পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/২৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

+
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
{{Right|তারাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য।}}
{{Right|তারাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য।}}


<section begin="অক্ষয়কুমার দত্ত" />'''অক্ষয়কুমার দত্ত''' (১৮২০-১৮৮৬ খ্ৰী) উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে নিরবচ্ছিন্ন বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদের অনুপ্রেরণায় যে সকল মনীষী বাংলা গদ্যসাহিত্য ও ব্রাহ্ম আন্দোলনের ইতিহাসে স্বীয় প্রতিভার বিশিষ্ট স্বাক্ষর রাখিয়া যাইতে সমর্থ হইয়াছেন, অক্ষয়কুমার দত্ত নিঃসন্দেহে তাহাদের মধ্যে প্রধান। তাঁহার জন্মস্থান নবদ্বীপের নিকটবর্তী চুপী গ্রাম। উনবিংশ বর্ষ বয়ঃক্রম কালে পিতৃবিয়ােগের ফলে প্রতিকূল সাংসারিক অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় অক্ষয়কুমার বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়া বিষয়কর্মের চেষ্টা করিতে বাধ্য হন। কিন্তু পরবর্তী জীবনে তাহার শিক্ষাভিলাষ ও জ্ঞানস্পৃহা | কখনও হ্রাস পায় নাই। ন্যূনাধিক চতুর্দশ বৎসর বয়সে তিনি ‘অনঙ্গমােহন’ নামে একখানি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। যৌবনের প্রারম্ভে সংবাদ-প্রভাকর’-সম্পাদক কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সহিত তাহার পরিচয় ঘটে। গুপ্তকবির অনুরােধে ‘সংবাদ-প্রভাকর'-এর জন্য তিনি 'ইংলিশম্যান’ নামক ইংরেজী পত্রিকা হইতে কিছু কিছু অনুবাদ করিতে | আরম্ভ করেন। এই সূত্রে তাঁহার গদ্যরচনার সূচনা হয়
<section begin="অক্ষয়কুমার দত্ত" />'''অক্ষয়কুমার দত্ত''' (১৮২০-১৮৮৬ খ্ৰী) উনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে নিরবচ্ছিন্ন বৈজ্ঞানিক যুক্তিবাদের অনুপ্রেরণায় যে সকল মনীষী বাংলা গদ্যসাহিত্য ও ব্রাহ্ম আন্দোলনের ইতিহাসে স্বীয় প্রতিভার বিশিষ্ট স্বাক্ষর রাখিয়া যাইতে সমর্থ হইয়াছেন, অক্ষয়কুমার দত্ত নিঃসন্দেহে তাহাদের মধ্যে প্রধান। তাঁহার জন্মস্থান নবদ্বীপের নিকটবর্তী চুপী গ্রাম। উনবিংশ বর্ষ বয়ঃক্রম কালে পিতৃবিয়ােগের ফলে প্রতিকূল সাংসারিক অবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় অক্ষয়কুমার বিদ্যালয় পরিত্যাগ করিয়া বিষয়কর্মের চেষ্টা করিতে বাধ্য হন। কিন্তু পরবর্তী জীবনে তাহার শিক্ষাভিলাষ ও জ্ঞানস্পৃহা কখনও হ্রাস পায় নাই। ন্যূনাধিক চতুর্দশ বৎসর বয়সে তিনি ‘অনঙ্গমােহন’ নামে একখানি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন। যৌবনের প্রারম্ভে সংবাদ-প্রভাকর’-সম্পাদক কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের সহিত তাহার পরিচয় ঘটে। গুপ্তকবির অনুরােধে ‘সংবাদ-প্রভাকর'-এর জন্য তিনি 'ইংলিশম্যান’ নামক ইংরেজী পত্রিকা হইতে কিছু কিছু অনুবাদ করিতে আরম্ভ করেন। এই সূত্রে তাঁহার গদ্যরচনার সূচনা হয়
