পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৩৬২|গল্পগুচ্ছ|right}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{কেন্দ্র|{{larger|ডিটেকটিভ}}}}
చిట ఫి গল্পগুচ্ছ

ডিটেকটিভ
আমি পলিসের ডিটেকটিভ কমচারী। আমার জীবনে দটিমাত্র লক্ষ্য ছিল— আমার সন্ত্রী এবং আমার ব্যবসায়। পবে একান্নবতী পরিবারের মধ্যে ছিলাম, সেখানে আমার পল্লীর প্রতি সমাদরের অভাব হওয়াতেই আমি দাদার সঙ্গে ঝগড়া করিয়া বাহির হইয়া আসি। দাদাই উপাজন করিয়া আমাকে পালন করিতেছিলেন, অতএব সহসা সসীক তাঁহার আশ্রয় ত্যাগ করিয়া আসা আমার পক্ষে দুঃসাহসের কাজ হইয়াছিল।
আমি পুলিসের ডিটেক্‌টিভ কর্মচারী। আমার জীবনে দুটিমাত্র লক্ষ্য ছিল—আমার স্ত্রী এবং আমার ব্যবসায়। পূর্বে একান্নবর্তী পরিবারের মধ্যে ছিলাম, সেখানে আমার স্ত্রীর প্রতি সমাদরের অভাব হওয়াতেই আমি দাদার সঙ্গে ঝগড়া করিয়া বাহির হইয়া আসি। দাদাই উপার্জন করিয়া আমাকে পালন করিতেছিলেন, অতএব সহসা সস্ত্রীক তাঁহার আশ্রয় ত্যাগ করিয়া আসা আমার পক্ষে দুঃসাহসের কাজ হইয়াছিল।

কিন্তু কখনও নিজের উপরে আমার বিশ্বাসের ক্রটি ছিল না। আমি নিশ্চয় জানিতাম, সন্দরী সীকে যেমন বশ করিয়াছি বিমুখ অদষ্টলক্ষীকেও তেমনি বশ করিতে পারিব । মহিমচন্দ্র এ সংসারে পশ্চাতে পড়িয়া থাকিবে না।
{{gap}}কিন্তু কখনও নিজের উপরে আমার বিশ্বাসের ত্রুটি ছিল না। আমি নিশ্চয় জানিতাম, সুন্দরী স্ত্রীকে যেমন বশ করিয়াছি বিমুখ অদৃষ্টলক্ষ্মীকেও তেমনি বশ করিতে পারিব। মহিমচন্দ্র এ সংসারে পশ্চাতে পড়িয়া থাকিবে না।
হইতে অধিক বিলম্ব হইল না।

উজ্জল শিখা হইতেও যেমন কজলপাত হয় তেমনি আমার স্ত্রীর প্রেম হইতেও ঈষা এবং সন্দেহের কালিমা বাহির হইত। সেটাতে আমার কিছর কাজের ব্যাঘাত করিত, কারণ পলিসের কমে স্থানাসথান কালাকাল বিচার করিলে চলে না, বরঞ্চ সথানের অপেক্ষা অস্থান এবং কালের অপেক্ষা অকালটারই চচা অধিক করিয়া করিতে হয়— তাহাতে করিয়া আমার সীর স্বভাবসিন্ধ সন্দেহ আরও যেন দনিবার হইয়া উঠিত। সে আমাকে ভয় দেখাইবার জন্য বলিত, “তুমি এমন যখন-তখন যেখানে-সেখানে যাপন কর, কালেভদ্রে আমার সঙ্গে দেখা হয়, আমার জন্য তোমার আশঙ্কা হয় না ?” আমি তাহাকে বলিতাম, “সন্দেহ করা আমাদের ব্যবসায়, সেই কারণে ঘরের মধ্যে সেটাকে আর আনি না।”
{{gap}}পুলিস-বিভাগে সামান্যভাবে প্রবেশ করিলাম, অবশেষে ডিটেক্‌টিভ-পদে উত্তীর্ণ হইতে অধিক বিলম্ব হইল না।
সী বলিত, “সন্দেহ করা আমার ব্যবসায় নহে, উহা আমার স্বভাব, আমাকে তুমি লেশমাত্র সন্দেহের কারণ দিলে আমি সব করিতে পারি।”

