পাতা:পত্রপুট-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|পত্রপুট||১৩}}
{{block center/s}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:

পত্রপুট - "రి
<poem>
ఆడా অশুভে স্থাপিত তোমার পাদপীঠে,
শুভে অশুভে স্থাপিত তােমার পাদপীঠে,
বিরাট প্রাণের, বিরাটমৃত্যুর গুপ্তসঞ্চার
::তােমার প্রচণ্ড সুন্দর মহিমার উদ্দেশে
তোমার যে-মাটির তলায় তাকে আজ স্পর্শ করি, উপলব্ধি করি সর্ব দেহে মনে ।
আজ রেখে যাব আমার ক্ষতচিহ্নলাঞ্ছিত জীবনের প্রণতি।
অগণিত যুগযুগান্তরের অসংখ্য মানুষের লুপ্তদেহ পুঞ্জিত তার ধুলায় । আমিও রেখে যাব কয় মুষ্টি ধূলি
::বিরাট প্রাণের, বিরাটমৃত্যুর গুপ্তসঞ্চার
আমার সমস্ত সুখদুঃখের শেষ পরিণাম, রেখে যাব এই নামগ্রাসী, আকারগ্রাসী সকল পরিচয়গ্রাসী
::::::::::::::তােমার যে-মাটির তলায়
নিঃশব্দ মহাধুলিরাশির মধ্যে। আচল অবরোধে আবদ্ধ পৃথিবী, মেঘলোকে উধাও পৃথিবী,
:::তাকে আজ স্পর্শ করি, উপলব্ধি করি সর্ব দেহে মনে।
গিরিশৃঙ্গমালার মহৎ মৌনে ধ্যানমগ্ন পৃথিবী, নীলাম্বুরাশির অতন্দ্রতরঙ্গে কলমন্দ্রমুখরা পৃথিবী,
::::::অগণিত যুগযুগান্তরের
অন্নপূর্ণ তুমি সুন্দরী, অল্পরিক্ত তুমি ভীষণ । একদিকে আপঙ্কধান্তভারনম্র তোমার শস্তক্ষেত্র,
::::::অসংখ্য মানুষের লুপ্তদেহ পুঞ্জিত তার ধুলায়।
সেখানে প্রসন্ন প্রভাতসূর্য প্রতিদিন মুছে নেয় শিশিরবিন্দু
::আমিও রেখে যাব কয় মুষ্টি ধূলি
কিরণ-উত্তরীয় বুলিয়ে দিয়ে। অস্তগামী সুর্য শু্যামলশস্তহিল্লোলে রেখে যায় অকথিত এই বাণী—
::::আমার সমস্ত সুখদুঃখের শেষ পরিণাম,
*আমি আনন্দিত ।” অন্যদিকে তোমার জলহীন ফলহীন আতঙ্কপাণ্ডুর মরুক্ষেত্রে পরিকীর্ণ পশুকঙ্কালের মধ্যে মরীচিকার প্রেতকৃত্য । বৈশাখে দেখেছি বিদ্যুৎচষ্ণুবিদ্ধ দিগন্তকে ছিনিয়ে নিতে এল
রেখে যাব এই নামগ্রাসী, আকারগ্রাসী সকল পরিচয়গ্রাসী
কালে শুেন পাখির মতো তোমার ঝড়, সমস্ত আকাশটা ডেকে উঠল যেন কেশর-ফোল সিংহ,
::::::নিঃশব্দ মহাধূলিরাশির মধ্যে।
অচল অবরােধে আবদ্ধ পৃথিবী, মেঘলােকে উধাও পৃথিবী,
:::গিরিশৃঙ্গমালার মহৎ মৌনে ধ্যানমগ্না পৃথিবী,
নীলাম্বুরাশির অতন্দ্ৰতরঙ্গে কলমন্দ্রমুখরা পৃথিবী,
:::::অন্নপূর্ণা তুমি সুন্দরী, অন্নরিক্তা তুমি ভীষণা।
একদিকে আপক্কধান্যভারনম্র তােমার শস্যক্ষেত্র,
::সেখানে প্রসন্ন প্রভাতসূর্য প্রতিদিন মুছে নেয় শিশিরবিন্দু
::::::::কিরণ-উত্তরীয় বুলিয়ে দিয়ে।
অস্তগামী সূর্য শ্যামলশস্যহিল্লোলে রেখে যায় অকথিত এই বাণী—
::::::::::::“আমি আনন্দিত।”
অন্যদিকে তােমার জলহীন ফলহীন আতঙ্কপাণ্ডুর মরুক্ষেত্রে
::পরিকীর্ণ পশুকঙ্কালের মধ্যে মরীচিকার প্রেতনৃত্য।
বৈশাখে দেখেছি বিদ্যুৎচঞ্চুবিদ্ধ দিগন্তকে ছিনিয়ে নিতে এল
:::::কালাে শ্যেন পাখির মতাে তােমার ঝড়,
:::সমস্ত আকাশটা ডেকে উঠল যেন কেশর-ফোলা সিংহ,
</poem>
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{block center/e}}