পাতা:বঙ্কিম রচনাবলী (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০০০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

SumitaBot (আলোচনা | অবদান)
বট গুগল ওসিআর থেকে প্রাপ্ত লেখা যোগ করছে
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
বঙ্কিম রচনাবলী
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Block center|<poem>মিশেছে সে চন্দ্রিকায়; ভাবে তার চিত্ত
বঙ্কিম রচনাবলী
শুধু সে স্বপ্নের ছায়া, অসত্য অনিতা ||
भिटुथCछ ८न bन्त्रिकाश; ख्ाद एलान्न छिख শাধ সে সবপ্নের ছায়া, অসত্য অনিত্য ৷ যৌবন আশার সম ফাল্ল রােপ তার। দেখিযা ফিরালে অখি, দেখি ফিয়ে বার৷ স্থিরা ধীরা সংকোমলা বিমলা অবলা। সবে নব পারিতেছে যৌবনের কলা৷ মোহন সঙ্গীতে মন বেধেছে যতনে। প্রেম যেন শনিতেছে। আশার বচনে৷ বদনে ললিত রেখা কত হয়ে যায়। ख्रिभा न्ौद्ध गायन भादन् मग्य । গলিল নয়নপদ্ম; মন্ধে তাব মন, প্রাণ মন জ্ঞান ধন জীবন যে শা সকলি কবেছে যেন গীতে সমপািণ ৷ কোথা হতে আসে সেই সমাধব গান ? কেন তাতে এত আশা F কে হবিল প্ৰাণ ?
যৌবন আশার সম ফুল্ল রূপ তার।
ললিতা তাহার নাম-রাজান নন্দিনী। জননী না ছিল তা , বিমাতা বাঘিনী। বাজা বড় নিন্ঠর সতত দেয় জবালা; গোপনে কতই ফাঁদে মাতৃহীনা বালা। দণ্ডজনের সাথে তার বিবাহ সম্বন্ধশনে কে’দে কোদে তার চক্ষ যেন অন্ধ। মন্মথ নামেতে যােবা, সঠিাম সন্দর, বচনে অমিয ক্ষরে নাবীমনোহব। মোহিল। ললিতাচিত তার দরশনে। গোপনে বিবাহ হৈল মিলিল দাজনে। জানিল বিবাহবাত্তা দর্যন্ত রাজন। কন্যাবে ডাকিয়া বলে পরষ বচন৷ এ পরী অাঁধার কেন কর কলঙ্কিনী। শীঘ্ৰ যাও দেশান্তরে না হতে যামিনী ৷ কাল যদি দেখি তোরে, বধিব পরাণ। ভয়ে বালা সেই দণেড কাবিলা প্রস্থান ৷ মন্মথ লইয়া তারে তুলিল নৌকায়। ভয়ে ভীত দই জনে নদী বেয়ে যায়৷ পথিমধ্যে দস্যদল আসিযা রোধিল।। ললিতারে কড়ি লয়ে বনে প্রবেশিল ৷৷ অলঙ্কার কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিল তারে। ললিতা একাকী ফিরে নদী ধারে ধারে৷ ठकाथान्न भन्भथ cशब्न, उन्नि ठकान् ख्रिउ । রজনী গভীরা তব ভয় নাই চিতে। এমন সময়ে শোনে সঙ্গীতের ধৰনি। মন্মথ গাইছে গীত বঝিল অমনি ৷ বঝিল সঙ্কেত করে সেই প্রিয়জন, নদীতীরে চন্দ্ৰলোকে বসিল তখন।
দেখিয়া ফিরালে আঁখি, দেখি ফিরে বার ||
তীরেতে লাগিল তাঁর অতিদত হয়ে।
স্থিরা ধীরা সুকোমলা বিমলা অবলা।
