দশ নখ লইয়া ক্রুদ্ধ বিড়ালশাবকের মতাে সতীশের উপর গিয়া পড়িত।
ᏄᏌᏅ গল্পগাছ

সতীশ আর একটা কথা বলিলেই সে তাহার দই হাতের দশ নখ লইয়া কন্ধ বিড়ালশাবকের মতো সতীশের উপর গিয়া পড়িত।
তখন কিরণ তাহাকে পাশের ঘরে ডাকিয়া লইয়া মদ মিন্টস্বরে বলিলেন, “নীল যদি সেই দোয়াতটা নিয়ে থাকিস আমাকে আস্তে আস্তে দিয়ে ষা, তোকে কেউ কিছ বলবে না।”
{{gap}}তখন কিরণ তাহাকে পাশের ঘরে ডাকিয়া লইয়া মৃদুমিষ্টস্বরে বলিলেন, “নীলু যদি সেই দোয়াতটা নিয়ে থাকিস আমাকে আস্তে আস্তে দিয়ে যা, তােকে কেউ কিছু বলবে না।”

নীলকান্তের চোখ ফাটিয়া টস টস করিয়া জল পড়িতে লাগিল, অবশেষে সে মখ ঢাকিয়া কাঁদিতে লাগিল।
{{gap}}নীলকান্তের চোখ ফাটিয়া টস্ টস্ করিয়া জল পড়িতে লাগিল, অবশেষে সে মুখ ঢাকিয়া কাঁদিতে লাগিল।
কিরণ বাহিরে আসিয়া বলিলেন, “নীলকান্ত কখনোই চুরি করে নি।” শরং এবং সতীশ উভয়েই বলিতে লাগিলেন, “নিশ্চয় নীলকান্ত ছাড়া আর কেহই চুরি করে নি।”

কিরণ সবলে বলিলেন, “কখনোই না।” শরৎ নীলকান্তকে ডাকিয়া শওয়াল করিতে ইচ্ছা করিলেন, কিরণ বলিলেন, “না, উহাকে এই চুরি সম্বন্ধে কোনো কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারবে না।” সতীশ কহিলেন, “উহার ঘর এবং বাক্স খাজিয়া দেখা উচিত।” কিরণ বলিলেন, “তাহা যদি কর তাহা হইলে তোমার সঙ্গে আমার জন্মশোধ আড়ি হইবে। নিদোষীর প্রতি কোনোরপে সন্দেহ প্রকাশ করিতে পাইবে না।”
{{gap}}কিরণ বাহিরে আসিয়া বলিলেন, “নীলকান্ত কখনােই চুরি করে নি।”
বলিতে বলিতে তাঁহার চোখের পাতা দই ফোঁটা জলে ভিজিয়া উঠিল। তাহার পর সেই দটি করণ চক্ষর আশ্রজেলের দোহাই মানিয়া নীলকাতের প্রতি আর কোনোরাপ হসতক্ষেপ করা হইল না। -

নিরীহ আশ্রিত বালকের প্রতি এইরুপ অত্যাচারে কিরণের মনে অত্যন্ত দয়ার সঞ্চার হইল। তিনি ভালো দুইজোড়া ফরাসডাঙার ধতিচাদর, দুইটি জামা, একজোড়া নতন জনতা এবং একখানি দশ টাকার নোট লইয়া সন্ধ্যাবেলায় নীলকাতের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তাঁহার ইচ্ছা ছিল, নীলকান্তকে না বলিয়া সেই স্নেহ-উপহারগলি আস্তে আস্তে তাহার বাক্সর মধ্যে রাখিয়া আসিবেন। টিনের বাক্সটিও তাঁহার দত্ত ।
{{gap}}শরৎ এবং সতীশ উভয়েই বলিতে লাগিলেন, “নিশ্চয় নীলকান্ত ছাড়া আর কেহই চুরি করে নি।”
অচল হইতে চাবির গোচ্ছা লইয়া নিঃশব্দে সেই বাক্স খলিলেন। কিন্তু তাঁহার উপহারগুলি ধরাইতে পারিলেন না। বাক্সর মধ্যে লাটাই, কষ্টি, কাঁচা আম কাটিবার জন্য ঘষা ঝিনুক, ভাঙা গলাসের তলা প্রভৃতি নানাজাতীয় পদার্থ স্তপোকারে রক্ষিত। কিরণ ভাবিলেন, বাক্সটি ভালো করিয়া গছাইয়া তাহার মধ্যে সকল জিনিস ধরাইতে পারিবেন। সেই উদ্দেশ্যে বাক্সটি খালি করিতে লাগিলেন। প্রথমে লাটাই লাঠিম ছরি প্রভৃতি বাহির হইতে লাগিল ; তাহার পরে খানকয়েক ময়লা এবং কাচা কাপড় বাহির হইল, তাহার পরে সকলের নীচে হঠাৎ সতীশের সেই বহাযত্নের রাজহংসশোভিত দোয়াতদানটি বাহির হইয়া আসিল । ... ཨ་ཨཱ། ཨ་ཡང་ཝ་བཅོམ་ཨ་ལྟའི་མཁར་ས་ཁཨ་བ་ཁ་ས་ཨ་མ་ ཐ་ཝ་ཤ་ཐག ”ཙག་ཙིག་་

