পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh||ঠাকুরদা|৩০৫}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
বিদীর্ণ হইবার উপক্রম হইতেছিল। |
|||
ठाकूद्रना రిod; |
|||
विक्रौञ' झद्देवान्न छै•ाङ्घा झईहज्रझिछन । |
|||
অবশেষে |
{{gap}}অবশেষে কিছুতে আর থাকিতে না পারিয়া ছুটিয়া কিঞ্চিৎ দূরবর্তী এক ঘরের মধ্যে গিয়া প্রবেশ করিলাম—এবং সেখানে হাসির উচ্ছ্বস উন্মুক্ত করিয়া দিয়া হঠাৎ দেখি, একটি বালিকা তক্তপােষের উপর উপুড় হইয়া পড়িয়া ফুলিয়া-ফুলিয়া কাঁদিতেছে। |
||
আমাকে হঠাৎ ঘরে প্রবেশ করিয়া হাসিতে দেখিয়া সে তৎক্ষণাৎ |
{{gap}}আমাকে হঠাৎ ঘরে প্রবেশ করিয়া হাসিতে দেখিয়া সে তৎক্ষণাৎ তক্তা ছাড়িয়া দাঁড়াইল, এবং অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে রােষের গর্জন আনিয়া, আমার মুখের উপর সজল বিপুল কৃষ্ণচক্ষের সুতীক্ষ্ণ বিদ্যুৎ বর্ষণ করিয়া কহিল, “আমার দাদামশায় তােমাদের কী করেছেন—কেন তােমরা তাঁকে ঠকাতে এসেছ—কেন এসেছ তােমরা”—অবশেষে আর কোনাে কথা জুটিল না, বাক্রুদ্ধ হইয়া মুখে কাপড় দিয়া কাঁদিয়া উঠিল। |
||
⚫ | কোথায় গেল আমার হাস্যাবেগ! আমি যে কাজটি করিয়াছি তাহার মধ্যে কৌতুক ছাড়া আর যে |
||
⚫ | তাহা ছাড়া আর-একটি বিষয়ে আজ হঠাৎ |
||
⚫ | {{gap}}কোথায় গেল আমার হাস্যাবেগ! আমি যে কাজটি করিয়াছি তাহার মধ্যে কৌতুক ছাড়া আর যে কিছু ছিল এতক্ষণ তাহা আমার মাথায় আসে নাই-হঠাৎ দেখিলাম অত্যন্ত কোমল স্থানে অত্যন্ত কঠিন আঘাত করিয়াছি; হঠাৎ আমার কৃতকার্যের বীভৎস নিষ্ঠুরতা আমার সম্মুখে দেদীপ্যমান হইয়া উঠিল, লজ্জায় এবং অনুতাপে পদাহত কুক্কুরের ন্যায় ঘর হইতে নিঃশব্দে বাহির হইয়া গেলাম। বৃদ্ধ আমার কাছে কী দোষ করিয়াছিল। তাহার নিরীহ অহংকার তাে কখনও কোনাে প্রাণীকে আঘাত করে নাই। আমার অহংকার কেন এমন হিংস্রমূর্তি ধারণ করিল। |
||
⚫ | |||
⚫ | চাকরকে দেখিতে না পাইয়া ইতস্তত করিতেছি, এমন সময় |
||
⚫ | {{gap}}তাহা ছাড়া আর-একটি বিষয়ে আজ হঠাৎ দষ্টি খুলিয়া গেল। এতদিন আমি কুসুমকে কোনাে অবিবাহিত পাত্রের প্রসন্নদৃষ্টিপাতের প্রতীক্ষায় সংরক্ষিত পণ্য-পদার্থের মতাে দেখিতাম- ভাবিতাম, আমি পছন্দ করি নাই বলিয়া ও পড়িয়া আছে, দৈবাৎ যাহার পছন্দ হইবে ও তাহারই হইবে। আজ দেখিলাম, এই গৃহকোণে ঐ বালিকামূর্তির অন্তরালে একটি মানবহৃদয় আছে। তাহার নিজের সুখদুঃখ অনুরাগবিরাগ লইয়া একটি অন্তঃকরণ এক দিকে অজ্ঞেয় অতীত আর-এক দিকে অভাবনীয় ভবিষ্যৎ নামক দুই অনন্ত রহস্যরাজ্যের দিকে পূর্বে পশ্চিমে প্রসারিত হইয়া রহিয়াছে। যে মানুষের মধ্যে হৃদয় আছে সে কি কেবল পণের টাকা এবং নাক-চোখের পরিমাণ মাপিয়া পছন্দ করিয়া লইবার যােগ্য। |
||
⚫ | |||
⚫ | |||
⚫ | {{gap}}চাকরকে দেখিতে না পাইয়া ইতস্তত করিতেছি, এমন সময় অদূরবর্তী ঘরে বৃদ্ধের সহিত বালিকার কথােপকথন শুনিতে পাইলাম। বালিকা সুমিষ্ট সস্নেহ-স্বরে জিজ্ঞাসা করিতেছিল, “দাদামশায়, কাল লাট-সাহেব তােমাকে কী বললেন।” ঠাকুরদা অত্যন্ত হর্ষিতচিত্তে লাট-সাহেবের মুখে প্রাচীন নয়নজোড়বংশের বিস্তর কাল্পনিক গুণানুবাদ বসাইতেছিলেন। বালিকা তাহাই শুনিয়া মহােৎসাহ প্রকাশ করিতেছিল। |
||
⚫ |