थऊ श्ऊ माझ व्र शरद्ध ॥ কতই আদর করে, পেয়ে সোহাগিনী। কতই রোদন করে কাতরা কামিনী ৷
সবে নব পুরিতেছে যৌবনের কলা ||
S
মোহন সঙ্গীতে মন বেঁধেছে যতনে।
তখন ললিতা কায, “আর জবালা নাহি সয়, পড়িয়া দস্যর হাতে, যে দঃখ হে পেয়েছি। কাড়ি নিল অলঙ্কাপ লাঞ্ছনা কত আমার, তীরে তীরে বেদে কোদে এতদর এয়েছি ৷ দেখা হবে তব সাথ, Cश्न मार्गश् स्क्षार्गका नाथ,
প্রেম যেন শুনিতেছে আশার বচনে ||
দযা কবি কালী আজি বেখেছেন চরণে।” পতি বলে “শন প্রিযে, তোমা ধনে তারাইয়ে,
বদনে ললিত রেখা কত হয়ে যায়।
মরিব বলিয়ে আজি, প্রবেশিন, কাননে ॥ দেখিলাম দাই ধান, মহাবণ্যে অন্ধকার,
রক্তিম নীরদ যেন শারদ সন্ধ্যায় ||
নীলবে নিন্মলা নদী, তার মাঝে বহিছে। ভীষণ বিজন স্তুব্ধ, নাহি জীব নাহি শব্দ,
গলিল নয়নপদ্ম; মুগ্ধ তার মন,
তবদলে ঢলে জলে, ঘামাইয়া রহিছে৷ ষে স্থিা অরণ্য নদী, যেন বা সজনাবধি, কোন জীব বে। - কীট, তথা নাহি নড়েছে। প্রথমে যে ছিল যথা, এখনও রয়েছে তথা,
প্রাণ মন জ্ঞান ধন জীবন যৌবন,
মাতুল ভীষণ ছাষা, সন্দাবস্থানে পড়েছে ৷
সকলি করেছে যেন গীতে সমর্পণ ||
শুযোতে গগন পানে, চাহিলে ভুলিন প্রাণে, বিমল সনীলা কাশে, শশী হোসে যেতেছে। ভাবিলাম প্রকৃতি4, সকলি গভীব স্থির,
কোথা হতে আসে সেই সুমধুর গান?
শাধ, এ সদয কেন, এত দঃখ পেতেছে! মবি যদি পবিতাম, গোলে জল হইতাম,
কেন তাতে এত আশা? কে হরিল প্রাণ?</poem>}}
এ স্থিব সলিলে মিশে, হৃদয় ঘামাইত।

তথা বিপ, চিন্তাহীন, ब्रश्ठाभ फ़िब्रलिन,
{{Block center|<poem>৩
ললিতাব দঃখ, তবে, কিসে হৃদে আইত৷
ললিতা তাহার নাম-রাজার নন্দিনী।
“ভাবি এ প্রকার, ছাড়িতে হােঙ্কার,
জননী না ছিল তার, বিমাতা বাঘিনী।
কপিল কানন স্তন্ধ । শিহবি অন্তরে, कि छानि कि एछ6न्न,
রাজা বড় নিষ্ঠুর সতত দেয় জ্বালা;
दर्पेट*ा झुर्रान भर्शन भबा ॥ হতাশ নাশিতে, সঙ্কেত বাঁশীতে,
গোপনে কতই কাঁদে মাতৃহীনা বালা।
গায়িলাম দখ যত। বাজাইয়া তায়, মারি লো তোমায়, সঙ্কেত করেছি। কত! একবার যাই, মারলী বাজাই, আপনি নয়ন ঝোরে। গলে হৃদি দখে, এক মাত্র সাথে;
দুর্জ্জনের সাথে তার বিবাহ সম্বন্ধ-
বাঁশী কি মোহিল মোরে! গাই পরীক্ষণে, দেখি নিশাবনে,
শুনে কেঁদে কেঁদে তার চক্ষু যেন অন্ধ।
মন্মথ নামেতে যুবা, সুঠাম, সুন্দর,
বচনে অমিয় ক্ষরে নারীমনোহর।
মোহিল ললিতাচিত তার দরশনে।
গোপনে বিবাহ হৈল মিলিল দুজনে।
জানিল বিবাহবার্ত্তা দুরন্ত রাজন্।
কন্যারে ডাকিয়া বলে পরুষ বচন ||