! ইতিমধ্যে কখন নীলকান্ত পশ্চাৎ হইতে স্বরে প্রবেশ করিল তিনি তাহা জানিতেও BDD D DDBB BBBB BDDS DD DDD DDD DBB BBB BB তাহার চুরি ধরিতে আসিয়াছেন এবং তাহার চুরিও ধরা পড়িয়াছে। সে যে কেবল
{{gap}}কিরণ সবলে বলিলেন, “কখনােই না।”

{{gap}}শরৎ নীলকান্তকে ডাকিয়া শওয়াল করিতে ইচ্ছা করিলেন, কিরণ বলিলেন, “না, উহাকে এই চুরি সম্বন্ধে কোনাে কথা জিজ্ঞাসা করিতে পারিবে না।”

{{gap}}সতীশ কহিলেন, “উহার ঘর এবং বাক্স খুঁজিয়া দেখা উচিত।”

{{gap}}কিরণ বলিলেন, “তাহা যদি কর তাহা হইলে তােমার সঙ্গে আমার জন্মশােধ আড়ি হইবে। নির্দোষীর প্রতি কোনােরপ সন্দেহ প্রকাশ করিতে পাইবে না।”

{{gap}}বলিতে বলিতে তাঁহার চোখের পাতা দুই ফোঁটা জলে ভিজিয়া উঠিল। তাহার পর সেই দুটি করুণ চক্ষুর অশ্রুজলের দোহাই মানিয়া নীলকান্তের প্রতি আর কোনােরূপ হস্তক্ষেপ করা হইল না।

{{gap}}নিরীহ আশ্রিত বালকের প্রতি এইরূপ অত্যাচারে কিরণের মনে অত্যন্ত দয়ার সঞ্চার হইল। তিনি ভালাে দুইজোড়া ফরাসডাঙার ধুতিচাদর, দুইটি জামা, একজোড়া নূতন জুতা এবং একখানি দশ টাকার নোেট লইয়া সন্ধ্যাবেলায় নীলকান্তের ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। তাঁহার ইচ্ছা ছিল, নীলকান্তকে না বলিয়া সেই স্নেহ-উপহার-গুলি আস্তে আস্তে তাহার বাক্সর মধ্যে রাখিয়া আসিবেন। টিনের বাক্সটিও তাঁহার দত্ত।

{{gap}}আঁচল হইতে চাবির গােচ্ছা লইয়া নিঃশব্দে সেই বাক্স খুলিলেন। কিন্তু তাঁহার উপহারগুলি ধরাইতে পারিলেন না। বাক্সর মধ্যে লাটাই, কঞ্চি, কাঁচা আম কাটিবার জন্য ঘষা ঝিনুক, ভাঙা গ্লাসের তলা প্রভৃতি নানাজাতীয় পদার্থ স্তূপাকারে রক্ষিত।

কিরণ ভাবিলেন, বাক্সটি ভালাে করিয়া গুছাইয়া তাহার মধ্যে সকল জিনিস ধরাইতে পারিবেন। সেই উদ্দেশ্যে বাক্সটি খালি করিতে লাগিলেন। প্রথমে লাটাই লাঠিম ছুরি প্রভৃতি বাহির হইতে লাগিল; তাহার পরে খানকয়েক ময়লা এবং কাচা কাপড় বাহির হইল, তাহার পরে সকলের নীচে হঠাৎ সতীশের সেই বহুযত্নের রাজহংসশােভিত দোয়াতদানটি বাহির হইয়া আসিল।

{{gap}}কিরণ আশ্চর্য হইয়া আরক্তিমমুখে অনেক ক্ষণ সেটি হাতে করিয়া লইয়া ভাবিতে লাগিলেন।

{{gap}}ইতিমধ্যে কখন নীলকান্ত পশ্চাৎ হইতে ঘরে প্রবেশ করিল তিনি তাহা জানিতেও পারিলেন না। নীলকান্ত সমস্তই দেখিল, মনে করিল কিরণ স্বয়ং চোরের মতাে তাহার চুরি ধরিতে আসিয়াছেন এবং তাহার চুরিও ধরা পড়িয়াছে। সে যে কেবল