পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৬৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৩৭৮|গল্পগুচ্ছ|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
মনে অত্যন্ত সংকুচিত হইয়া উঠিলাম কিন্তু মুখ ফটিয়া কিছু বলিবার পূর্বেই কিরণ ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন। আমার মনে হইল, যেন কৈলাসে সনাতন ভােলানাথ তাঁহার কন্যা স্বয়ং লক্ষ্মীকে অতিথির জন্য এক পেয়ালা চা আনিতে বলিলেন; অতিথির পক্ষে সে নিশ্চয়ই অমিশ্র অমৃত হইবে, কিন্তু তবু কাছাকাছি নন্দীভৃঙ্গী কোনাে বেটাই কি হাজির ছিল না!
ኧሦ গল্পগুচ্ছ

মনে অত্যন্ত সংকুচিত হইয়া উঠিলাম কিন্তু মুখ ফুটিয়া কিছু বলিবার পবেই কিরণ ঘর হইতে বাহির হইয়া গেলেন। আমার মনে হইল, যেন কৈলাসে সনাতন ভোলানাথ তাঁহার কন্যা বয়ং লক্ষীকে অতিথির জন্য এক পেয়ালা চা আনিতে বলিলেন ; অতিথির পক্ষে সে নিশ্চয়ই অমিশ্র অমত হইবে, কিন্তু তব, কাছাকাছি मन्मौफूथ्ञौ काट्ना त्यक्लेशे कि शछिद्र श्लि ना !
চতুথ পরিচ্ছেদ
{{কেন্দ্র|চতুর্থ পরিচ্ছেদ}}

ভবনাথবাবর বাড়ি আমি এখন নিত্য অতিথি। পবে চা জিনিসটাকে অত্যন্ত ডরাইতাম, এক্ষণে সকালে বিকালে চা খাইয়া খাইয়া আমার চায়ের নেশা ধরিয়া গেল । আমাদের বি. এ. পরীক্ষার জন্য জমানপণ্ডিত-বিরচিত দর্শনশাস্ত্রের নব্য ইতিহাস আমি সদ্য পাঠ করিয়া আসিয়াছিলাম, তদুপলক্ষে ভবনাথবাবর সহিত কেবল দশনআলোচনার জন্যই আসিতাম কিছুদিন এইপ্রকার ভাণ করিলাম। তিনি হ্যামিলটন প্রভৃতি কতকগুলি সেকাল-প্রচলিত ভ্রান্ত পুথি লইয়া এখনও নিযুক্ত রহিয়াছেন ইহাতে তাঁহাকে আমি কৃপাপার মনে করিতাম, এবং আমার নতন বিদ্যা অত্যন্ত আড়ম্বরের সহিত জাহির করিতে ছাড়িতাম না। ভবনাথবাব এমনি ভালোমানষে, এমনি সকল বিষয়ে সসংকোচ যে, আমার মতো অল্পবয়স্ক যুবকের মুখ হইতেও সকল কথা মানিয়া যাইতেন, তিলমাত্র প্রতিবাদ করিতে হইলে অস্থির হইয়া উঠিতেন, ভয় করিতেন পাছে আমি কিছুতে ক্ষম হই। কিরণ আমাদের এই সকল তত্ত্বালোচনার মাৰখান হইতেই কোনো ছতায় উঠিয়া চলিয়া যাইত। তাহাতে আমার যেমন ক্ষোভ জমিত তেমনি আমি গবও অনুভব করতাম। আমাদের আলোচ্য বিষয়ের দারহ পাণ্ডিত্য কিরণের পক্ষে দুঃসহ ; সে যখন মনে মনে আমার বিদ্যাপবীতের পরিমাপ করিত তখন তাহাকে কত উচ্চেই চাহিতে হইত।
ভবনাথবাবুর বাড়ি আমি এখন নিত্য অতিথি। পূর্বে চা জিনিসটাকে অত্যন্ত ডরাইতাম, এক্ষণে সকালে বিকালে চা খাইয়া খাইয়া আমার চায়ের নেশা ধরিয়া গেল।
কিরণকে যখন দরে হইতে দেখিতাম তখন তাহাকে শকুন্তলা দময়ন্তী প্রভৃতি বিচিত্র নামে এবং বিচিত্র ভাবে জানিতাম, এখন স্বরের মধ্যে তাহাকে কিরণ’ বলিয়া জানিলাম। এখন আর সে জগতের বিচিত্র নায়িকার ছায়ারপিণী নহে, এখন সে একমাত্র কিরণ। এখন সে শতশতাঙ্গীর কাব্যলোক হইতে অবতীণ হইয়া অনন্তকালের যবেকাঁচত্তের বপনক্ষগ পরিহার করিয়া একটি নিদিষ্ট বাঙালিম্বরের মধ্যে কুমারীকন্যায়পে বিরাজ করিতেছে। সে আমারই মাতৃভাষায় আমার সঙ্গে অত্যন্ত সাধারণ ঘরের কথা বলিয়া থাকে, সামান্য কথায় সরলভাবে হাসিয়া উঠে, সে আমাদেরই ঘরের মেয়ের মতো দই হাতে দটি সোনার বালা পরিয়া থাকে, গলার হারটি বেশি কিছ: নয় কিন্তু বড়ো সমিষ্ট—শাড়ির প্রান্তটি কখনও কৰরীর উপরিভাগ বাকিয়া বেষ্টন করিয়া আসে কখনও বা পিতৃগহের অনভ্যাসবশত চু্যত হইয়া পড়িয়া যায়, ইহা আমার কাছে বড়ো আনন্দের। সে যে অকাল্পনিক, সে যে সত্য, সে যে কিরণ, সে যে তাহা ব্যতীত নহে এবং তাহার অধিক নহে, এবং বীচ্চ সে আমার নহে তবুও সে ষে আমাদের, সেজন্য আমার অন্তঃকরণ সর্বদাই তাহার প্রতি উচ্ছসিত কৃতজ্ঞতারসে অভিষিক্ত হইতে থাকে। * ,

