পাতা:ভারতকোষ - প্রথম খণ্ড.pdf/৭২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(কোনও পার্থক্য নেই)

১৮:০৯, ২ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
অধিবাস

ফ্যাকালটি অফ আর্টস্-এর সভ্য ছিলেন। বঙ্গীয় এশিয়াটিক। সােসাইটিরও তিনি সভ্য ছিলেন। অধরলাল রামকৃষ্ণ পরমহংসের ঘনিষ্ঠ সাহচর্য লাভ করিয়াছিলেন এবং তাঁহার অত্যন্ত স্নেহভাজন ছিলেন। দ্র সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা ৮৭, কলিকাতা, ১৯৫২ খ্ৰী; শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ কথামৃত।

অধিবাস চন্দন তৈল হরিদ্রা প্রভৃতির দ্বারা আনুষ্ঠানিক অঙ্গসংস্কার। বিবাহাদি সংস্কারকর্মে এবং দুর্গাপূজা দোলযাত্রা প্রভৃতি দেবকার্যে ইহার অনুষ্ঠান হয়। দেবপূজায় পূজার পূর্বদিন সন্ধ্যায় এবং বিবাহাদি ব্যাপারে কার্যের দিন সকালে অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রপূত চন্দনাদি দ্রব্য প্রথমে শাল গ্রাম ও ভূমি স্পর্শ করাইয়া এবং যাহার অধিবাস তাহার কপালে ঠেকাইয়া বিভিন্ন অঙ্গ মার্জনা ( কার্যতঃ স্পর্শমাত্র) করা হয়। অঙ্গের ক্রম এইরূপহৃদয় মস্তক শিখা নেত্রদ্বয় কবচদ্বয় নাভি হস্তাঙ্গুলি ও। পদাঙ্গুলি। অধিবাসের দ্রব্য চন্দন তৈলহরিদ্রা মৃত্তিকা। শিলা ধান্য দূর্বা পুষ্প ফল দধি ঘৃত আতপতঙুল সিন্দুর কজ্জল গােযােচনা ( অভাবে হরিদ্রা) শ্বেতসর্ষপ কাঞ্চন রৌপ্য তাম্র চামর দর্পণ দীপ বরণডাল॥ বিবাহে কন্যার অধিবাসে বরের অধিবাসের অবশিষ্ট চন্দন তৈল হরিদ্রা। কজ্জল ও সিন্দুর ব্যবহৃত হয়।

চিন্তাহরণ চক্রবর্তী
অধীনতামূলক মিত্রতা ( subsidiary alliance) লর্ড ওয়েলেসলি -প্রবর্তিত নীতিবিশেষ। ১৭৯৮ খ্রীষ্টাব্দে গভর্নর-জেনারেল হইয়া আসিয়া ওয়েলেসলি এ দেশে বৃটিশ প্রভুত্ব বিস্তারের উদ্দেশ্যে স্যর জন শাের -এর নিরপেক্ষ নীতির পরিবর্তে এই নৃতন নীতি প্রবর্তন করেন। তিনি ঘােষণা করেন যে সকল দেশীয় রাজা ইংরেজের সহিত অধীনতামূলক মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হইবেন ব্রিটিশ সরকার আভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ ও বৈদেশিক আক্রমণ হইতে তাহাদের রক্ষার দায়িত্ব গ্রহণ করিবে। উহার জন্য যে সেনাবাহিনী পােষণ করিতে হইবে তাহার ব্যয়নির্বাহের জন্য বৃহৎ রাজ্যগুলিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজ্যাংশ এবং ক্ষুদ্র রাজ্যগুলিকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কর দিতে হইবে। বৃহৎ রাজ্যগুলি আভ্যন্তরীণ শান্তিরক্ষার জন্য দেশীয় সৈন্যবাহিনী রাখিতে পারিবে। এই সকল মিত্র রাজা ব্রিটিশ সরকারের বিনা অনুমতিতে অপর কোনও রাষ্ট্রের সহিত সন্ধিবিগ্রহ বা কূটনৈতিক আলাপ-আলােচনা চালাইতে পারিবেন না। হায়দরাবাদের নিজামই সর্ব
অনধ্যায়

