পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৯৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বট গুগল ওসিআর থেকে প্রাপ্ত লেখা যোগ করছে |
Jayantanth (আলোচনা | অবদান) |
||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{x-larger|{{C|বাল্যরচনা}}}} |
|||
Clt stort |
|||
⚫ | [এই কবিতাগুলি লেখকের পঞ্চদশ বৎসর বয়সে লিখিত। লিখিত হওয়ার তিন বৎসর পরে মুদ্রিত ও প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হইয়া বিক্রেতার আলমারীতেই পচে-বিক্রয় হয় নাই। তাহার পর আর এ সকল পুনর্মুদ্রিত করিবার যোগ্য বিবেচনা করি নাই, এখনও আমার এমন বিবেচনা হয় না যে, ইহা পুনর্মুদ্রিত করা বিধেয়। বাল্যকালে কিরূপ লিখিয়াছিলাম, তাহা দেখাইয়া বাহাদুরী করিবার ভরসা কিছুমাত্র নাই; কেন না, অনেকেই অল্প বয়সে এরূপ কবিতা লিখিতে পারে। যাহা অপাঠ্য, তাহা বালক প্রণীত হউক, বা বৃদ্ধপ্রণীত হউক, তুল্যরূপে পরিহার্য্য। অতএব কিছু পরিবর্ত্তন না করিয়া “ললিতা” নামক কাব্যখানি পুনর্মুদ্রিত করিতে পারিলাম না। “মানস” নামক কাব্যখানিতে পরিবর্ত্তন বড় সহজ নহে, এ জন্য সে চেষ্টা করিলাম না। তথাপি সামান্যরূপ পরিবর্ত্তন করা গিয়াছে।] |
||
[এই কবিতাগলি লেখকের পঞ্চদশ বৎসর বয়সে লিখিত। লিখিত হওয়ার তিন বৎসর পরে মন্দিত ও |
|||
⚫ | প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত হইয়া বিক্রেতার আলমারীতেই পচে-বিক্রয় হয় নাই। তাহার পর আর এ সকল |
||
व्यक्निडा |
|||
{{xxxx-larger|{{C|বাল্যরচনা}}}} |
|||
ভৌতিক গলাপ |
|||
'O Lovel in such a wilderness as this. Where transport with security entwine. Here is the Empire of thy perfect bliss. And here art thou a God indeed divine.' |
|||
{{C|{{xxxx-larger|ভৌতিক গল্প |
|||
Gertrude of Wyoming. 'But mortal pleasure, what art thou in truth The torrents' smoothness ere it dash below.' |
|||
}} |
|||
প্রথম সাগ |
|||
}} |
|||
মহারণ্যে অন্ধকার, গভীর নিশায় নিৰ্ম্মমল আকাশ নীলে, শশী ভেসে যায়৷ কাননের পাতা ছাদ, নাচে শশিকরে। পবন দোলায় তারে সমাধব সবরে ৷ নীচে তার অন্ধকারে, আছে ক্ষদ্র নদী। অন্ধকার মহাস্তব্ধ, বহে নিরবধি ৷ ভীম তাঁর শাখা যথা পড়িয়াছে জলে, কল কল করি বারি সরবে। উছলে ৷ অাঁধারে অস্পষ্ট দেখি, যেন বা সর্বপন! কলিকাস্তবকময় ক্ষদ্র তরীগণ ৷ শাখার বিচ্ছেদে, কীভূ, শশধরকর, স্থানে স্থানে পড়িয়াছে, নীল জলোেপর ॥ ঘোর স্তন্ধ নদীতটো : শােধ ক্ষণে ক্ষণে, কোন কীট যায় আসে নাড়া দিয়ে বনে ৷ শধ অন্ধকার মাঝে, অলক্ষ্য শরীর। কোন হিংস্র পাশ ছাড়ে নিশ্বাস গভীব ৷ অসংখ্য পত্রের শােধ, ভীষণ মন্মরি। আর শােধ শনি এক, সঙ্গীতের সম্বর৷ গভীর সঙ্গীত সেই! ভাসে নদী দিয়ে। खाशिल भद्धौव्र ढक श्वद्ध शिक्षत्र |
|||
Ibid. |
|||
{{Block center|<poem>“O Love! In such a wilderness as this. |
|||