४कनिन छानभायझग्नई जारशकिकठा लऍग्ना छदमाथबादद्र निक अप्ठान्ङ छैरनाझ्
{{gap}}আমাদের বি. এ. পরীক্ষার জন্য জর্মানপণ্ডিত-বিরচিত দর্শনশাস্ত্রের নব্য ইতিহাস আমি সদ্য পাঠ করিয়া আসিয়াছিলাম, তদুপলক্ষে ভবনাথবাবুর সহিত কেবল দর্শন-আলােচনার জন্যই আসিতাম কিছুদিন এইপ্রকার ভাণ করিলাম। তিনি হ্যামিল্‌টন প্রভৃতি কতকগুলি সেকাল-প্রচলিত ভ্রান্ত পুঁথি লইয়া এখনও নিযুক্ত রহিয়াছেন ইহাতে তাঁহাকে আমি কৃপাপাত্র মনে করিতাম, এবং আমার নূতন বিদ্যা অত্যন্ত আড়ম্বরের সহিত জাহির করিতে ছাড়িতাম না। ভবনাথবাবু এমনি ভালােমানুষ, এমনি সকল বিষয়ে সসংকোচ যে, আমার মতাে অল্পবয়স্ক যুবকের মুখ হইতেও সকল কথা মানিয়া যাইতেন, তিলমাত্র প্রতিবাদ করিতে হইলে অস্থির হইয়া উঠিতেন, ভয় করিতেন পাছে আমি কিছুতে ক্ষুণ্ন হই। কিরণ আমাদের এই-সকল তত্ত্বালােচনার মাঝখান হইতেই কোনাে ছুতায় উঠিয়া চলিয়া যাইত। তাহাতে আমার যেমন ক্ষোভ জন্মিত তেমনি আমি গর্ব অনুভব করিতাম। আমাদের আলােচ্য বিষয়ের দুরূহ পাণ্ডিত্য কিরণের পক্ষে দুঃসহ; সে যখন মনে মনে আমার বিদ্যাপর্বতের পরিমাপ করিত তখন তাহাকে কত উচ্চেই চাহিতে হইত।

{{gap}}কিরণকে যখন দূর হইতে দেখিতাম তখন তাহাকে শকুন্তলা দময়ন্তী প্রভৃতি বিচিত্র নামে এবং বিচিত্র ভাবে জানিতাম, এখন ঘরের মধ্যে তাহাকে ‘কিরণ’ বলিয়া জানিলাম। এখন আর সে জগতের বিচিত্র নায়িকার ছায়ারূপিণী নহে, এখন সে একমাত্র কিরণ। এখন সে শতশতাব্দীর কাব্যলােক হইতে অবতীর্ণ হইয়া অনন্তকালের যুবকচিত্তের স্বপ্নস্বর্গ পরিহার করিয়া একটি নির্দিষ্ট বাঙালিঘরের মধ্যে কুমারী-কন্যারূপে বিরাজ করিতেছে। সে আমারই মাতৃভাষায় আমার সঙ্গে অত্যন্ত সাধারণ ঘরের কথা বলিয়া থাকে, সামান্য কথায় সরলভাবে হাসিয়া উঠে, সে আমাদেরই ঘরের মেয়ের মতাে দুই হাতে দুটি সােনার বালা পরিয়া থাকে, গলার হারটি বেশি কিছু নয় কিন্তু বড়ো সুমিষ্ট-শাড়ির প্রান্তটি কখনও কবরীর উপরিভাগ বাঁকিয়া বেষ্টন করিয়া আসে কখনও বা পিতৃগৃহের অনভ্যাসবশত চ্যুত হইয়া পড়িয়া যায়, ইহা আমার কাছে বড়ো আনন্দের। সে যে অকাল্পনিক, সে যে সত্য, সে যে কিরণ, সে যে তাহা ব্যতীত নহে এবং তাহার অধিক নহে, এবং যদিচ সে আমার নহে তবুও সে যে আমাদের, সেজন্য আমার অন্তঃকরণ সর্বদাই তাহার প্রতি উচ্ছ্বসিত কৃতজ্ঞতারসে অভিষিক্ত হইতে থাকে।
{{gap}}একদিন জ্ঞানমাত্রেরই আপেক্ষিকতা লইয়া ভবনাথবাবুর নিকট অত্যন্ত উৎসাহ-