পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh|২৯৬|গল্পগুচ্ছ|}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{gap}}তখন রাত্রি দশটা। বাড়ির আর-সকলে আহারাদি সমাধা করিয়া ঘুমাইতে গিয়াছে। এমন সময় আতর মাখিয়া, উড়ানি উড়াইয়া, হঠাৎ গােপীনাথ আসিয়া উপস্থিত হইল। সুধো অনেকখানি জিভ কাটিয়া সাত হাত ঘােমটা টানিয়া ঊর্ধ্বশ্বাসে পলায়ন করিল। |
|||
ミぬや গল্পগুচ্ছ |
|||
{{gap}}গিরিবালা ভাবিল, তাহার দিন আসিয়াছে। সে মুখ তুলিয়া চাহিল না। সে রাধিকার মতাে গুরুমানভরে অটল হইয়া বসিয়া রহিল। কিন্তু দশ্যপট উঠিল না, শিখিপুচ্ছচূড়া পায়ের কাছে লুটাইল না, কেহ রাগিণীতে গাহিয়া উঠিল না “কেন পূর্ণিমা আঁধার কর লুকায়ে বদনশশী”। সংগীতহীন নীরসকণ্ঠে গােপীনাথ বলিল, “একবার চাবিটা দাও দেখি।” |
|||
⚫ | এমন জ্যোৎস্নায়, এমন বসন্তে, এত দিনের বিচ্ছেদের পরে এই কি প্রথম সম্ভাষণ! কাব্যে নাটকে উপন্যাসে যাহা লেখে তাহার |
||
⚫ | এমন সময়ে দক্ষিনে বাতাস জগতের সমস্ত অপমানিত কবিত্বের |
||
⚫ | {{gap}}এমন জ্যোৎস্নায়, এমন বসন্তে, এত দিনের বিচ্ছেদের পরে এই কি প্রথম সম্ভাষণ! কাব্যে নাটকে উপন্যাসে যাহা লেখে তাহার আগাগােড়াই মিথ্যা কথা! অভিনয়মঞ্চেই প্রণয়ী গান গাহিয়া পায়ে আসিয়া লুটাইয়া পড়ে- এবং তাহাই দেখিয়া যে দর্শকের চিত্ত বিগলিত হইয়া যায় সেই লােকটি বসন্তনিশীথে গৃহছাদে আসিয়া আপন অনুপমা যুবতী স্ত্রীকে বলে, ওগাে, একবার চাবিটা দাও দেখি’! তাহাতে না আছে রাগিণী, না আছে প্রীতি, তাহাতে কোনাে মােহ নাই, মাধুর্য নাই—তাহা অত্যন্ত অকিঞ্চিৎকর। |
||
স্বামীর হাত ধরিয়া বলিল, “চাবি দিব এখন, তুমি ঘরে চলো।” আজ সে |
|||
ব্ৰহাস বাহির করিয়া বিজয়ী হইবে, ইহা সে দঢ় সংকল্প করিয়াছে। |
|||
⚫ | {{gap}}এমন সময়ে দক্ষিনে বাতাস জগতের সমস্ত অপমানিত কবিত্বের মর্মান্তিক দীর্ঘনিশ্বাসের মতাে হুহু করিয়া বহিয়া গেল—টব-ভরা ফুটন্ত বেলফুলের গন্ধ ছাদময় ছড়াইয়া দিয়া গেল, গিরিবালার চূর্ণ অলক চোখে মুখে আসিয়া পড়িল এবং তাহার বাসন্তী রঙের সুগন্ধি আঁচল অধীরভাবে যেখানে-সেখানে উড়িতে লাগিল। গিরিবালা সমস্ত মান বিসর্জন দিয়া উঠিয়া পড়িল। |
||
⚫ | |||
⚫ | |||
{{gap}}স্বামীর হাত ধরিয়া বলিল, “চাবি দিব এখন, তুমি ঘরে চলো।” আজ সে কাঁদিবে কাঁদাইবে, তাহার সমস্ত নির্জন কল্পনাকে সার্থক করিবে, তাহার সমস্ত ব্রহ্মাস্ত্র বাহির করিয়া বিজয়ী হইবে, ইহা সে দৃঢ় সংকল্প করিয়াছে। |
|||
⚫ | |||
⚫ | |||
{{gap}}গােপীনাথ কহিল, “আমি বেশি দেরি করিতে পারিব না—তুমি চাবি দাও।” |
|||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | |||
{{gap}}গিরিবালা বলিল, “তবে আমি চাবি দিব না।” |
|||
⚫ | {{gap}}গােপী বলিল, “দিবে না বই-কি! কেমন না দাও দেখিব।” বলিয়া সে গিরিবালার আঁচলে দেখিল, চাবি নাই। ঘরের মধ্যে ঢুকিয়া তাহার আয়নার বাক্সর দেরাজ খুলিয়া দেখিল, তাহার মধ্যেও চাবি নাই। তাহার চুল বাঁধিবার বাক্স জোর করিয়া ভাঙিয়া খুলিল; তাহাতে কাজললতা, সিঁদুরের কৌটা, চুলের দড়ি প্রভৃতি বিচিত্র উপকরণ আছে—চাবি নাই। তখন সে বিছানা ঘাঁটিয়া, গদি উঠাইয়া, আলমারি ভাঙিয়া, নাস্তানাবুদ করিয়া তুলিল। |
||
⚫ | |||
⚫ |