পাতা:তিতাস একটি নদীর নাম.djvu/৩১০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
পাইউইকিবট স্পর্শ সম্পাদনা
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|২৯৮||তিতাস একটি নদীর নাম}}
{{left margin|4em}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
<poem>আমারে দেখিয়া সাগর শোষে
অামারে দেখিয়া সাগর শোষে মা, আমারে দেখিয়া সাগর শোষে ’ দুই একজনে দোহার ধরিয়াছিল, যুৎসই করিতে না পারিয়া ছাড়িয়া দিল । ছাড়িল না শুধু অনন্ত। মুরট। অনুকরণ করিয়া বেশ কয়েদা করিয়াই তান ধরিয়াছিল সে। মোটা মোটা সব গলা মাঝপথে অবশ হইয়া যাওয়াতে তার সরু শিশুগল পায়ের তলায় মাটি-ছাড়া হইয়া বায়ুর সমুদ্রে কঁাপিতে কঁাপিতে ডুরিয়া গেল। তার দিকে প্রসন্ন দৃষ্টিতে চাহিয়া বাবাজী বনমালীকে বলিলেন, ‘পুরান স্বর। কিন্তু বড় জমাটি। আইজকালের মানুষ শ্বাসই রাখতে পারে না, এসব স্থর তাবা গাইব কি। যারা গাইত তারা দরাজ গলায় টান দিলে তিতাসের ঐ-পারের লোকের ঘুম ভাঙ্গত। কর্ণে করত মধু বরিষণ। তখন সব হালকা স্বর। হরিবংশ গান, ভাইটাল সুরের গান তখন নয়া বংশের লোকে গাইতে পারে না, গাওয়ে গাওয়ে যে দুইচার জন পুরান গাতক আখনো আছে, তারা গায়, আর গলার জোর দেইখ্যা জোয়ান মানুষ চমকায় ! সোজা একটা লাচারী তোল বনমালী।” বনমালী সহজভাবেই তুলিল— ‘সোণার বরণ দুইটি শিশু ঝলমল ঝলমল করে গো, অামি দেইখে এলাম ভরতের বাজারে ? বাবাজী বলিলেন, ‘না এইখানে এই লাচারী খাটে না । কাইল প্ৰহলাদের বাড়িতে লখিন্দররে সৰ্পে দংশন করছিল ; অখন তারে কলার ভেলাতে তোলা হইছে, ভেলা ভাসব, যাত্রা
মা, আমারে দেখিয়া সাগর শোষে!’
</poem></div>

{{gap}}দুই একজনে দোহার ধরিয়াছিল, যুৎসই করিতে না পারিয়া ছাড়িয়া দিল। ছাড়িল না শুধু অনন্ত। সুরটা অনুকরণ করিয়া বেশ কায়দা করিয়াই তান ধরিয়াছিল সে। মোটা মোটা সব গলা মাঝপথে অবশ হইয়া যাওয়াতে তার সরু শিশুগলা পায়ের তলায় মাটি-ছাড়া হইয়া বায়ুর সমুদ্রে কাঁপিতে কাঁপিতে ডুরিয়া গেল। তার দিকে প্রসন্ন দৃষ্টিতে চাহিয়া বাবাজী বনমালীকে বলিলেন, ‘পুরান সুর। কিন্তু বড় জমাটি। আইজকালের মানুষ শ্বাসই রাখতে পারে না, এসব সুর তারা গাইব কি। যারা গাইত তারা দরাজ গলায় টান দিলে তিতাসের ঐ-পারের লোকের ঘুম ভাঙ্গত। কর্ণে করত মধু বরিষণ। অখন সব হালকা সুর। হরিবংশ গান, ভাইটাল্ সুরের গান অখন নয়া বংশের লোকে গাইতে পারে না, গাঁওয়ে গাঁওয়ে যে দুইচার জন পুরান গাতক অখনো আছে, তারা গায়, আর গলার জোর দেইখ্যা জোয়ান মানুষ চমকায়! সোজা একটা লাচারী তোল বনমালী।’

{{gap}}বনমালী সহজভাবেই তুলিল—

{{left margin|4em|<poem>‘সোণার বরণ দুইটি শিশু ঝল্‌মল্ ঝল্‌মল্ করে গো,
আমি দেইখে এলাম ভরতের বাজারে।’</poem>}}

{{gap}}বাবাজী বলিলেন, ‘না এইখানে এই লাচারী খাটে না। কাইল প্ৰহ্লাদের বাড়িতে লখিন্দররে সৰ্পে দংশন করছিল; অখন তারে কলার ভেলাতে তোলা হইছে, ভেলা ভাসব, যাত্রা