প্রথম এই মিত্ৰতা স্বীকার করেন। মহীশূর এবং মারাঠা শক্তিকে এই মিত্ৰতায় আবদ্ধ করিতে ওয়েলেসলিকে যুদ্ধ পর্যন্ত করিতে হইয়াছিল। স্যর টমাস মরো প্রমুখ অনেকে এই নীতির অত্যন্ত বিরােধী ছিলেন। তাঁহাদের মতে ইহার দ্বারা অযােগ্য রাজা ও রাজবংশকে চিরস্থায়ী করার ব্যবস্থা হইয়াছিল।

বিজনকান্তি বিশ্বাস

অধ্যাত্ম রামায়ণ ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণের অন্তর্গত বলিয়া কথিত শিব-পার্বতীর কথােপকথন আকারে বিরচিত সপ্তকাণ্ডাত্মক রামায়ণ। রামকাহিনী-বৰ্ণন প্রসঙ্গে ইহাতে মুক্তির সাধনরূপে রামভক্তির মাহাত্ম্য বিবৃত হইয়াছে। গ্রন্থের ‘রামহৃদয়’ ও ‘রামগীতা অংশ দুইটি রামভক্তগণের মধ্যে বিশেষ প্রসিদ্ধ। গ্রন্থখানি চতুর্দশ-পঞ্চদশ শতাব্দীর রচনা বলিয়া অনুমিত হয়।

তারাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য

অনগ্রসর শিশু বুদ্ধি দ্র

তানঙ্গপাল ছত্রিশটি প্রধান রাজপুত বংশের অন্যতম তােমর বা ভূয়ার বংশীয় নৃপতি। চারণগীতিতে তাহাকে বর্তমান দিল্লী নগরীর প্রতিষ্ঠাতারূপে বর্ণনা করা হইয়াছে। ‘পৃথ্বীরাজ রাসাে’ নামক বিখ্যাত গ্রন্থে লিখিত আছে যে অনঙ্গপাল তাঁহার দৌহিত্র পৃথ্বীরাজকে দিল্লীর সিংহাসনে তাঁহার উত্তরাধিকারী নির্বাচিত করেন। অবশ্য ইহার সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহের অবকাশ আছে।

সৌরীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য

অনঙ্গব সিদ্ধাচার্য দ্র

অন্যায় আনুষ্ঠানিক অধ্যয়ন বর্জন বা ছুটি। নানা উপলক্ষে শাস্ত্রে অধ্যয়ন বর্জনের বিধান আছে। পঞ্জিকায় অনেকগুলি অনধ্যায়ের উল্লেখ আছে। এখন পর্যন্ত টোলে শাস্ত্রের নির্দেশমত কতকগুলি অধ্যায় মানিয়া চলা হয়। মূলতঃ বেদাধ্যয়ন সম্পর্কে অনধ্যায়ের সূচনা হইলেও অন্যান্য শাস্ত্র সম্পর্কেও ইহার কিছু কিছু প্রচলন দেখা যায়। সাধারণতঃ প্রতিপদ অষ্টমী চতুর্দশী পূর্ণিমা ও অমাবস্যায় অধ্যয়ন নিষিদ্ধ। এয়ােদশীর দিন রাত্রিতে ব্যাকরণ অধ্যয়ন বর্জনীয়। কোনওরূপ চিত্তবিক্ষেপের কারণ ঘটিলেই অধ্যয়নত্যাগের নির্দেশ ছিল। ঝড়-বৃষ্টি মেঘগর্জন বজ্রপাত উল্কাপাত ভূমিকম্প চন্দ্রগ্রহণ সূর্যগ্ৰহণ ধূলিবর্ষণ অগ্নিকাণ্ড আশেপাশে যুদ্ধারম্ভ যুদ্ধাস্ত্রের শব্দ শ্রবণ প্রভৃতি ব্যাপারে এক বা একাধিক দিন অধ্যায়ের ব্যবস্থা ছিল। কান্নার
৪৭