এবং অচিরেই তিনি সংবাদ-প্রভাকর’-এর একজন বিশিষ্ট লেখকরূপে খ্যাতি লাভ করেন। ১৮৩৯ খ্রীষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রস্তাবে তিনি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ববােধিনী সভার সভ্য মনােনীত হন এবং কিছুকাল ইহার সহকারী সম্পাদকের কার্য করেন। ১৮৪০ খ্রী ১৩ জুন কলিকাতায় দেবেন্দ্রনাথ কর্তৃক তত্ত্ববােধিনী-পাঠশালা স্থাপিত হইলে অক্ষয়কুমার ইহার শিক্ষক নিযুক্ত হন; এবং তত্ত্ববােধিনী সভা হইতে তাহার প্রণীত | বালপাঠ্য একটি বাংলা ‘ভূগােল’ প্রকাশিত হয় ( ১৮৪১ খ্রী)। ১৮৪৩ খ্রী ৩০ এপ্রিল পাঠশালাটি হুগলী জেলার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়াতে স্থানান্তরিত হইলে তাহার পক্ষে কলিকাতা ত্যাগ করিয়া তথায় যাওয়া সম্ভব হয় নাই। পাঠশালায় শিক্ষকতাকালে ১৮ ৪ ২ খ্ৰীষ্টাব্দের জুন মাসে প্রসন্নকুমার ঘােষের সহযােগিতায় তিনি বিদ্যাদর্শন’ নামে এক মাসিক পত্র প্রকাশ করেন। মাত্র ছয়টি সংখ্যা প্রকাশিত হইবার পর উহা বন্ধ হইয়া যায়। কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের ও তত্ত্ববােধিনী সভার মুখপত্র ‘তত্ত্ববােধিনী
এবং অচিরেই তিনি সংবাদ-প্রভাকর’-এর একজন বিশিষ্ট লেখকরূপে খ্যাতি লাভ করেন। ১৮৩৯ খ্রীষ্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের প্রস্তাবে তিনি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ববােধিনী সভার সভ্য মনােনীত হন এবং কিছুকাল ইহার সহকারী সম্পাদকের কার্য করেন। ১৮৪০ খ্রী ১৩ জুন কলিকাতায় দেবেন্দ্রনাথ কর্তৃক তত্ত্ববােধিনী-পাঠশালা স্থাপিত হইলে অক্ষয়কুমার ইহার শিক্ষক নিযুক্ত হন; এবং তত্ত্ববােধিনী সভা হইতে তাহার প্রণীত বালপাঠ্য একটি বাংলা ‘ভূগােল’ প্রকাশিত হয় ( ১৮৪১ খ্রী)। ১৮৪৩ খ্রী ৩০ এপ্রিল পাঠশালাটি হুগলী জেলার অন্তর্গত বাঁশবেড়িয়াতে স্থানান্তরিত হইলে তাহার পক্ষে কলিকাতা ত্যাগ করিয়া তথায় যাওয়া সম্ভব হয় নাই। পাঠশালায় শিক্ষকতাকালে ১৮ ৪ ২ খ্ৰীষ্টাব্দের জুন মাসে প্রসন্নকুমার ঘােষের সহযােগিতায় তিনি বিদ্যাদর্শন’ নামে এক মাসিক পত্র প্রকাশ করেন। মাত্র ছয়টি সংখ্যা প্রকাশিত হইবার পর উহা বন্ধ হইয়া যায়। কলিকাতা ব্রাহ্মসমাজের ও তত্ত্ববােধিনী সভার মুখপত্র ‘তত্ত্ববােধিনী পত্রিকার সম্পাদক নির্বাচনের জন্য দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক গৃহীত এক প্রতিযােগিতা-পরীক্ষায় তাহার একটি প্রবন্ধ সর্বোৎকৃষ্ট বিবেচিত হওয়াতে তিনি মাসিক ৩০, বেতনে উক্ত পত্রিকার সম্পাদকপদে নিযুক্ত হন। ১৮৪৩ খ্র ১৬ আগস্ট তাঁহার সম্পাদকতায় ‘তত্ত্ববােধিনী পত্রিকার প্রথম সংখ্যা আত্মপ্রকাশ করে। ১৮৪৩ হইতে ১৮৫৫ খ্রী পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত যােগ্যতার সহিত এই পত্রিকার<section end="অক্ষয়কুমার দত্ত" />
পত্রিকার সম্পাদক নির্বাচনের জন্য দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর | কর্তৃক গৃহীত এক প্রতিযােগিতা-পরীক্ষায় তাহার একটি | প্রবন্ধ সর্বোৎকৃষ্ট বিবেচিত হওয়াতে তিনি মাসিক ৩০, বেতনে উক্ত পত্রিকার সম্পাদকপদে নিযুক্ত হন। ১৮৪৩ খ্র ১৬ আগস্ট তাঁহার সম্পাদকতায় ‘তত্ত্ববােধিনী পত্রিকার | প্রথম সংখ্যা আত্মপ্রকাশ করে। ১৮৪৩ হইতে ১৮৫৫ খ্রী
পর্যন্ত তিনি অত্যন্ত যােগ্যতার সহিত এই পত্রিকার<section end="অক্ষয়কুমার দত্ত" />