পাতা:পত্রপুট-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/২৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|পত্রপুট||১৭}}
{{block center/s}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:

পত্রপুট >ጫ
<poem>
মাস যায় ।
::মাস যায়।
বাতাসে থেমে গেল মত্ততার আন্দোলন,
::::বাতাসে থেমে গেল মত্ততার আন্দোলন,
শরতের শাস্তনিমল আকাশ থেকে
::::::শরতের শান্তনির্মল আকাশ থেকে
আমন্দ্র শঙ্খধ্বনিতে বাণী এল—
::::::::অমন্দ্র শঙ্খধ্বনিতে বাণী এল—
প্রস্তুত হও । সারা হোলো শিশির-জলে স্নানব্ৰত ॥
:::::::::::প্রস্তুত হও।
মাস যায় ।
::::::সারা হােলাে শিশির-জলে স্নানব্রত।
নিমমি শীতের হাওয়া এসে পৌছল হিমাচল থেকে, সবুজের গায়ে গায়ে একে দিল হলদের ইশারা, পৃথিবীর দেওয়া রং বদল হোলো আলোর দেওয়া রঙে ।

উড়ে এল হাসের পাতি নদীর চরে,
মাস যায়।
কাশের গুচ্ছ ঝরে পড়ল তটের পথে পথে ॥
::নির্মম শীতের হাওয়া এসে পৌঁছল হিমাচল থেকে,
মাস যায় ।
:সবুজের গায়ে গায়ে এঁকে দিল হল্‌দের ইশারা,
বিকালবেলার রৌদ্রকে যেমন উজাড় করে দিনাস্ত
:পৃথিবীর দেওয়া রং বদল হােলাে আলাের দেওয়া রঙে।
শেষ গোধুলির ধূসরতায় তেমনি সোনার ফসল চলে গেল
:::::উড়ে এল হাঁসের পাঁতি নদীর চরে,
অন্ধকারের অবরোধে । তারপরে শূন্তমাঠে অতীতের চিহ্নগুলো
:::::::কাশের গুচ্ছ ঝরে পড়ল তটের পথে পথে।
কিছুদিন রইল মৃত শিকড় আঁকড়ে ধ’রে— শেষে কালো হয়ে ছাই হোলে আগুনের লেহনে ।

:মাস যায়।
::বিকালবেলার রৌদ্রকে যেমন উজাড় করে দিনান্ত
::::::শেষ গােধূলির ধূসরতায়
::::তেমনি সােনার ফসল চলে গেল
:::::::::অন্ধকারের অবরােধে।
::তারপরে শূন্যমাঠে অতীতের চিহ্নগুলো
::::কিছুদিন রইল মৃত শিকড় আঁকড়ে ধ’রে-
::শেষে কালাে হয়ে ছাই হােলাে আগুনের লেহনে।
</poem>
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{block center/e}}