পাতা:পলাতকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৯২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
শেষ গান |
{{c|<big>শেষ গান</big>}} |
||
{{block center/s}}<poem> |
|||
যারা আমার সাঝ-সকালের গানের দীপে জ্বালিয়ে দিলে অালে৷ আপন হিয়ার পরশ দিয়ে, এই জীবনের সকল শাদা কালে। যাদের আলোক-ছায়ার লীলা, মনের মানুষ বাইরে বেড়ায় যারা, তাদের প্রাণের ঝর্না-স্রোতে আমার পরান হয়ে হাজার-ধার। চলছে বয়ে চতুর্দিকে। নয় তো কেবল কালের যোগে আয়ু, নয় সে কেবল দিন-রজনীর সাতনলী হার, নয় সে নিশাস-বায়ু । নানান প্রাণের প্রীতির মিলন নিবিড় হয়ে স্বজন-বন্ধুজনে পরমায়ুর পাত্ৰখানি জীবন-সুধায় ভবছে ক্ষণে ক্ষণে । একের বাচন সবার বাচার বহ্যাবেগে আপন সীমা হারায় বহু দূরে ; নিমেষগুলির ফলের গুচ্ছ ভরে রসের ধারায় । অতীত হয়ে তবুও তারা বর্তমানের বুন্তদোলায় দোলে – গর্ভবাধন কাটিয়ে শিশু তবু যেমন মায়ের বক্ষে কোলে বন্দী থাকে নিবিড় প্রেমের গ্রন্থি দিয়ে। তাই তো যখন শেষে একে একে আপন জনে সূর্য-আলোর অন্তরালের দেশে আখির নাগাল এড়িয়ে পালায়, তখন রিক্ত শুষ্ক জীবন মম শীর্ণ রেখায় মিলিয়ে আসে বর্ষাশেষের নিঝরিণী-সম শূন্ত বালুর একটি প্রান্তে ক্লান্ত সলিল স্রস্ত অবহেলায়। তাই যারা আজ রইল পাশে এই জীবনের সূর্য-ডোবার বেলায় |
|||
যারা আমার সাঁঝ-সকালের গানের দীপে জ্বালিয়ে দিলে আলো |
|||
~ X |
|||
আপন হিয়ার পরশ দিয়ে, এই জীবনের সকল শাদা কালো |
|||
যাদের আলোক-ছায়ার লীলা, মনের মানুষ বাইরে বেড়ায় যারা, |
|||
তাদের প্রাণের ঝর্না-স্রোতে আমার পরান হয়ে হাজার-ধারা |
|||
চলছে বয়ে চতুর্দিকে। নয় তো কেবল কালের যোগে আয়ু, |
|||
নয় সে কেবল দিন-রজনীর সাতনলী হার, নয় সে নিশাস-বায়ু। |
|||
নানান প্রাণের প্রীতির মিলন নিবিড় হয়ে স্বজন-বন্ধুজনে |
|||
পরমায়ুর পাত্রখানি জীবন-সুধায় ভবছে ক্ষণে ক্ষণে। |
|||
একের বাঁচন সবার বাঁচার বন্যাবেগে আপন সীমা হারায় |
|||
বহু দূরে; নিমেষগুলির ফলের গুচ্ছ ভরে রসের ধারায়। |
|||
অতীত হয়ে তবুও তারা বর্তমানের বৃন্তদোলায় দোলে— |
|||
গর্ভবাঁধন কাটিয়ে শিশু তবু যেমন মায়ের বক্ষে কোলে |
|||
বন্দী থাকে নিবিড় প্রেমের গ্রন্থি দিয়ে। তাই তো যখন শেষে |
|||
একে একে আপন জনে সূর্য-আলোর অন্তরালের দেশে |
|||
আঁখির নাগাল এড়িয়ে পালায়, তখন রিক্ত শুষ্ক জীবন মম |
|||
শীর্ণ রেখায় মিলিয়ে আসে বর্ষাশেষের নির্ঝরিণী-সম |
|||
শূন্য বালুর একটি প্রান্তে ক্লান্ত সলিল স্রস্ত অবহেলায়। |
|||
তাই যারা আজ রইল পাশে এই জীবনের সূর্য-ডোবার বেলায় |
|||
</poem> |
|||
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{block center/e}} |
|||
{{rh||৯১|}} |