কখন কোমল স্থির কারণার সম্বরে, যেন কোন বিরাহিণী কোদে কোঁদে মরে৷ শনিয়ে তা মনে হয়, ঈষৎ আভাস, যেন কত সখস্বপ্ন, হয়েছে বিনাশ; কি কারণে দঃখোদয় কিসের সমরণে, किछ.ये यदि ना उद, छेफ़ान भत्न ॥ ফলিয়া উঠেছে ধবনি, স্থির শান্য কেটে। ইচ্ছা কবে গগনেতে উঠে যাই ফেটে ৷ ছেডে হৃদয়ের ডোর গভীর যাতনে। ইচ্ছা করে গলি গিয়ে মিশি গান সনে ৷ আবে যদি সঙ্গীতের দেহ দেখা পাই! যতনেতে আলিঙ্গিয়া, মোহে মরে যাই ॥ |
|||
Where transport with security entwine. |
|||
নদীতীরে ব্যক্ষ নাহি ছিল এক স্থানে। দীর্ঘ তৃণে চন্দ্রকর জীবলিছে সেখানে৷ ছোট গাছে তারামত ফািল্ল পক্ষপদলে। স্থির তার প্রতিরপ স্থির নদীজলে ৷ সখীস্বপ্নে যেন তারা, নিদ্রাভরে হাসে। গগন গমরে মরে, সখিময় বাসে৷ সেই স্থানে বসি এক নারী একাকিনী। ফলহীন বনে যেন স্থল কমলিনী ॥ |
|||
Here is the Empire of thy perfect bliss. |
|||
And there art thou a God indeed divine.” |
|||
Gertrude of Wyoming. |
|||
“But mortal pleasure, what art thou in truth! |
|||
The torrents’ smoothness ere it dash below.” |
|||
Ibid.</poem>}} |
|||
{{Block center|<poem>প্রথম সর্গ |
|||
মহারণ্যে অন্ধকার, গভীর নেশায় |
|||
নির্ম্মল আকাশ নীলে, শশী ভেসে যায় || |
|||
কাননের পাতা ছাদ, নীচে শশিকরে। |
|||
পবন দোলায় তারে সুমধুর স্বরে || |
|||
নীচে তার অন্ধকারে, আছে ক্ষুদ্র নদী। |
|||
অন্ধকার মহাস্তব্ধ, বহে নিরবধি || |
|||
ভীম তরুশাখা যথা পড়িয়াছে জলে, |
|||
কল কল করি বারি সুরবে উছলে || |
|||
আঁধারে অস্পষ্ট দেখি, যেন বা স্বপন! |
|||
কলিকাস্তবকময় ক্ষুদ্র তরুগণ || |
|||
শাখার বিচ্ছেদে, কভু, শশধরকর, |
|||
স্থানে স্থানে পড়িয়াছে, নীল জলোপর || |
|||
ঘোর স্তব্ধ নদীতটেঃ শুধু ক্ষণে ক্ষণে, |
|||
কোন কীট যায় আসে নাড়া দিয়ে বনে || |
|||
শুধু অন্ধকার মাঝে, অলক্ষ্য শরীর! |
|||
কোন হিংস্র পশু ছাড়ে, নিশ্বাস গভীর || |
|||
অসংখ্য পত্রের শুধু, ভীষণ মর্ম্মর। |
|||
আর শুধু শুনি এক, সঙ্গীতের স্বর || |
|||
গভীর সঙ্গীত সেই! ভাসে নদী দিয়ে। |
|||
ভাঙ্গিল গভীর স্তব্ধ স্বরে শিহরিয়ে- |
|||
কখন কোমল স্থির করুণার স্বরে, |
|||
যেন কোন বিরহিণী কেঁদে কেঁদে মরে || |
|||
শুনিয়ে তা মনে হয়, ঈষৎ আভাস, |
|||
যেন কত সুখস্বপ্ন, হয়েছে বিনাশ; |
|||
কি কারণে দুঃখোদয় কিসের স্মরণে, |
|||
কিছুই বুঝি না তবু, উচাটন মনে || |
|||
ফুলিয়া উঠেছে ধ্বনি, স্থির শূন্য কেটে। |
|||
ইচ্ছা করে গগনেতে উঠে যাই ফেটে || |
|||
ছেঁড়ে হৃদয়ের ডোর গভীর যাতনে। |
|||
ইচ্ছা করে গলি গিয়ে মিশি গান সনে || |
|||
আর যদি সঙ্গীতের দেহ দেখা পাই! |
|||
যতনেতে আলিঙ্গিয়া, মোহে মরে যাই || |
|||
নদীতীরে বৃক্ষ নাহি ছিল এক স্থানে। |
|||
দীর্ঘ তৃণে চন্দ্রকর জ্বলিছে সেখানে || |
|||
ছোট গাছে তারামত ফুল্ল পুষ্পদলে। |
|||
স্থির তার প্রতিরূপ স্থির নদীজলে || |
|||
সুখস্বপ্নে যেন তারা, নিদ্রাভরে হাসে। |
|||
গগন গুমুরে মরে, সুখময় বাসে || |
|||
সেই স্থানে বসি এক নারী একাকিনী। |
|||
ফুলহীন বনে যেন স্থলকমলিনী ||</poem>}} |