পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (প্রথম সম্ভার).djvu/১৩৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
Taher Almahdi (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{dhr|3em}}
বড়দিদি
{{xxxx-larger|{{C|বড়দিদি}}}}
প্রথম পরিচ্ছেদ
{{xx-larger|{{C|প্রথম পরিচ্ছেদ}}}}
এ পৃথিবীতে এক সম্প্রদায়ের লোক আছে, তাহারা যেন খড়ের আগুন দপ, করিয়া জলিয়া উঠিতেও পারে, আবার খপ করিয়া নিভিয়া যাইতেও পারে! তাহাদিগের পিছনে সদাসৰ্ব্বদা একজন লোক থাকা প্রয়োজন—সে যেন আবশ্যক অনুসারে খড় যোগাইয়া দেয়।

গৃহস্থ-কন্যারা মাটির দীপ সাজাইবার সময় যেমন তৈল ও সলিতা দেয়, তেমনি তাহার গায়ে একটি কাঠি দিয়া দেয়। প্রদীপের শিখা যখন কমিয়া আসিতে থাকে, —এই ক্ষুদ্র কাঠিটির তখন বড় প্রয়োজন—উস্কাইয়া দিতে হয় ; এটি না হইলে তৈল এবং সলিতা সত্ত্বেও প্রদীপের জলা চলে না।
{{gap}}এ পৃথিবীতে এক সম্প্রদায়ের লোক আছে, তাহারা যেন খড়ের আগুন দপ্, করিয়া জ্বলিয়া উঠিতেও পারে, আবার খপ্ করিয়া নিভিয়া যাইতেও পারে! তাহাদিগের পিছনে সদাসৰ্ব্বদা একজন লোক থাকা প্রয়োজন—সে যেন আবশ্যক অনুসারে খড় যোগাইয়া দেয়।
স্বরেন্দ্রনাথের প্রকৃতিও কতকটা এইরূপ। বল, বুদ্ধি, ভরসা তাহার সব আছে, তবু সে এক কোন কাজ সম্পূর্ণ করিতে পারে না। খানিকটা কাজ যেমন সে উৎসাহের সহিত করিতে পারে, বাকীটুকু সে তেমন নীরব আলস্তভরে ছাড়িয়া দিয়া চুপ করিয়া থাকিতে পারে। তখনই একজন লোকের প্রয়োজন—সে উস্কাইয়া দিবে।

স্বরেন্দ্রের পিতা স্বদ্যুর পশ্চিমাঞ্চলে ওকালতি করিতেন। এই বাঙলাদেশের সহিত র্তাহার বেশী কিছু সম্বন্ধ ছিল না। এইখানেই স্বরেন্দ্র তাহার কুড়ি বৎসর বয়সে এম. এ. পাশ করে ; কতকটা তাহার নিজের গুণে ; কতকটা বিমাতার গুণে। এই বিমাতাটি এমন অধ্যবসায়ের সহিত তাহার পিছনে লাগিয়া থাকিতেন যে, সে অনেক সময় বুঝিতে পারিত না যে, তাহার নিজের স্বাধীন সত্তা কিছু আছে কি না। স্বরেন্দ্র বলিয়া কোন স্বতন্ত্র জীব এ জগতে বাস করে, না, এই বিমাতার ইচ্ছাই একটি মানুষের আকার ধরিয়া কাজকর্ম, শোয়া-বসা, পড়াশুনা, পাশ প্রভৃতি সারিয়া লয়। এই বিমাতাটি, নিজের সন্তানের প্রতি কতকটা উদাসীন হইলেও, স্বরেন্দ্রর হেফাজতের সীমা ছিল না। থুথু ফেলাটি পর্য্যন্ত র্তাহার দৃষ্টি অতিক্রম করিত না। এই কৰ্ত্তব্যপরায়ণ স্ত্রীলোকটির শাসনে থাকিয়া স্বরেন্দ্র নামে লেখাপড়া শিথিল, কিন্তু আত্মনির্ভরতা শিথিল না। নিজের উপর তাহার বিশ্বাস ছিল না। কোন কৰ্ম্মই যে তাহার দ্বারা সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দর এবং সম্পূর্ণ হইতে পারে, ইহ সে বুঝিত না। কখন যে তাহার কি প্রয়োজন হইবে এবং কখন তাহাকে
{{gap}}গৃহস্থ-কন্যারা মাটির দীপ সাজাইবার সময় যেমন তৈল ও সলিতা দেয়, তেমনি তাহার গায়ে একটি কাঠি দিয়া দেয়। প্রদীপের শিখা যখন কমিয়া আসিতে থাকে, —এই ক্ষুদ্র কাঠিটির তখন বড় প্রয়োজন–উসকাইয়া দিতে হয়; এটি না হইলে তৈল এবং সলিতা সত্ত্বেও প্রদীপের জ্বলা চলে না।
מכ\כי

{{gap}}সুরেন্দ্রনাথের প্রকৃতিও কতকটা এইরূপ। বল, বুদ্ধি, ভরসা তাহার সব আছে তবু সে একা কোন কাজ সম্পূর্ণ করিতে পারে না। খানিকটা কাজ যেমন সে উৎসাহের সহিত করিতে পারে, বাকিটুকু সে তেমন নীরব আলস্যভরে ছাড়িয়া দিয়া চুপ করিয়া থাকিতে পারে। তখনই একজন লোকের প্রয়োজন–সে উসকাইয়া দিবে।

{{gap}}সুরেন্দ্রের পিতা সুদূর পশ্চিমাঞ্চলে ওকালতি করিতেন। এই বাঙলাদেশের সহিত তাঁহার বেশি কিছু সম্বন্ধ ছিল না। এইখানেই সুরেন্দ্র তাহার কুড়ি বৎসর বয়সে এম. এ. পাশ করে; কতকটা তাহার নিজের গুণে, কতকটা বিমাতার গুণে। এই বিমাতাটি এমন অধ্যবসায়ের সহিত তাহার পিছনে লাগিয়া থাকিতেন যে, সে অনেক সময় বুঝিতে পারিত না যে, তাহার নিজের স্বাধীন সত্তা কিছু আছে কি না। সুরেন্দ্র বলিয়া কোনো স্বতন্ত্র জীব এ জগতে বাস করে, না, এই বিমাতার ইচ্ছাই একটি মানুষের আকার ধরিয়া কাজকর্ম্ম, শোয়া-বসা, পড়াশুনা, পাশ প্রভৃতি সারিয়া লয়। এই বিমাতাটি, নিজের সন্তানের প্রতি কতকটা উদাসীন হইলেও, সুরেন্দ্রের হেফাজতের সীমা ছিল না। থুথু ফেলাটি পর্য্যন্ত তাঁহার দৃষ্টি অতিক্রম করিত না। এই কর্ত্তব্যপরায়ণা স্ত্রীলোকটির শাসনে থাকিয়া সুরেন্দ্র নামে লেখাপড়া শিখিল, কিন্তু আত্মনির্ভরতা শিখিল না। নিজের উপর তাহার বিশ্বাস ছিল না। কোনো কর্ম্মই যে তাহার দ্বারা সর্ব্বাঙ্গসুন্দর এবং সম্পূর্ণ হইতে পারে, ইহা সে বুঝিত না। কখন যে তাহার কি প্রয়োজন হইবে এবং কখন তাহাকে
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||১৩১|}}