এ পুরী আঁধার কেন কর কলঙ্কিনী।
শীঘ্র যাও দেশান্তরে না হতে যামিনী ||
কাল যদি দেখি তোরে, বধিব পরাণ।
ভয়ে বালা সেই দণ্ডে করিলা প্রস্থান ||
মন্মথ লইয়া তারে তুলিল নৌকায়।
ভয়ে ভীত দুই জনে নদী বেয়ে যায় ||
পথিমধ্যে দস্যুদল আসিয়া রোধিল।
ললিতারে কাড়ি লয়ে বনে প্রবেশিল ||
অলঙ্কার কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দিল তারে।
ললিতা একাকী ফিরে নদী ধারে ধারে ||
কোথায় মন্মথ গেল, তরি কোন্ ভিতে।
রজনী গভীরা তবু ভয় নাই চিতে।
এমন সময়ে শোনে সঙ্গীতের ধ্বনি।
মন্মথ গাইছে গীত বুঝিল অমনি ||
বুঝিল সঙ্কেত করে সেই প্রিয়জন,
নদীতীরে চন্দ্রালোকে বসিল তখন।
তীরেতে লাগিল তরি অতিদ্রুত হয়ে।
দেখিতে দেখিতে দুয়ে দুয়ের হৃদয়ে ||
কতই আদর করে, পেয়ে সোহাগিনী।
কতই রোদন করে কাতরা কামিনী ||</poem>}}


{{Block center|<poem>৪
তখন ললিতা কয়, “আর জ্বালা নাহি সয়,
পড়িয়া দস্যুর হাতে, যে দুঃখ হে পেয়েছি।
কাড়ি নিল অলঙ্কার, লাঞ্ছনা কত আমার,
তীরে তীরে কেঁদে কেঁদে এতদূর এয়েছি ||
দেখা হবে তব সাথ, হেন নাহি জানি নাথ,
দয়া করি কালী আজি রেখেছেন চরণে।”
পতি বলে “শুন প্রিয়ে, তোমা ধনে হারাইয়ে,
মরিব বলিয়ে আজি, প্রবেশিনু কাননে ||
দেখিলাম দুই ধার, মহারণ্যে অন্ধকার,
নীরবে নির্ম্মলা নদী, তার মাঝে বহিছে।
ভীষণ বিজন স্তব্ধ, নাহি জীব নাহি শব্দ,
তরুদলে ঢুলে জলে, ঘুমাইয়া রহিছে ||
যে স্থির অরণ্য নদী, যেন বা সৃজনাবধি,
কোন জীব কোন কীট, তথা নাহি নড়েছে।
প্রথমে যে ছিল যথা, এখনও রয়েছে তথা,
মৃত্যুর ভীষণ ছায়া, সর্ব্বস্থানে পড়েছে ||
ভয়েতে গগন পানে, চাহিলে ভুলিনু প্রাণে,
বিমল সুনীলকাশে, শশী হেসে যেতেছে।
ভাবিলাম প্রকৃতির, সকলি গভীর স্থির,
শুধু এ হৃদয় কেন, এত দুঃখ পেতেছে!
মরি যদি পারিতাম, গোলে জল হইতাম,
এ স্থির সলিলে মিশে, হৃদয় ঘুমাইত।
তথা রিপু চিন্তাহীন, রহিতাম চিরদিন,
ললিতার দুঃখ তবে, কিসে হৃদে আইত ||
</poem>}}


{{Block center|<poem>৫
“ভাবি এ প্রকার, ছাড়িতে হুঙ্কার,
কাঁপিল কানন স্তব্ধ।
শিহরি অন্তরে, কি জানি কি ডরে,
কাঁপে হৃদি শুনি শব্দ ||
হুতাশ নাশিতে, সঙ্কেত বাঁশীতে,
গায়িলাম দুখ যত।
বাজাইয়া তায়, মরি লো তোমায়,
সঙ্কেত করেছি কত!
একবার যাই, মুরলী বাজাই,
আপনি নয়ন ঝোরে।
গলে হৃদি দুখে, এক মাত্র সুখে;
বাঁশী কি মোহিল মোরে!
গাই পরক্ষণে, দেখি নিশাবনে,
একাকিনী রূপবতী।</poem>}}