পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৭৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||দিদি|২৮৭}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
ভাই-বােনকে চারি দিক হইতে ঘিরিয়া ধরিয়াছে। সে একা স্ত্রীলােক, অসহায় নীলমণিকে কেমন করিয়া রক্ষা করিবে ভাবিয়া কূলকিনারা পাইল না। যতই চিন্তা করিতে লাগিল ততই ভয়ে এবং ঘৃণায় এবং বিপন্ন বালক ভ্রাতাটির প্রতি অপরিসীম স্নেহে তাহার হৃদয় পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। তাহার মনে হইতে লাগিল, সে যদি উপায় জানিত তবে লাটসাহেবের নিকট নিবেদন করিয়া, এমন-কি, মহারানীর নিকট পত্র লিখিয়া তাহার ভাইয়ের সম্পত্তি রক্ষা করিতে পারিত। মহারানী কখনােই নীলমণির বার্ষিক সাত শত আটান্ন টাকা মুনাফার হাসিলপুর মহল বিক্রয় হইতে দিতেন না।
ग्निग्नि ミ切a

ভাই-বোনকে চারি দিক হইতে ঘিরিয়া ধরিয়াছে। সে একা সন্ত্রীলোক, অসহায় নীলমণিকে কেমন করিয়া রক্ষা করিবে ভাবিয়া কলকিনারা পাইল না। যতই চিন্তা করিতে লাগিল ততই ভয়ে এবং ঘণায় এবং বিপন্ন বালক ভ্রাতাটির প্রতি অপরিসীম স্নেহে তাহার হদয় পরিপণ হইয়া উঠিল। তাহার মনে হইতে লাগিল, সে যদি উপায় জানিত তবে লাটসাহেবের নিকট নিবেদন করিয়া, এমন-কি, মহারানীর নিকট পর লিখিয়া তাহার ভাইয়ের সম্পত্তি রক্ষা করিতে পারিত। মহারানী কখনোই নীলমণির বাষিক সাত শত আটান্ন টাকা মনোফার হাসিলপর মহল বিক্রয় হইতে দিতেন না।
এইরপে শশী যখন একেবারে মহারানীর নিকট দরবার করিয়া তাহার পিসতুতো দেবরকে সম্পণে জব্দ করিয়া দিবার উপায় চিন্তা করিতেছে তখন হঠাৎ নীলমণির জর আসিয়া আক্ষেপ-সহকারে মাছা হইতে লাগিল।
{{gap}}এইরপে শশী যখন একেবারে মহারানীর নিকট দরবার করিয়া তাহার পিসতুতাে দেবরকে সম্পূর্ণ জব্দ করিয়া দিবার উপায় চিন্তা করিতেছে তখন হঠাৎ নীলমণির জ্বর আসিয়া আক্ষেপ-সহকারে মূর্ছা হইতে লাগিল।

জয়গোপাল এক গ্রাম্য নেটিভ ডাক্তারকে ডাকিল। শশী ভালো ডাক্তারের জন্য অনুরোধ করাতে জয়গোপাল কহিল, “কেন, মতিলাল মন্দ ডাক্তার কি।”
{{gap}}জয়গােপাল এক গ্রাম্য নেটিভ ডাক্তারকে ডাকিল। শশী ভালাে ডাক্তারের জন্য অনুরােধ করাতে জয়গােপাল কহিল, “কেন, মতিলাল মন্দ ডাক্তার কি।”
শশী তখন তাহার পায়ে পড়িল, মাথার দিব্য দিল; জয়গোপাল বলিল, “আচ্ছা, শহর হইতে ডাক্তার ডাকিতে পাঠাইতেছি।”

শশী নীলমণিকে কোলে করিয়া, বকে করিয়া পড়িয়া রহিল। নীলমণিও তাহাকে এক দণ্ড চোখের আড়াল হইতে দেয় না; পাছে ফাঁকি দিয়া পালায় এই ভয়ে তাহাকে জড়াইয়া থাকে, এমন-কি, ঘুমাইয়া পড়িলেও অচিলটি ছাড়ে না।
{{gap}}শশী তখন তাহার পায়ে পড়িল, মাথার দিব্য দিল; জয়গােপাস বলিল, “আচ্ছা, শহর হইতে ডাক্তার ডাকিতে পাঠাইতেছি।”
সমস্ত দিন এমনি ভাবে কাটিলে সন্ধ্যার পর জয়গোপাল আসিয়া বলিল, শহরে ডাক্তারবাবকে পাওয়া গেল না, তিনি দরে কোথায় রোগী দেখিতে গিয়াছেন। ইহাও বলিল, “মকদ্দমা-উপলক্ষে আমাকে আজই অন্যত্র যাইতে হইতেছে ; আমি মতিলালকে বলিয়া গেলাম, সে নিয়মিত আসিয়া রোগী দেখিয়া যাইবে।”