ডিটেকটিভ-লাইনে আমি সকলের সেরা হইব, একটা নাম রাখিব, এ প্রতিজ্ঞা আমার দঢ় ছিল। এ সম্বন্ধে যতকিছ বিবরণ এবং গল্প আছে তাহার কোনোটাই পড়িতে বাকি রাখি নাই। কিন্তু পড়িয়া কেবল মনের অসন্তোষ এবং অধীরতা বাড়িতে লাগিল ।
{{gap}}উজ্জ্বল শিখা হইতেও যেমন কজ্জলপাত হয় তেমনি আমার স্ত্রীর প্রেম হইতেও ঈর্ষা এবং সন্দেহের কালিমা বাহির হইত। সেটাতে আমার কিছু কাজের ব্যাঘাত করিত, কারণ পুলিসের কর্মে স্থানাস্থান কালাকাল বিচার করিলে চলে না, বরঞ্চ স্থানের অপেক্ষা অস্থান এবং কালের অপেক্ষা অকালটারই চর্চা অধিক করিয়া করিতে হয়—তাহাতে করিয়া আমার স্ত্রীর স্বভাবসিদ্ধ সন্দেহ আরও যেন দুর্নিবার হইয়া উঠিত। সে আমাকে ভয় দেখাইবার জন্য বলিত, “তুমি এমন যখন-তখন যেখানে-সেখানে যাপন কর, কালেভদ্রে আমার সঙ্গে দেখা হয়, আমার জন্য তােমার আশঙ্কা হয় না?” আমি তাহাকে বলিতাম, “সন্দেহ করা আমাদের ব্যবসায়, সেই কারণে ঘরের মধ্যে সেটাকে আর আনি না।”
কারণ, আমাদের দেশের অপরাধীগলা ভাঁর এবং নিবোধ, অপরাধগলা নিজীব এবং সরল, তাহার মধ্যে দর্যহতা দগমতা কিছুই নাই। আমাদের দেশের খনী নররক্তপাতের উৎকট উত্তেজনা কোনোমতেই নিজের মধ্যে সবরণ করিতে পারে না। জালিয়াত যে জাল বিস্তার করে তাহাতে অনতিবিলবে নিজেই আপাদমস্তক জড়াইয়া পড়ে, অপরাধবাহ হইতে নিগমনের কটকৌশল সে কিছুই জানে না। এমন নিজীব দেশে ডিটেকটিভের কাজে সখও নাই, গৌরবও নাই।

বড়োবাজারের মাড়োয়ারী জয়াচোরকে অনায়াসে গ্রেফতার করিয়া কতবার মনে মনে বলিয়াছি, ওরে অপরাধীকুলকলক, পরের সবনাশ করা গণেী ওস্তাদলোকের কম"; তোর মতো আনাড়ি নিবোধের সাধতপস্বী হওয়া উচিত ছিল। খনেীকে ধরিয়া তাহার প্রতি সবগত উক্তি করিয়াছি, 'গবমেন্টের সমন্নত ফাঁসিকাঠ কি তোদের মতো
{{gap}}স্ত্রী বলিত, “সন্দেহ করা আমার ব্যবসায় নহে, উহা আমার স্বভাব, আমাকে তুমি লেশমাত্র সন্দেহের কারণ দিলে আমি সব করিতে পারি।”

{{gap}}ডিটেক্‌টিভ-লাইনে আমি সকলের সেরা হইব, একটা নাম রাখিব, এ প্রতিজ্ঞা আমার দৃঢ় ছিল। এ সম্বন্ধে যতকিছু বিবরণ এবং গল্প আছে তাহার কোনটাই পড়িতে বাকি রাখি নাই। কিন্তু পড়িয়া কেবল মনের অসন্তোষ এবং অধীরতা বাড়িতে লাগিল।

{{gap}}কারণ, আমাদের দেশের অপরাধীগুলা ভীরু এবং নির্বোধ, অপরাধগুলা নির্জীব এবং সরল, তাহার মধ্যে দুরূহতা দুর্গমতা কিছুই নাই। আমাদের দেশের খুনী নররক্তপাতের উৎকট উত্তেজনা কোননামতেই নিজের মধ্যে সম্বরণ করিতে পারে না। জালিয়াত যে জাল বিস্তার করে তাহাতে অনতিবিলম্বে নিজেই আপাদমস্তক জড়াইয়া পড়ে, অপরাধব্যূহ হইতে নির্গমনের কূটকৌশল সে কিছুই জানে না। এমন নির্জীব দেশে ডিটেক্‌টিভের কাজে সুখও নাই, গৌরবও নাই।

{{gap}}বড়ােবাজারের মাড়ােয়ারী জুয়াচোরকে অনায়াসে গ্রেফতার করিয়া কতবার মনে মনে বলিয়াছি, ‘ওরে অপরাধীকুলকলঙ্ক, পরের সর্বনাশ করা গুণী ওস্তাদলােকের কর্ম; তাের মতাে আনাড়ি নির্বোধের সাধুতপস্বী হওয়া উচিত ছিল। খুনীকে ধরিয়া তাহার প্রতি স্বগত উক্তি করিয়াছি, ‘গবর্মেন্টের সমুন্নত ফাঁসিকাষ্ঠ কি তােদের মতাে