রাত্রে নীলমণি ঘামের ঘোরে প্রলাপ বকিল। প্রাতঃকালেই শশী কিছমাত্র বিচার না করিয়া রোগী ভ্রাতাকে লইয়া নৌকা চড়িয়া একেবারে শহরে গিয়া ডাক্তারের বাড়ি উপসিথত হইল। ডাক্তার বাড়িতেই আছেন, শহর ছাড়িয়া কোথাও যান নাই। ভদ্রসত্ৰীলোক দেখিয়া তিনি তাড়াতাড়ি বাসা ঠিক করিয়া একটি প্রাচীন বিধবার তত্ত্বাবধানে শশীকে প্রতিঠিত করিয়া দিলেন এবং ছেলেটির চিকিৎসা আরম্ভ করিলেন।
{{gap}}শশী নীলমণিকে কোলে করিয়া, বুকে করিয়া পড়িয়া রহিল। নীলমণিও তাহাকে এক দণ্ড চোখের আড়াল হইতে দেয় না; পাছে ফাঁকি দিয়া পালায় এই ভয়ে তাহাকে জড়াইয়া থাকে, এমন-কি, ঘুমাইয়া পড়িলেও আঁচলটি ছাড়ে না।
পরদিনই জয়গোপাল আসিয়া উপস্থিত। ক্ৰোধে অগ্নিমতি হইয়া সাঁকে তৎক্ষণাৎ তাহার সহিত ফিরিতে অনুমতি করিল।

পত্নী কহিল, “আমাকে যদি কাটিয়া ফেল তব আমি এখন ফিরিব না; তোমরা আমার নীলমণিকে মারিয়া ফেলিতে চাও ; উহার মা নাই, বাপ নাই, আমি ছাড়া উহার আর কেহ নাই, আমি উহাকে রক্ষা করিব।”
{{gap}}সমস্ত দিন এমনি ভাবে কাটিলে সন্ধ্যার পর জয়গােপাল আসিয়া বলিল, শহরে ডাক্তারবাবুকে পাওয়া গেল না, তিনি দূরে কোথায় রােগী দেখিতে গিয়াছেন। ইহাও বলিল, “মকদ্দমা-উপলক্ষে আমাকে আজই অন্যত্র যাইতে হইতেছে; আমি মতিলালকে বলিয়া গেলাম, সে নিয়মিত আসিয়া রােগী দেখিয়া যাইবে।”
জয়গোপাল রাগিয়া কহিল, “তবে এইখানেই থাকো, তুমি আর আমার ঘরে ফিরিয়ো না।”

শশী তখন প্রদীপ্ত হইয়া উঠিয়া কহিল, “ঘর তোমার কি ? আমার ভাইয়ের তো ঘর ।”
{{gap}}রাত্রে নীলমণি ঘুমের ঘােরে প্রলাপ বকিল। প্রাতঃকালেই শশী কিছুমাত্র বিচার না করিয়া রােগী ভ্রাতাকে লইয়া নৌকা চড়িয়া একেবারে শহরে গিয়া ডাক্তারের বাড়ি উপস্থিত হইল। ডাক্তার বাড়িতেই আছেন, শহর ছাড়িয়া কোথাও যান নাই। ভদ্র-স্ত্রীলােক দেখিয়া তিনি তাড়াতাড়ি বাসা ঠিক করিয়া একটি প্রাচীন বিধবার তত্ত্বাবধানে শশীকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া দিলেন এবং ছেলেটির চিকিৎসা আরম্ভ করিলেন।
জয়গোপাল কহিল, “আচ্ছা, সে দেখা যাইবে।” श्राज्राव्र हव्नाटक ¢ई घणेनाग्न किछ्द प्रिन थदद आरग्झालन कब्रिटऊ लाशिल ।

{{gap}}পরদিনই জয়গােপাল আসিয়া উপস্থিত। ক্রোধে অগ্নিমূর্তি হইয়া স্ত্রীকে তৎক্ষণাৎ তাহার সহিত ফিরিতে অনুমতি করিল।

{{gap}}স্ত্রী কহিল, “আমাকে যদি কাটিয়া ফেল তবু আমি এখন ফিরিব না; তােমরা আমার নীলমণিকে মারিয়া ফেলিতে চাও; উহার মা নাই, বাপ নাই, আমি ছাড়া উহার আর কেহ নাই, আমি উহাকে রক্ষা করিব।”

{{gap}}জয়গােপাল রাগিয়া কহিল, “তবে এইখানেই থাকো, তুমি আর আমার ঘরে ফিরিয়ো না।”

{{gap}}শশী তখন প্রদীপ্ত হইয়া উঠিয়া কহিল, “ঘর তােমার কি? আমার ভাইয়ের তাে ঘর।”

{{gap}}জয়গােপাল কহিল, “আচ্ছা, সে দেখা যাইবে।”

{{gap}}পাড়ার লােকে এই ঘটনায় কিছু দিন খুব আন্দোলন করিতে লাগিল।
{{nop}}